কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে দুই দেশকে পথ দেখাতে একটি অভিন্ন রূপকল্প তৈরি ও বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল শনিবার এক শীর্ষ বৈঠকে এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই নেতার মধ্যে একান্তে ও প্রতিনিধি পর্যায়ে দুই দফায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে সাতটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হয়। নবায়ন করা হয় আরও তিনটি সমঝোতা স্মারক।
৭ সমঝোতা স্মারক, ৩টি নবায়ন
দুই দেশের মধ্যে রেলসংযোগ নিয়ে সরকারি পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। আর বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সমুদ্র অর্থনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দুই সরকার একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ডিজিটাল পার্টনারশিপ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দুই দেশ সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে।
এর বাইরে সমুদ্রবিজ্ঞানসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) ও ভারতের বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
আর যৌথ ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের জাতীয় মহাকাশ প্রচার ও অনুমোদন কেন্দ্র ও ভারতের মহাকাশ বিভাগ একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
কৌশলগত ও পরিচালনগত সামরিক শিক্ষায় সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের মিরপুরস্থ ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
এ ছাড়া মৎস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল রাতে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, বৈঠকে বাংলাদেশের রাজশাহী ও ভারতের কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন, ভারতের গেদে ও বাংলাদেশের দর্শনা (চুয়াডাঙ্গা) এবং ভারতের হলদিবাড়ি ও বাংলাদেশের চিলাহাটির (নীলফামারী) মধ্যে মালবাহী ট্রেন, চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর বাইরে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতের এনপিসিআই-এর (ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অব ইন্ডিয়া) মধ্যে সমন্বিত লেনদেন চালুর বিষয়ে একটি চুক্তি সই, ভারতীয় গ্রিড হয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ, সিরাজগঞ্জে ভারতীয় অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো নির্মাণ ও বাংলাদেশ পুলিশের ৩৫০ কর্মকর্তাকে ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয় এতে।
এতে দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির জন্য একটি কাঠামো চুক্তি সইয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত রেলওয়ে ট্রানজিট সুবিধা দেবে। ভারত হয়ে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আনা-নেওয়ার জন্য একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও দক্ষতা বাড়াতে সামরিক শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ খোঁজার ওপরও গুরুত্ব দেয় ভারত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত সহজলভ্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। আর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহজ করতে সমন্বিত অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি সই ত্বরান্বিত করার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রী পরে হায়দরাবাদ ভবনেই অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের মধ্যকার আলোচনা ও সমঝোতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ভারত বিশ্বস্ত বন্ধু: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ও নরেন্দ্র মোদি একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে দুই দেশকে পথ দেখাতে একটি রূপকল্প তৈরি ও বাস্তবায়নের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ ও ‘সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ে দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করতেও তাঁরা সম্মত হন।দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত ও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, এমনটা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত বিশ্বস্ত বন্ধু ও আঞ্চলিক অংশীদার। এই জুনেই তাঁর নিজের দ্বিতীয়বার নয়াদিল্লি সফর ‘অভূতপূর্ব।’ এতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুনভাবে পথ চলা শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করতে তাঁরা ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছেন।
হাসিনা ৯ জুন দিল্লিতে তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অভিন্ন ভবিষ্যৎ লক্ষ্য স্থির: মোদি
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, এমন দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ লক্ষ্য স্থির করেছেন। সবুজ অংশীদারত্ব, ডিজিটাল অংশীদারত্ব, সুনীল অর্থনীতি ও মহাকাশের মতো অনেক ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ফলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
অভিন্ন নদী তিস্তার সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয় খতিয়ে দেখতে ভারতের একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে। তবে দুই দেশের মধ্যে বহমান তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য এর আগে সম্মত হওয়া খসড়া চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। আর ১৯৯৬ সালে সই হওয়া গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নের কারিগরি দিক নিয়ে দুই দেশ আলোচনা শুরু করবে। এমনটাই জানালেন মোদি।
ত্রিশ বছর মেয়াদি গঙ্গা চুক্তিটির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হবে। মোদি জানান, চিকিৎসা করতে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা চালু করা হবে। আর বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের সুবিধার জন্য রংপুরে একটি নতুন সহকারী হাইকমিশন খোলা হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর আলোচনায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণসহ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দুই দিনের সফরে শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লি পৌঁছান। গতকাল শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মোদি এ সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল রাত ৯টার দিকে ঢাকা ফিরেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং ও সেখানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
আরও পড়ুন:
শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে দুই দেশকে পথ দেখাতে একটি অভিন্ন রূপকল্প তৈরি ও বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল শনিবার এক শীর্ষ বৈঠকে এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই নেতার মধ্যে একান্তে ও প্রতিনিধি পর্যায়ে দুই দফায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে সাতটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হয়। নবায়ন করা হয় আরও তিনটি সমঝোতা স্মারক।
৭ সমঝোতা স্মারক, ৩টি নবায়ন
দুই দেশের মধ্যে রেলসংযোগ নিয়ে সরকারি পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। আর বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সমুদ্র অর্থনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দুই সরকার একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ডিজিটাল পার্টনারশিপ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দুই দেশ সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে।
এর বাইরে সমুদ্রবিজ্ঞানসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) ও ভারতের বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
আর যৌথ ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের জাতীয় মহাকাশ প্রচার ও অনুমোদন কেন্দ্র ও ভারতের মহাকাশ বিভাগ একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
কৌশলগত ও পরিচালনগত সামরিক শিক্ষায় সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের মিরপুরস্থ ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
এ ছাড়া মৎস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল রাতে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, বৈঠকে বাংলাদেশের রাজশাহী ও ভারতের কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন, ভারতের গেদে ও বাংলাদেশের দর্শনা (চুয়াডাঙ্গা) এবং ভারতের হলদিবাড়ি ও বাংলাদেশের চিলাহাটির (নীলফামারী) মধ্যে মালবাহী ট্রেন, চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর বাইরে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতের এনপিসিআই-এর (ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অব ইন্ডিয়া) মধ্যে সমন্বিত লেনদেন চালুর বিষয়ে একটি চুক্তি সই, ভারতীয় গ্রিড হয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ, সিরাজগঞ্জে ভারতীয় অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো নির্মাণ ও বাংলাদেশ পুলিশের ৩৫০ কর্মকর্তাকে ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয় এতে।
এতে দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির জন্য একটি কাঠামো চুক্তি সইয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত রেলওয়ে ট্রানজিট সুবিধা দেবে। ভারত হয়ে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আনা-নেওয়ার জন্য একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও দক্ষতা বাড়াতে সামরিক শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ খোঁজার ওপরও গুরুত্ব দেয় ভারত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত সহজলভ্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। আর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহজ করতে সমন্বিত অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি সই ত্বরান্বিত করার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রী পরে হায়দরাবাদ ভবনেই অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের মধ্যকার আলোচনা ও সমঝোতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ভারত বিশ্বস্ত বন্ধু: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ও নরেন্দ্র মোদি একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে দুই দেশকে পথ দেখাতে একটি রূপকল্প তৈরি ও বাস্তবায়নের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ ও ‘সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ে দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করতেও তাঁরা সম্মত হন।দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত ও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, এমনটা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত বিশ্বস্ত বন্ধু ও আঞ্চলিক অংশীদার। এই জুনেই তাঁর নিজের দ্বিতীয়বার নয়াদিল্লি সফর ‘অভূতপূর্ব।’ এতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুনভাবে পথ চলা শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করতে তাঁরা ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছেন।
হাসিনা ৯ জুন দিল্লিতে তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অভিন্ন ভবিষ্যৎ লক্ষ্য স্থির: মোদি
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, এমন দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ লক্ষ্য স্থির করেছেন। সবুজ অংশীদারত্ব, ডিজিটাল অংশীদারত্ব, সুনীল অর্থনীতি ও মহাকাশের মতো অনেক ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ফলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
অভিন্ন নদী তিস্তার সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয় খতিয়ে দেখতে ভারতের একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে। তবে দুই দেশের মধ্যে বহমান তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য এর আগে সম্মত হওয়া খসড়া চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। আর ১৯৯৬ সালে সই হওয়া গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নের কারিগরি দিক নিয়ে দুই দেশ আলোচনা শুরু করবে। এমনটাই জানালেন মোদি।
ত্রিশ বছর মেয়াদি গঙ্গা চুক্তিটির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হবে। মোদি জানান, চিকিৎসা করতে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা চালু করা হবে। আর বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের সুবিধার জন্য রংপুরে একটি নতুন সহকারী হাইকমিশন খোলা হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর আলোচনায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণসহ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দুই দিনের সফরে শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লি পৌঁছান। গতকাল শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মোদি এ সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল রাত ৯টার দিকে ঢাকা ফিরেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং ও সেখানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
আরও পড়ুন:
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪১ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে