নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেওয়া জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনাকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা বলছেন, যারা কখনো জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে পারবে না, তাঁরাই অশুভ পথ খুঁজে বেড়ায়। দলীয় নেতা কর্মীরা এই সব কর্মকাণ্ড প্রতিহত করবে বলে জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম প্রমুখ।
দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘অতীতের মতো আগামী দিনেও আমরা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
চোরাপথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। চোরাপথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করা হলে, প্রতিহত করা হবে। কোন অন্ধকার গলির সরকারের ভূত, কোন ফর্মুলা দিয়ে থাকলে, সেই পথও জয়বাংলার কর্মীরা প্রতিহত করবে।’
কেউ কেউ জাতীয় সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখছেন বলে দাবি করেন আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জাতীয় সরকারের নামে যারা আজকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। শেখ হাসিনার একজন কর্মী বেঁচে থাকতে তাদের রাজপথ দখল করতে দেব না।’
শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে অসাংবিধানিক সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলছেন। এরা করা? এরা এক এগারোর কুশীলব। যারা কখনো জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না, তাঁরাই অশুভ পথ খুঁজে বেড়ায়। অশুভ পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায়।’
হানিফ বলেন, ‘যারা অশুভ পন্থায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের জন্য এটা আজীবন দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা কর্মী থাকতে এই দেশে কাউকে অশুভ পন্থায় ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’
গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে দুই বছরের জন্য একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি সেখানে কিছু কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পন্থা সুপারিশ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জমজমাট ছিল। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলো থেকে আন্দোলন হয়নি। বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানান শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ‘আগের দিন রাত ১২টার পর খুব জমজমাট, এত বড় নেতার ঘটনা ঘটল হল থেকে কোন ছাত্র আসলো না। যদি ওই দিন কোন লোক আসত যদি একটা প্রতিবাদ করত তাহলে ওই খুনিরা পালানোর মতো জায়গা পেত না। এটা হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। বঙ্গবন্ধু মরার পর সিঁড়িতে পড়ে থাকত না। এর প্রতিশোধ হতো, যা হোক এটা ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।’
নেতা কর্মীদের সমালোচনা করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘আজকে আবার বলছে, মিছিল হচ্ছে শেখ হাসিনার কিছু হলে সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে, বঙ্গবন্ধুর হয়েছিল? স্লোগান দেবেন না, বঙ্গবন্ধু সিঁড়ির ওপর পরে ছিল। চারদিকে করতালি এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। এটা দুঃখে বললাম।’
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে আসছিল বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যত দিন শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বের প্রভাবে সারা পৃথিবীকে আলোকিত করবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে খাদ্যঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দেশই এই উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের ভালো লাগে না, আর ভালো লাগেনা কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারীর।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেওয়া জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনাকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা বলছেন, যারা কখনো জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে পারবে না, তাঁরাই অশুভ পথ খুঁজে বেড়ায়। দলীয় নেতা কর্মীরা এই সব কর্মকাণ্ড প্রতিহত করবে বলে জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম প্রমুখ।
দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘অতীতের মতো আগামী দিনেও আমরা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
চোরাপথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। চোরাপথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করা হলে, প্রতিহত করা হবে। কোন অন্ধকার গলির সরকারের ভূত, কোন ফর্মুলা দিয়ে থাকলে, সেই পথও জয়বাংলার কর্মীরা প্রতিহত করবে।’
কেউ কেউ জাতীয় সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখছেন বলে দাবি করেন আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জাতীয় সরকারের নামে যারা আজকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। শেখ হাসিনার একজন কর্মী বেঁচে থাকতে তাদের রাজপথ দখল করতে দেব না।’
শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে অসাংবিধানিক সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলছেন। এরা করা? এরা এক এগারোর কুশীলব। যারা কখনো জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না, তাঁরাই অশুভ পথ খুঁজে বেড়ায়। অশুভ পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায়।’
হানিফ বলেন, ‘যারা অশুভ পন্থায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের জন্য এটা আজীবন দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা কর্মী থাকতে এই দেশে কাউকে অশুভ পন্থায় ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’
গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে দুই বছরের জন্য একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি সেখানে কিছু কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পন্থা সুপারিশ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জমজমাট ছিল। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলো থেকে আন্দোলন হয়নি। বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানান শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ‘আগের দিন রাত ১২টার পর খুব জমজমাট, এত বড় নেতার ঘটনা ঘটল হল থেকে কোন ছাত্র আসলো না। যদি ওই দিন কোন লোক আসত যদি একটা প্রতিবাদ করত তাহলে ওই খুনিরা পালানোর মতো জায়গা পেত না। এটা হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। বঙ্গবন্ধু মরার পর সিঁড়িতে পড়ে থাকত না। এর প্রতিশোধ হতো, যা হোক এটা ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।’
নেতা কর্মীদের সমালোচনা করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘আজকে আবার বলছে, মিছিল হচ্ছে শেখ হাসিনার কিছু হলে সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে, বঙ্গবন্ধুর হয়েছিল? স্লোগান দেবেন না, বঙ্গবন্ধু সিঁড়ির ওপর পরে ছিল। চারদিকে করতালি এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। এটা দুঃখে বললাম।’
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে আসছিল বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যত দিন শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বের প্রভাবে সারা পৃথিবীকে আলোকিত করবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে খাদ্যঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দেশই এই উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের ভালো লাগে না, আর ভালো লাগেনা কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারীর।’
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৮ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
১০ ঘণ্টা আগে