আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে গণতান্ত্রিক চর্চা ও আইনের শাসন অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষার নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর রাজনৈতিক চাপ কাম্য নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ নিয়ে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৯বার ভাষণ দিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আগের বছরগুলোর মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী বাংলায় ভাষণ দেন। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রথমবার বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, এ বছর সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘এই মাহেন্দ্রক্ষণে অবশ্যই মানবতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে হবে এবং সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা নিশ্চিতে সামগ্রিক পদক্ষেপ নিতে হবে। আবার এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে মানবাধিকার রক্ষার নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর যেন চাপ সৃষ্টি করা না হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের এই অধিবেশনে আমি পরিষ্কারভাবে পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে বাংলাদেশ নিজের সংবিধান অনুসারে গণতান্ত্রিক চর্চা, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অব্যাহত রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিশ্বনেতাদের প্রতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি তাঁর ভাষণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, মানবাধিকার এবং ২০০৯ সালের পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রসঙ্গ আলোচনা করেন।
সুষ্ঠু ভোটের তাগিদ দিল যুক্তরাষ্ট্র
বাসস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, তাঁরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চান। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আজরা জেয়া এসব কথা বলেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্রিফিংয়ে বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া রোহিঙ্গা সংকট, বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন।
আজরা জেয়া বলেন, তাঁরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত, অন্যথায় এই অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে। আজরা জেয়া বলেন, তাঁরা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে গণতান্ত্রিক চর্চা ও আইনের শাসন অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষার নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর রাজনৈতিক চাপ কাম্য নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ নিয়ে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৯বার ভাষণ দিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আগের বছরগুলোর মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী বাংলায় ভাষণ দেন। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রথমবার বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, এ বছর সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘এই মাহেন্দ্রক্ষণে অবশ্যই মানবতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে হবে এবং সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা নিশ্চিতে সামগ্রিক পদক্ষেপ নিতে হবে। আবার এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে মানবাধিকার রক্ষার নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর যেন চাপ সৃষ্টি করা না হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের এই অধিবেশনে আমি পরিষ্কারভাবে পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে বাংলাদেশ নিজের সংবিধান অনুসারে গণতান্ত্রিক চর্চা, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অব্যাহত রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিশ্বনেতাদের প্রতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি তাঁর ভাষণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, মানবাধিকার এবং ২০০৯ সালের পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রসঙ্গ আলোচনা করেন।
সুষ্ঠু ভোটের তাগিদ দিল যুক্তরাষ্ট্র
বাসস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, তাঁরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চান। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আজরা জেয়া এসব কথা বলেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্রিফিংয়ে বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া রোহিঙ্গা সংকট, বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন।
আজরা জেয়া বলেন, তাঁরা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত, অন্যথায় এই অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে। আজরা জেয়া বলেন, তাঁরা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৫ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে