নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হঠাৎ সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান-পরবর্তী বিষয়ে তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে দেশকে এনে দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদেরকে স্পষ্ট বলে এসেছি—ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম, রক্ত দিয়ে আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোটের অধিকার শেখাতে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করি, রাস্তায় থাকি। এমন নয় যে নতুন এসেছি। স্কুলজীবন থেকেই রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে করেছি, ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে করেছি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া—সবই তো ভোট চোর।’
বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না। তারা সব জায়গায় গিয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ, তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতা থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং করেছে এবং এত বেশি টাকার মালিক হয়েছে যে এখন সেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না উল্লেখ করে দলের সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে তো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। আমরা কাজের মধ্যে দিয়ে আস্থা অর্জন করি।’
প্রধানমন্ত্রী জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে খালি হাতে ফিরেছেন বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির এই অভিযোগের কোনো উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধু দেশবাসীকে বলতে চাই, বিএনপির নেতারা মাইক একটা হাতে পেলে কীভাবে মিথ্যা কথা বলে—সেটা সবাই জেনে নেন। মিথ্যা বলাটা তাদের অভ্যাস। সবকিছুকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করে তারা। এই বিষয়ে যেন দেশবাসী সচেতন থাকে। তারা যা বলে সবই মিথ্যা। মিথ্যা কথায় কেউ কান দেবেন না। মিথ্যা কথায় কেউ বিশ্বাস করবেন না।’
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেকে বললেন মেগা প্রজেক্ট আমরা করে ফেলেছি, কিন্তু দরিদ্রের জন্য আমরা নাকি কিছু করিনি। এ রকম বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা বাংলাদেশটাকে দেখেনি। তারা ঘরের ভেতরেই আছেন। আর শুধু টেলিভিশনটাই দেখেন। দিন-দুনিয়া তাকিয়ে দেখেন না।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে গত বুধবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন।
নিউইয়র্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনের ফাঁকে অন্য উচ্চপর্যায়ের ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যান। লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজির সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
হঠাৎ সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান-পরবর্তী বিষয়ে তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে দেশকে এনে দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদেরকে স্পষ্ট বলে এসেছি—ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম, রক্ত দিয়ে আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোটের অধিকার শেখাতে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করি, রাস্তায় থাকি। এমন নয় যে নতুন এসেছি। স্কুলজীবন থেকেই রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে করেছি, ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে করেছি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া—সবই তো ভোট চোর।’
বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না। তারা সব জায়গায় গিয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ, তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতা থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং করেছে এবং এত বেশি টাকার মালিক হয়েছে যে এখন সেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না উল্লেখ করে দলের সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে তো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। আমরা কাজের মধ্যে দিয়ে আস্থা অর্জন করি।’
প্রধানমন্ত্রী জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে খালি হাতে ফিরেছেন বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির এই অভিযোগের কোনো উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধু দেশবাসীকে বলতে চাই, বিএনপির নেতারা মাইক একটা হাতে পেলে কীভাবে মিথ্যা কথা বলে—সেটা সবাই জেনে নেন। মিথ্যা বলাটা তাদের অভ্যাস। সবকিছুকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করে তারা। এই বিষয়ে যেন দেশবাসী সচেতন থাকে। তারা যা বলে সবই মিথ্যা। মিথ্যা কথায় কেউ কান দেবেন না। মিথ্যা কথায় কেউ বিশ্বাস করবেন না।’
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেকে বললেন মেগা প্রজেক্ট আমরা করে ফেলেছি, কিন্তু দরিদ্রের জন্য আমরা নাকি কিছু করিনি। এ রকম বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা বাংলাদেশটাকে দেখেনি। তারা ঘরের ভেতরেই আছেন। আর শুধু টেলিভিশনটাই দেখেন। দিন-দুনিয়া তাকিয়ে দেখেন না।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে গত বুধবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন।
নিউইয়র্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনের ফাঁকে অন্য উচ্চপর্যায়ের ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যান। লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজির সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৪ ঘণ্টা আগে