সাইফুল মাসুম, ঢাকা
অবকাশ কাটাতে মানুষের অন্যতম পছন্দের স্থান সমুদ্র। দেশে সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটানোর কথা ভাবলে সবার আগে কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও সেন্ট মার্টিনের নাম আসে। অথচ এই তিনটির বাইরেও আরও ১৮টি সৈকত রয়েছে দেশে। কিন্তু পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও পরিচিতির অভাবে পর্যটক থাকে না সেখানে। পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব সমুদ্রসৈকতে পর্যটক আকর্ষণ করা গেলে দেশের পর্যটন খাতের চিত্রই বদলে যাবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে উপকূলীয় অঞ্চল।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, উপকূলের ৭২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় ২১টি সমুদ্রসৈকত রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, ইনানী, পারকি, গুলিয়াখালি, নিঝুম দ্বীপ, নিমতলী (হাতিয়া), বাঁশবাড়িয়া, টেকনাফ, বাঁশখালী ও আকিলপুর সমুদ্রসৈকত। বরিশাল বিভাগে আছে কুয়াকাটা, তারুয়া (চরফ্যাশন), লালদিয়া , শুভ সন্ধ্যা, বিহঙ্গ দ্বীপ, সোনাকাটা ও দখিনা হাওয়া সমুদ্রসৈকত (মনপুরা)। আর খুলনা বিভাগে রয়েছে মান্দারবাড়িয়া ও জামতলা বা কটকা সমুদ্রসৈকত।
সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের উপকূলের ২১টি সমুদ্রসৈকতের মধ্যে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন ও কুয়াকাটা সৈকত খুবই জনপ্রিয়। এই তিন সৈকতে বিভিন্ন ছুটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ ভ্রমণ করে। তবে তারুয়া (চরফ্যাশন), লালদিয়া (বরগুনা), নিমতলী (হাতিয়া), আকিলপুর (সীতাকুণ্ড) সমুদ্রসৈকত মানুষের কাছে এখনো তেমন পরিচিতি পায়নি। বাকি ১৪টি সমুদ্রসৈকতে মানুষের যাতায়াত রয়েছে, তবে তা তুলনামূলক কম।
অধিকাংশ সমুদ্রসৈকতে পর্যটক আগ্রহ কম থাকার বিষয়ে পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত ছাড়া বাকিগুলোর কথা অনেক পর্যটক জানেনই না। সমুদ্রসৈকতগুলোতে যাওয়ার ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। সৈকতসংলগ্ন পর্যটকবান্ধব অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এ ছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তাব্যবস্থার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে দেশের অর্থনীতির জন্য অখ্যাত সৈকতগুলোই নিয়ামক হয়ে উঠবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)। সংস্থাটির তথ্যমতে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজারের বেশি পর্যটক যায়। প্রত্যেক পর্যটক যদি থাকা-খাওয়া বাবদ দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করেন, তাহলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকেন্দ্রিক বছরে ৫৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ব্যবসা হয়। এমন করে অবহেলিত সব সমুদ্রসৈকত যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে উপকূলের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে দেওয়া সম্ভব।
পর্যটক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কোনো পর্যটনকেন্দ্রে লাখ লাখ পর্যটকের চাপ। আবার কোনোটা একেবারেই পর্যটকশূন্য। তাই সরকারের উচিত উপেক্ষিত সমুদ্রসৈকতগুলোকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সৈকতগুলোর ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করে দেওয়া।
বিটিইএর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর বলেন, ‘ট্যুরিজম পরিবেশের প্রতিপক্ষ নয়। সেন্ট মার্টিনে ওভার ট্যুরিজম হয়। সৈকতগুলো নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো গড়ে তুললে পর্যটকেরা বিভিন্ন সমুদ্রসৈকতে ছড়িয়ে পড়তেন। এতে নির্দিষ্ট কিছু সৈকতে মানুষের ভিড় কমবে, কমবে পরিবেশদূষণের ঝুঁকিও। সমুদ্রসৈকতগুলোর আশপাশের মানুষদেরও কর্মসংস্থান বাড়বে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অজনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত নিয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যেসব সমুদ্রসৈকত এখনো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি, সেগুলো নিয়ে আপাতত আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আমরা অপেক্ষা করছি পর্যটনের মাস্টারপ্ল্যানের জন্য, সেখানে পর্যটন গন্তব্যগুলোর ব্যান্ডিং নিয়ে আলোচনা রয়েছে।’
অবকাশ কাটাতে মানুষের অন্যতম পছন্দের স্থান সমুদ্র। দেশে সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটানোর কথা ভাবলে সবার আগে কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও সেন্ট মার্টিনের নাম আসে। অথচ এই তিনটির বাইরেও আরও ১৮টি সৈকত রয়েছে দেশে। কিন্তু পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও পরিচিতির অভাবে পর্যটক থাকে না সেখানে। পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব সমুদ্রসৈকতে পর্যটক আকর্ষণ করা গেলে দেশের পর্যটন খাতের চিত্রই বদলে যাবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে উপকূলীয় অঞ্চল।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, উপকূলের ৭২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় ২১টি সমুদ্রসৈকত রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, ইনানী, পারকি, গুলিয়াখালি, নিঝুম দ্বীপ, নিমতলী (হাতিয়া), বাঁশবাড়িয়া, টেকনাফ, বাঁশখালী ও আকিলপুর সমুদ্রসৈকত। বরিশাল বিভাগে আছে কুয়াকাটা, তারুয়া (চরফ্যাশন), লালদিয়া , শুভ সন্ধ্যা, বিহঙ্গ দ্বীপ, সোনাকাটা ও দখিনা হাওয়া সমুদ্রসৈকত (মনপুরা)। আর খুলনা বিভাগে রয়েছে মান্দারবাড়িয়া ও জামতলা বা কটকা সমুদ্রসৈকত।
সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের উপকূলের ২১টি সমুদ্রসৈকতের মধ্যে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন ও কুয়াকাটা সৈকত খুবই জনপ্রিয়। এই তিন সৈকতে বিভিন্ন ছুটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ ভ্রমণ করে। তবে তারুয়া (চরফ্যাশন), লালদিয়া (বরগুনা), নিমতলী (হাতিয়া), আকিলপুর (সীতাকুণ্ড) সমুদ্রসৈকত মানুষের কাছে এখনো তেমন পরিচিতি পায়নি। বাকি ১৪টি সমুদ্রসৈকতে মানুষের যাতায়াত রয়েছে, তবে তা তুলনামূলক কম।
অধিকাংশ সমুদ্রসৈকতে পর্যটক আগ্রহ কম থাকার বিষয়ে পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত ছাড়া বাকিগুলোর কথা অনেক পর্যটক জানেনই না। সমুদ্রসৈকতগুলোতে যাওয়ার ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। সৈকতসংলগ্ন পর্যটকবান্ধব অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এ ছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তাব্যবস্থার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে দেশের অর্থনীতির জন্য অখ্যাত সৈকতগুলোই নিয়ামক হয়ে উঠবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)। সংস্থাটির তথ্যমতে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজারের বেশি পর্যটক যায়। প্রত্যেক পর্যটক যদি থাকা-খাওয়া বাবদ দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করেন, তাহলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকেন্দ্রিক বছরে ৫৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ব্যবসা হয়। এমন করে অবহেলিত সব সমুদ্রসৈকত যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে উপকূলের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে দেওয়া সম্ভব।
পর্যটক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কোনো পর্যটনকেন্দ্রে লাখ লাখ পর্যটকের চাপ। আবার কোনোটা একেবারেই পর্যটকশূন্য। তাই সরকারের উচিত উপেক্ষিত সমুদ্রসৈকতগুলোকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সৈকতগুলোর ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করে দেওয়া।
বিটিইএর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর বলেন, ‘ট্যুরিজম পরিবেশের প্রতিপক্ষ নয়। সেন্ট মার্টিনে ওভার ট্যুরিজম হয়। সৈকতগুলো নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো গড়ে তুললে পর্যটকেরা বিভিন্ন সমুদ্রসৈকতে ছড়িয়ে পড়তেন। এতে নির্দিষ্ট কিছু সৈকতে মানুষের ভিড় কমবে, কমবে পরিবেশদূষণের ঝুঁকিও। সমুদ্রসৈকতগুলোর আশপাশের মানুষদেরও কর্মসংস্থান বাড়বে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অজনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত নিয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যেসব সমুদ্রসৈকত এখনো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি, সেগুলো নিয়ে আপাতত আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আমরা অপেক্ষা করছি পর্যটনের মাস্টারপ্ল্যানের জন্য, সেখানে পর্যটন গন্তব্যগুলোর ব্যান্ডিং নিয়ে আলোচনা রয়েছে।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন সংবিধান দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সংবিধান চলছে, তা কোনোমতে চালানোর জন্য সংস্কার চাইছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলতে পারবে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহ আলী মাজারের কাছে একটি কাঠের দোকান ছিল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের। ২০১৯ সালের ১৯ জুন দুপুরে সেই দোকান থেকে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। পথে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে মিরপুরে র্যাব-৪ অফিসের কাছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ছিল। ৫ বছর পেরিয়ে গে
৪ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৭ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১৪ ঘণ্টা আগে