হুমায়ুন কবির, যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক রাষ্ট্রদূত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে জটিলতা আছে। বিষয়টিকে এখানকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার আলোকে দেখাটা ভালো।
যুক্তরাষ্ট্র প্রধানত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলছে। দেশটি চায়, এখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হোক। আর মানবাধিকার, শ্রমিকের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জাতিসংঘে স্বীকৃত মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত থাকুক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই ভাবনার সঙ্গে এখানকার বর্তমান প্রধান রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বৈসাদৃশ্য আছে।
বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গত মে মাসে ভিসা নীতি ঘোষণা এবং সেপ্টেম্বরে তা কার্যকর করার কথা বলার পর থেকে অনেকটা মুখোমুখি অবস্থা দুই পক্ষের মধ্যে। এখানকার নীতিনির্ধারকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেননি। অনেকেই প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে সরাসরি উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের কৌশলগত বৈসাদৃশ্য থাকায় এই নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা এখনই আভাস দেওয়া মুশকিল। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে কেউই সমাধানের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউরোপ, জাপান ও চীনমুখী হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তাতে কাজের কাজ কিছু হবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের বর্তমান যে কূটনৈতিক সক্ষমতা, তা দিয়ে এটা সম্ভব নয়।
এটা এ কারণে যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বাইরেও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বড় বিভিন্ন ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়ে থাকে। যেমন কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের কথা কেউ আগেভাগে অনুমান করতে পারেনি। কিন্তু দুটি ঘটনারই বড় মাপের প্রতিক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশসহ সব দেশকে। এর বাইরে অনেক আঞ্চলিক প্রবণতা তৈরি হয়, যার প্রতিক্রিয়ার বাইরে থাকে না আশপাশের দেশগুলো।
আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মৌলিক স্বার্থের ক্ষেত্রে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব থাকে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো একটির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। আর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে এবং তা ছড়িয়ে পড়লে শুধু ইউরোপ, জাপান ও ভারতের ওপর নির্ভর করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুব বেশি সুবিধা করা যাবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে ইউরোপ নিজেই কী করছে, তা দেখা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের টানাপড়েনের মধ্যেও ইউরোপের দেশগুলো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করায় মনোযোগী হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে সব সামাল দেওয়া গেলে ইউরোপ এমনটা করত বলে মনে হয় না।
এসব কারণে বিভাজনের কূটনীতির দিকে না গিয়ে এখানে যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, তা উত্তম পন্থায় সামাল দেওয়ার পথে এগোনো দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে জটিলতা আছে। বিষয়টিকে এখানকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার আলোকে দেখাটা ভালো।
যুক্তরাষ্ট্র প্রধানত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলছে। দেশটি চায়, এখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হোক। আর মানবাধিকার, শ্রমিকের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জাতিসংঘে স্বীকৃত মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত থাকুক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই ভাবনার সঙ্গে এখানকার বর্তমান প্রধান রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বৈসাদৃশ্য আছে।
বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গত মে মাসে ভিসা নীতি ঘোষণা এবং সেপ্টেম্বরে তা কার্যকর করার কথা বলার পর থেকে অনেকটা মুখোমুখি অবস্থা দুই পক্ষের মধ্যে। এখানকার নীতিনির্ধারকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেননি। অনেকেই প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে সরাসরি উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের কৌশলগত বৈসাদৃশ্য থাকায় এই নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা এখনই আভাস দেওয়া মুশকিল। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে কেউই সমাধানের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউরোপ, জাপান ও চীনমুখী হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তাতে কাজের কাজ কিছু হবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের বর্তমান যে কূটনৈতিক সক্ষমতা, তা দিয়ে এটা সম্ভব নয়।
এটা এ কারণে যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বাইরেও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বড় বিভিন্ন ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়ে থাকে। যেমন কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের কথা কেউ আগেভাগে অনুমান করতে পারেনি। কিন্তু দুটি ঘটনারই বড় মাপের প্রতিক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশসহ সব দেশকে। এর বাইরে অনেক আঞ্চলিক প্রবণতা তৈরি হয়, যার প্রতিক্রিয়ার বাইরে থাকে না আশপাশের দেশগুলো।
আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মৌলিক স্বার্থের ক্ষেত্রে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব থাকে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো একটির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। আর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে এবং তা ছড়িয়ে পড়লে শুধু ইউরোপ, জাপান ও ভারতের ওপর নির্ভর করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুব বেশি সুবিধা করা যাবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে ইউরোপ নিজেই কী করছে, তা দেখা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের টানাপড়েনের মধ্যেও ইউরোপের দেশগুলো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করায় মনোযোগী হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে সব সামাল দেওয়া গেলে ইউরোপ এমনটা করত বলে মনে হয় না।
এসব কারণে বিভাজনের কূটনীতির দিকে না গিয়ে এখানে যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, তা উত্তম পন্থায় সামাল দেওয়ার পথে এগোনো দরকার।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে