ফারুক মেহেদী, ঢাকা
বাংলাদেশের মানুষকে কম দামে মাংস খাওয়াতে চায় ভারত। এ জন্য দেশটির পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এনবিআর এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। শুল্ক কমিয়ে ভারতীয় মাংস আমদানির অবাধ সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশের পশুপালন খাতের জন্য তা আত্মঘাতী হবে মনে করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী গত ২৪ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে একটি চিঠি দেন। তাতে তিনি বাংলাদেশে ভারতীয় মহিষের মাংস আমদানি সহজ করতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে মাংস আমদানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাংস উৎপাদনকারী দেশ। দেশটির মাংস স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ। যে কারণে বাংলাদেশেও তা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে চলতি বাজেটে মাংসের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় মাংস আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাইকমিশনার আরও লিখেছেন, সাফটা চুক্তির আওতায় ভারতীয় মাংস রপ্তানিকারকেরা এ সুবিধা পেতে পারেন।
বাংলাদেশে ভারতীয় মাংস আমদানি সহজ করতে শুল্ক কমানো হবে কি না–এ ব্যাপারে এনবিআরের শুল্ক বিভাগ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুল্ক কমানো হবে কি না এ নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। আদৌ কমানো হবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ভারতের প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত নিজের স্বার্থ দেখছে। তারা আমাদের স্বার্থ দেখবে না। আমাদের স্বার্থ আমাদেরই দেখতে হবে। তাদের স্বার্থে তারা শুল্ক কমাতে চায়। আমাদের উচিত আমাদের স্বার্থে তা না কমানো। এটা করলে দেশের জন্য এবং পশুপালন খাতের জন্য আত্মঘাতী হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ভারতীয় মাংস আমদানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের মাংসের চাহিদা আছে এটা ঠিক। তবে ঘাটতি নেই। যদি আমদানি বন্ধ করা যায়, তাহলে আমাদের পশুপালন খাত স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।’
জানা যায়, বাংলাদেশে এখন চাহিদার চেয়ে বেশি মাংস উৎপাদন হয়। কোরবানির শতভাগ চাহিদা পূরণ হচ্ছে নিজেদের উৎপাদিত পশু দিয়েই। রপ্তানি বাজারেও দেশের মাংসের বেশ কদর। তারপরও দেশে বৈধ ও অবৈধ পথে আসছে পশুর মাংস। এর মধ্যে বেশির ভাগই মহিষের মাংস। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে গড়ে প্রতি মাসে ৫ লাখ ১৬ হাজার কেজি মাংস আমদানি হয়েছে। প্রতিবেশী চীন, মিয়ানমার ও নেপাল থেকে দেশে মাংস এলেও প্রধান উৎসই ভারত।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ টন মাংস উদ্বৃত্ত হয়। আর কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৫৭ লাখ কেজি মাংস আমদানি হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা গত অর্থবছরেও অব্যাহত ছিল। নিজের দেশকে স্বাবলম্বী করতে চলতি বাজেটে মাংস আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার পরই ভারতীয় মাংস রপ্তানিকারকেরা আপত্তি করেন। এরপরই তাঁরা বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশের মানুষকে কম দামে মাংস খাওয়াতে চায় ভারত। এ জন্য দেশটির পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এনবিআর এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। শুল্ক কমিয়ে ভারতীয় মাংস আমদানির অবাধ সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশের পশুপালন খাতের জন্য তা আত্মঘাতী হবে মনে করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী গত ২৪ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে একটি চিঠি দেন। তাতে তিনি বাংলাদেশে ভারতীয় মহিষের মাংস আমদানি সহজ করতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে মাংস আমদানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাংস উৎপাদনকারী দেশ। দেশটির মাংস স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ। যে কারণে বাংলাদেশেও তা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে চলতি বাজেটে মাংসের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় মাংস আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাইকমিশনার আরও লিখেছেন, সাফটা চুক্তির আওতায় ভারতীয় মাংস রপ্তানিকারকেরা এ সুবিধা পেতে পারেন।
বাংলাদেশে ভারতীয় মাংস আমদানি সহজ করতে শুল্ক কমানো হবে কি না–এ ব্যাপারে এনবিআরের শুল্ক বিভাগ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুল্ক কমানো হবে কি না এ নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। আদৌ কমানো হবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ভারতের প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত নিজের স্বার্থ দেখছে। তারা আমাদের স্বার্থ দেখবে না। আমাদের স্বার্থ আমাদেরই দেখতে হবে। তাদের স্বার্থে তারা শুল্ক কমাতে চায়। আমাদের উচিত আমাদের স্বার্থে তা না কমানো। এটা করলে দেশের জন্য এবং পশুপালন খাতের জন্য আত্মঘাতী হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ভারতীয় মাংস আমদানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের মাংসের চাহিদা আছে এটা ঠিক। তবে ঘাটতি নেই। যদি আমদানি বন্ধ করা যায়, তাহলে আমাদের পশুপালন খাত স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।’
জানা যায়, বাংলাদেশে এখন চাহিদার চেয়ে বেশি মাংস উৎপাদন হয়। কোরবানির শতভাগ চাহিদা পূরণ হচ্ছে নিজেদের উৎপাদিত পশু দিয়েই। রপ্তানি বাজারেও দেশের মাংসের বেশ কদর। তারপরও দেশে বৈধ ও অবৈধ পথে আসছে পশুর মাংস। এর মধ্যে বেশির ভাগই মহিষের মাংস। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে গড়ে প্রতি মাসে ৫ লাখ ১৬ হাজার কেজি মাংস আমদানি হয়েছে। প্রতিবেশী চীন, মিয়ানমার ও নেপাল থেকে দেশে মাংস এলেও প্রধান উৎসই ভারত।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ টন মাংস উদ্বৃত্ত হয়। আর কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৫৭ লাখ কেজি মাংস আমদানি হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা গত অর্থবছরেও অব্যাহত ছিল। নিজের দেশকে স্বাবলম্বী করতে চলতি বাজেটে মাংস আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার পরই ভারতীয় মাংস রপ্তানিকারকেরা আপত্তি করেন। এরপরই তাঁরা বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে