নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতার জন্য গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
সচিবালয়ে রোববার এক সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই তথ্য জানান। বেনজীর বলেন, গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে (রোহিঙ্গা) গ্রেপ্তার করেছি। ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়। ইয়াবার ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করছি, এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার নিয়ে ঝামেলার বিষয়ে এক প্রশ্নে আইজিপি বলেন, খাবার নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি, আইওএম কাজ করে। সরকারের পক্ষ থেকে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) কাজ করছে। আমি মনে করছি শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, আগে চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে দুই হাজার ২০০ জন সেখানে কাজ করতেন, এদেরকে সাময়িকভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে নিয়োগ করা হত। তিন মাস পর পর রোটেট করা হত। এ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে নতুন করে একটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা ঢাকা থেকে আরও একটি ব্যাটালিয়নকে রিলোকেট (স্থানান্তরিত) করেছি। এখন তিনটা ব্যাটালিয়ন ওখানে ৩৪টি ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। আমরা ৩৪টি ক্যাম্পকে ক্লাস্টারে পুনর্বিন্যস্ত করেছি, একেকটা ক্লাস্টারের দায়িত্ব একেকটা এপিবিএন ক্যাম্পকে দেওয়া হয়েছে। ২২টি এপিবিএন ক্যাম্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এখন রাতে টহল দেওয়া হচ্ছে, পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী কাজ করে, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন রয়েছে। তারা ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহল দিচ্ছে। সেখানে যে তিনটি ব্যাটালিয়ন কাজ করে সেগুলোকে উখিয়া ও টেকনাফে নিয়ে যাব। যৌথ বাহিনীর টহলের জন্য এসওপিও করার কাজ চলছে।
সেনা সহায়তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বেনজীর বলেন, আমি মনে করি এটা শেষ হলে ক্যাম্পে এখন যে অবাধ চলাচলের বিষয় আছে সেটি বন্ধ হবে। বেড়ার বাইরে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, এটা তৈরি করা হলে আমাদের পক্ষে ক্যাম্পের বাইরে টহল দেওয়া সুবিধা হবে। ক্যাম্পের বাইরে কিছু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যে এসব নির্মাণ করা হবে। এসব কাজ শেষ হলে ক্যাম্পের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও সুবিধা হবে।
আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক ধরনের প্রশাসনিক বিষয় আছে। ১৯৭৯ সাল থেকে বিভিন্ন বিষয় আছে। মাঝেমধ্যে প্রত্যাবর্তন হয়েছে, আবার সীমানা পার হয়েছে। আগে থেকে যারা ছিল তাদের এক ধরনের রেশন দেওয়া হয়, নতুন যারা এসেছেন তাদের আরেক ধরনের রেশন দেওয়া হয়। এখানে অনেক ধরনের ইস্যু আছে সেগুলো বাংলাদেশ সরকারের ইস্যু নয়। সেখানে যারা কাজ করছে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি এবং চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলো মোকাবিলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং সব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতার জন্য গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
সচিবালয়ে রোববার এক সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই তথ্য জানান। বেনজীর বলেন, গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে (রোহিঙ্গা) গ্রেপ্তার করেছি। ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়। ইয়াবার ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করছি, এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার নিয়ে ঝামেলার বিষয়ে এক প্রশ্নে আইজিপি বলেন, খাবার নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি, আইওএম কাজ করে। সরকারের পক্ষ থেকে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) কাজ করছে। আমি মনে করছি শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, আগে চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে দুই হাজার ২০০ জন সেখানে কাজ করতেন, এদেরকে সাময়িকভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে নিয়োগ করা হত। তিন মাস পর পর রোটেট করা হত। এ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে নতুন করে একটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা ঢাকা থেকে আরও একটি ব্যাটালিয়নকে রিলোকেট (স্থানান্তরিত) করেছি। এখন তিনটা ব্যাটালিয়ন ওখানে ৩৪টি ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। আমরা ৩৪টি ক্যাম্পকে ক্লাস্টারে পুনর্বিন্যস্ত করেছি, একেকটা ক্লাস্টারের দায়িত্ব একেকটা এপিবিএন ক্যাম্পকে দেওয়া হয়েছে। ২২টি এপিবিএন ক্যাম্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এখন রাতে টহল দেওয়া হচ্ছে, পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী কাজ করে, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন রয়েছে। তারা ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহল দিচ্ছে। সেখানে যে তিনটি ব্যাটালিয়ন কাজ করে সেগুলোকে উখিয়া ও টেকনাফে নিয়ে যাব। যৌথ বাহিনীর টহলের জন্য এসওপিও করার কাজ চলছে।
সেনা সহায়তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বেনজীর বলেন, আমি মনে করি এটা শেষ হলে ক্যাম্পে এখন যে অবাধ চলাচলের বিষয় আছে সেটি বন্ধ হবে। বেড়ার বাইরে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, এটা তৈরি করা হলে আমাদের পক্ষে ক্যাম্পের বাইরে টহল দেওয়া সুবিধা হবে। ক্যাম্পের বাইরে কিছু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যে এসব নির্মাণ করা হবে। এসব কাজ শেষ হলে ক্যাম্পের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও সুবিধা হবে।
আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক ধরনের প্রশাসনিক বিষয় আছে। ১৯৭৯ সাল থেকে বিভিন্ন বিষয় আছে। মাঝেমধ্যে প্রত্যাবর্তন হয়েছে, আবার সীমানা পার হয়েছে। আগে থেকে যারা ছিল তাদের এক ধরনের রেশন দেওয়া হয়, নতুন যারা এসেছেন তাদের আরেক ধরনের রেশন দেওয়া হয়। এখানে অনেক ধরনের ইস্যু আছে সেগুলো বাংলাদেশ সরকারের ইস্যু নয়। সেখানে যারা কাজ করছে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি এবং চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলো মোকাবিলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং সব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে।
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৭ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৯ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৯ ঘণ্টা আগে