নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারত সফর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন অংশীদারত্বমূলক রূপকল্পসহ সফরের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন তিনি।
যা ছিল প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উভয় দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে একটি রূপকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি “ডিজিটাল অংশীদারত্ব” এবং “টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব”বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্প সামনে রেখে কাজ করতে আমরা দুই পক্ষই সম্মত হয়েছি।’
রেল বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রেলযোগাযোগ, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, স্যাটেলাইট ও সামরিক শিক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়েছে। রেলযোগাযোগ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন শহরসহ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেলযোগাযোগ স্থাপিত হবে।’
সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা, দুর্যোগ মোকাবিলা, সহনশীলতা ও প্রশমন এবং মৎস্যক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া এই সফরে দুই দেশের মধ্যে গৃহীত কিছু কার্যক্রমের ঘোষণা প্রদান করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন এবং বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি সংরক্ষণ প্রকল্পে ভারতের সহায়তার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। তবে এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া তিস্তার পানি ভাগাভাগির কোনো সম্পর্ক নেই।’
বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ই-ভিসা চালু এবং রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা। এতে করে মুমূর্ষু রোগীদের ভিসা আগের চেয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করা যাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস। চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা চালু এবং গেদে-দর্শনা ও হলদিবাড়ী-চিলাহাটির মধ্যে দলগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু। এতে করে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। অনুদান সহায়তার আওতায় সিরাজগঞ্জে ইংল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ।’
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, যার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সহযোগিতা আরও বাড়বে। মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসাপ্রত্যাশী রোগীদের জন্য খরচ সর্বোচ্চ সীমা ৮ লাখ টাকা করা এবং বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ চালু। ‘ইউপিআই’য়ের ব্যবহার শুরু করার উদ্দেশ্যে দুই দেশ, বাংলাদেশে ‘রুপি’ কার্ড এবং ভারতে ‘টাকা-পে’ কার্ড চালু।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিল্লি ছাড়ার আগে অপরাহ্ণে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধানখারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি। ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আমরা দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করি। তাঁরা বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।’
তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার সময় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিগত ১৫ বছরে একটি অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, যার সুফল দুই দেশের জনগণ ভোগ করছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। গত বছর আমি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আমি ভারতের আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান করেছি। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের পর এই সফর অনুষ্ঠিত হলো।’
ভারত সফর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন অংশীদারত্বমূলক রূপকল্পসহ সফরের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন তিনি।
যা ছিল প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উভয় দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে একটি রূপকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি “ডিজিটাল অংশীদারত্ব” এবং “টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব”বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্প সামনে রেখে কাজ করতে আমরা দুই পক্ষই সম্মত হয়েছি।’
রেল বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রেলযোগাযোগ, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, স্যাটেলাইট ও সামরিক শিক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়েছে। রেলযোগাযোগ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন শহরসহ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেলযোগাযোগ স্থাপিত হবে।’
সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা, দুর্যোগ মোকাবিলা, সহনশীলতা ও প্রশমন এবং মৎস্যক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া এই সফরে দুই দেশের মধ্যে গৃহীত কিছু কার্যক্রমের ঘোষণা প্রদান করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন এবং বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি সংরক্ষণ প্রকল্পে ভারতের সহায়তার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। তবে এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া তিস্তার পানি ভাগাভাগির কোনো সম্পর্ক নেই।’
বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ই-ভিসা চালু এবং রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা। এতে করে মুমূর্ষু রোগীদের ভিসা আগের চেয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করা যাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস। চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা চালু এবং গেদে-দর্শনা ও হলদিবাড়ী-চিলাহাটির মধ্যে দলগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু। এতে করে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। অনুদান সহায়তার আওতায় সিরাজগঞ্জে ইংল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ।’
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, যার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সহযোগিতা আরও বাড়বে। মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসাপ্রত্যাশী রোগীদের জন্য খরচ সর্বোচ্চ সীমা ৮ লাখ টাকা করা এবং বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ চালু। ‘ইউপিআই’য়ের ব্যবহার শুরু করার উদ্দেশ্যে দুই দেশ, বাংলাদেশে ‘রুপি’ কার্ড এবং ভারতে ‘টাকা-পে’ কার্ড চালু।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিল্লি ছাড়ার আগে অপরাহ্ণে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধানখারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি। ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আমরা দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করি। তাঁরা বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।’
তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার সময় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিগত ১৫ বছরে একটি অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, যার সুফল দুই দেশের জনগণ ভোগ করছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। গত বছর আমি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আমি ভারতের আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান করেছি। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের পর এই সফর অনুষ্ঠিত হলো।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৪ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে