কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান কৌশলগত ও গভীর সম্পর্ককে নিবিড় অংশীদারত্বে উন্নীত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সম্ভাব্য সব উপায়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান। এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াংয়ের সঙ্গে একই ভবনে শেখ হাসিনা আলাদা বৈঠক করেন।
বাংলাদেশকে চারটি উপায়ে (অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, কম সুদে ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ) অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে তাঁর দেশের বিনিয়োগ বাড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুই নেতার মধ্যে আলোচনার বিষয়গুলো সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলতে শিগগির চীনের একটি কারিগরি দলের ঢাকা সফরে আসার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিষয়টি সি চিন পিং নিজেই বৈঠকে তোলেন। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন সব উপায়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। মিয়ানমার সরকার ও প্রয়োজনে রাখাইনের আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে চীন, এমন প্রতিশ্রুতি দেন প্রেসিডেন্ট।
আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক গভীরতর করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সি চিন পিং বলেন, সুশাসনের জন্য ভালো দল দরকার।
শেখ হাসিনা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়ানো, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, ব্রিকসে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই শীর্ষ নেতাকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
চীনা নেতারা বাণিজ্য ঘাটতি কমানোসহ সব বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গত ২১-২২ জুন ভারত সফরের দুই সপ্তাহ পর শেখ হাসিনা এবার চীন গেলেন।
১০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক সহযোগিতা
শেখ হাসিনার বৈঠকে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি (এক বিলিয়ন) ডলার অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াং। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
বাংলাদেশ এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা হিসেবে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা দেওয়ার জন্য দেশটিকে অনুরোধ করে।
২১ সমঝোতা স্মারক, ৭ ঘোষণাপত্র সই
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ২১টি সমঝোতা স্মারক ও ৭টি ঘোষণাপত্র সই করে। এর মধ্যে নবায়ন হওয়া দুটি স্মারকও রয়েছে।
যে ২১টি ক্ষেত্রে স্মারক সই হয়, তার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি, ইয়ার্লুং জাংবো (ব্রহ্মপুত্র, যমুনা) নদীতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্য বাংলাদেশকে দেওয়া, টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্ব, ব্যাংকিং ও বিমা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা, বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করা, বাংলাদেশে নবম মৈত্রী সেতু নির্মাণ ও ষষ্ঠ মৈত্রী সেতু সংস্কার, নাটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) ও সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সহযোগিতা।
আর যে সাতটি ক্ষেত্রে ঘোষণাপত্র সই হয়, তার মধ্যে রয়েছে—দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে পরিচালিত সমীক্ষার সমাপ্তি, বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তি সইয়ের জন্য আলোচনা শুরু, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন প্রকল্পের সমাপ্তি, রাজশাহী ওয়াসা পানি শোধনাগার প্রকল্প শুরু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শানদং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা।
চার দিনের সরকারি সফরে ৮ জুলাই শেখ হাসিনা বেইজিং যান। সফর সংক্ষিপ্ত করে বুধবার রাতেই তাঁর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা এবার চতুর্থবার চীনে গেলেন। এর আগে তিনি ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বেইজিং যান।
বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান কৌশলগত ও গভীর সম্পর্ককে নিবিড় অংশীদারত্বে উন্নীত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সম্ভাব্য সব উপায়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান। এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াংয়ের সঙ্গে একই ভবনে শেখ হাসিনা আলাদা বৈঠক করেন।
বাংলাদেশকে চারটি উপায়ে (অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, কম সুদে ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ) অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে তাঁর দেশের বিনিয়োগ বাড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুই নেতার মধ্যে আলোচনার বিষয়গুলো সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলতে শিগগির চীনের একটি কারিগরি দলের ঢাকা সফরে আসার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিষয়টি সি চিন পিং নিজেই বৈঠকে তোলেন। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন সব উপায়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। মিয়ানমার সরকার ও প্রয়োজনে রাখাইনের আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে চীন, এমন প্রতিশ্রুতি দেন প্রেসিডেন্ট।
আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক গভীরতর করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সি চিন পিং বলেন, সুশাসনের জন্য ভালো দল দরকার।
শেখ হাসিনা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়ানো, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, ব্রিকসে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই শীর্ষ নেতাকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
চীনা নেতারা বাণিজ্য ঘাটতি কমানোসহ সব বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গত ২১-২২ জুন ভারত সফরের দুই সপ্তাহ পর শেখ হাসিনা এবার চীন গেলেন।
১০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক সহযোগিতা
শেখ হাসিনার বৈঠকে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি (এক বিলিয়ন) ডলার অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াং। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
বাংলাদেশ এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা হিসেবে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা দেওয়ার জন্য দেশটিকে অনুরোধ করে।
২১ সমঝোতা স্মারক, ৭ ঘোষণাপত্র সই
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ২১টি সমঝোতা স্মারক ও ৭টি ঘোষণাপত্র সই করে। এর মধ্যে নবায়ন হওয়া দুটি স্মারকও রয়েছে।
যে ২১টি ক্ষেত্রে স্মারক সই হয়, তার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি, ইয়ার্লুং জাংবো (ব্রহ্মপুত্র, যমুনা) নদীতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্য বাংলাদেশকে দেওয়া, টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্ব, ব্যাংকিং ও বিমা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা, বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করা, বাংলাদেশে নবম মৈত্রী সেতু নির্মাণ ও ষষ্ঠ মৈত্রী সেতু সংস্কার, নাটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) ও সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সহযোগিতা।
আর যে সাতটি ক্ষেত্রে ঘোষণাপত্র সই হয়, তার মধ্যে রয়েছে—দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে পরিচালিত সমীক্ষার সমাপ্তি, বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তি সইয়ের জন্য আলোচনা শুরু, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন প্রকল্পের সমাপ্তি, রাজশাহী ওয়াসা পানি শোধনাগার প্রকল্প শুরু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শানদং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা।
চার দিনের সরকারি সফরে ৮ জুলাই শেখ হাসিনা বেইজিং যান। সফর সংক্ষিপ্ত করে বুধবার রাতেই তাঁর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা এবার চতুর্থবার চীনে গেলেন। এর আগে তিনি ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বেইজিং যান।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৫ ঘণ্টা আগে