কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমেরিকা ও রাশিয়ার রাজধানী থেকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করে চলেছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া কোনো প্রতিযোগিতা করছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে রাশিয়ার দূতাবাসে ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর দুই সদস্য ভিটালি গুবেঙ্কো ও আলেক্সান্ডার জালতুস্কির ঢাকা সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। সোভিয়েত নৌবাহিনীর এই দুই সদস্য চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার কাজে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মস্কোয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা যে মন্তব্য করেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে আমরা (রাশিয়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমরা শুধু এটাই বলেছি যে, দেখো তারা (আমেরিকা) কী করেছে ও কী করছে।’
এ বিষয়ে মান্টিটস্কি আগেও কথা বলেছেন বলে জানান।
মারিয়া জাখারোভা ১৫ ডিসেম্বর বলেন, আমেরিকা ‘আরব বসন্তের’ মতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দশ বছর আগে ইউক্রেনে কী হয়েছিল, মস্কোতে মুখপাত্র তাঁর বিবৃতিতে সেই তুলনা ঢাকায় এখন যা হচ্ছে, তার সঙ্গে করেছেন। পশ্চিমারা ইউক্রেনে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। এতে আমেরিকার হাত ছিল। পরে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) স্বীকার করেছে ইউক্রেনে তখন অভ্যুত্থান পরিচালনায় ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল।’
১৯৭২ সালে চট্টগ্রামে সোভিয়েত নৌবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে ম্যানতিতস্কি বলেন, কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তখন চট্টগ্রাম বন্দর চালু করার জন্য এক কোটি ডলার চেয়েছিল। কিন্তু তা তখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় ওই বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করেন। রাশিয়া দ্রুততার সঙ্গে রাজি হয়। ওই মাসেই চুক্তি সই হয়।
সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তদানীন্তন সোভিয়েত নৌবাহিনী মাইন অপসারণের কাজটি করে দিয়েছিল বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। ১৯৭২ সালে মাইন আপসারণ শুরু হয়। চট্টগ্রাম বন্দর সোভিয়েত নৌবাহিনীর দুই সদস্য এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তাঁরা তাঁদের ১৯৭২ সালের স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমেরিকা ও রাশিয়ার রাজধানী থেকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করে চলেছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া কোনো প্রতিযোগিতা করছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে রাশিয়ার দূতাবাসে ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর দুই সদস্য ভিটালি গুবেঙ্কো ও আলেক্সান্ডার জালতুস্কির ঢাকা সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। সোভিয়েত নৌবাহিনীর এই দুই সদস্য চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার কাজে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মস্কোয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা যে মন্তব্য করেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে আমরা (রাশিয়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমরা শুধু এটাই বলেছি যে, দেখো তারা (আমেরিকা) কী করেছে ও কী করছে।’
এ বিষয়ে মান্টিটস্কি আগেও কথা বলেছেন বলে জানান।
মারিয়া জাখারোভা ১৫ ডিসেম্বর বলেন, আমেরিকা ‘আরব বসন্তের’ মতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দশ বছর আগে ইউক্রেনে কী হয়েছিল, মস্কোতে মুখপাত্র তাঁর বিবৃতিতে সেই তুলনা ঢাকায় এখন যা হচ্ছে, তার সঙ্গে করেছেন। পশ্চিমারা ইউক্রেনে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। এতে আমেরিকার হাত ছিল। পরে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) স্বীকার করেছে ইউক্রেনে তখন অভ্যুত্থান পরিচালনায় ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল।’
১৯৭২ সালে চট্টগ্রামে সোভিয়েত নৌবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে ম্যানতিতস্কি বলেন, কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তখন চট্টগ্রাম বন্দর চালু করার জন্য এক কোটি ডলার চেয়েছিল। কিন্তু তা তখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় ওই বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করেন। রাশিয়া দ্রুততার সঙ্গে রাজি হয়। ওই মাসেই চুক্তি সই হয়।
সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তদানীন্তন সোভিয়েত নৌবাহিনী মাইন অপসারণের কাজটি করে দিয়েছিল বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। ১৯৭২ সালে মাইন আপসারণ শুরু হয়। চট্টগ্রাম বন্দর সোভিয়েত নৌবাহিনীর দুই সদস্য এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তাঁরা তাঁদের ১৯৭২ সালের স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
৫ মিনিট আগেঘোষণার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি চার সংস্কার কমিশনের কাজ। এমনকি কমিশনগুলো গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও শেষ হয়নি এখন পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগেপুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্র পরিচালনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন সংবিধান দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সংবিধান চলছে, তা কোনোমতে চালানোর জন্য সংস্কার চাইছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলতে পারবে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য
৯ ঘণ্টা আগে