নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। এ কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
স্বাধীনতার পরে এখন পর্যন্ত ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিককালে সিইসিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বরাবরই তাঁরা নিজেদের সফল বলেই দাবি করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ১২ সিইসি ও ২৭ জন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি ও আমলা।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের প্রথম সিইসি মো. ইদ্রিস সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই। তাঁর অধীনেই ১৯৭৩ সালের সাতই মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তীও এই কমিশন দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্বে ছিলেন।
সামরিক শাসকের আমলে ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই দ্বিতীয় সিইসি হিসেবে বিচারপতি একেএম নূরুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অধীনেই ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি প্রায় আট বছর সিইসি ছিলেন। ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ছাড়েন।
তৃতীয় সিইসি হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পান বিচারপতি বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ। এই সিইসির অধীনে ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই নির্বাচনেই বিজয়ী হয় সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। তিনিই প্রথম সিইসি যাঁর অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বছরের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের পঞ্চম সিইসি হিসেবে বিচারপতি আবদুর রউফ ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেন। তাঁর অধীনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয় বিএনপি। তিনি দায়িত্বে থাকাকালেই মাগুরা ও মিরপুরের দুটি বিতর্কিত উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ এপ্রিল ১৯৯৫ পর্যন্ত সিইসির দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি আবদুর রউফ।
ওই বছরের ২৭ এপ্রিল বিচারপতি একেএম সাদেক সিইসি হিসেবে ইসিতে যোগ দিয়ে ৬ এপ্রিল ১৯৯৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অধীনে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগসহ বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে সরকার গঠনের পরেও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় বিএনপি।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেন তখনকার রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস। পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল বিদায় নেন বিচারপতি একেএম সাদিকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
আমলাদের মধ্যে প্রথম মোহাম্মদ আবু হেনাকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হেনা কমিশনের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আবু হেনা কমিশন ২০০০ সালের ৮ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
২০০০ সালের ২৩ মে দেশের অষ্টম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক সচিব এমএ সাঈদ। এ কমিশনের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট। ২০০৫ সালের ২২ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে সাঈদ কমিশন।
২০০৫ সালের ২৩ মে সিইসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি এমএ আজিজ। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের বিরোধিতা করে আন্দোলনের ডাক দেয় তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট। আজিজ কমিশন ২০০৭ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করে। কিন্তু ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সেই সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। যেটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামেই পরিচিত। ২১ জানুয়ারি বিদায় নেয় আজিজ কমিশন।
২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের ১০ম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা ড. এটিএম শামসুল হুদা। শামসুল হুদা কমিশনের অধীনেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শামসুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।
১১ তম সিইসি হিসেবে ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। রকিব কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হয় রকিব কমিশনের।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখে তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। হুদা কমিশনের অধীনেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নিরঙ্কুশভাবে জয় পেয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ বিরোধী দলের অভিযোগ ছিল, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। আগের রাতেই অধিকাংশ ভোট কেটে নেওয়ার অভিযোগ করে দলগুলো। যদিও মেয়াদের শেষাবধি পর্যন্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুদা কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখ তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে নিজেদের সফলই দাবি করেছে হুদা কমিশন।
কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। এ কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
স্বাধীনতার পরে এখন পর্যন্ত ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিককালে সিইসিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বরাবরই তাঁরা নিজেদের সফল বলেই দাবি করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ১২ সিইসি ও ২৭ জন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি ও আমলা।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিইসির দায়িত্ব পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরপর সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাতজন বিচারপতি সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। আমলাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হেনা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ মোট পাঁচজন আমলা সিইসির দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের প্রথম সিইসি মো. ইদ্রিস সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই। তাঁর অধীনেই ১৯৭৩ সালের সাতই মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তীও এই কমিশন দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্বে ছিলেন।
সামরিক শাসকের আমলে ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই দ্বিতীয় সিইসি হিসেবে বিচারপতি একেএম নূরুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অধীনেই ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি প্রায় আট বছর সিইসি ছিলেন। ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ছাড়েন।
তৃতীয় সিইসি হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পান বিচারপতি বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ। এই সিইসির অধীনে ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই নির্বাচনেই বিজয়ী হয় সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। তিনিই প্রথম সিইসি যাঁর অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বছরের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের পঞ্চম সিইসি হিসেবে বিচারপতি আবদুর রউফ ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেন। তাঁর অধীনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয় বিএনপি। তিনি দায়িত্বে থাকাকালেই মাগুরা ও মিরপুরের দুটি বিতর্কিত উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ এপ্রিল ১৯৯৫ পর্যন্ত সিইসির দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি আবদুর রউফ।
ওই বছরের ২৭ এপ্রিল বিচারপতি একেএম সাদেক সিইসি হিসেবে ইসিতে যোগ দিয়ে ৬ এপ্রিল ১৯৯৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অধীনে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগসহ বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে সরকার গঠনের পরেও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় বিএনপি।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেন তখনকার রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস। পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল বিদায় নেন বিচারপতি একেএম সাদিকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
আমলাদের মধ্যে প্রথম মোহাম্মদ আবু হেনাকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হেনা কমিশনের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আবু হেনা কমিশন ২০০০ সালের ৮ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
২০০০ সালের ২৩ মে দেশের অষ্টম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক সচিব এমএ সাঈদ। এ কমিশনের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট। ২০০৫ সালের ২২ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে সাঈদ কমিশন।
২০০৫ সালের ২৩ মে সিইসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি এমএ আজিজ। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের বিরোধিতা করে আন্দোলনের ডাক দেয় তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট। আজিজ কমিশন ২০০৭ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করে। কিন্তু ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সেই সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। যেটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামেই পরিচিত। ২১ জানুয়ারি বিদায় নেয় আজিজ কমিশন।
২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের ১০ম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা ড. এটিএম শামসুল হুদা। শামসুল হুদা কমিশনের অধীনেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শামসুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।
১১ তম সিইসি হিসেবে ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। রকিব কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হয় রকিব কমিশনের।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখে তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। হুদা কমিশনের অধীনেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নিরঙ্কুশভাবে জয় পেয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ বিরোধী দলের অভিযোগ ছিল, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। আগের রাতেই অধিকাংশ ভোট কেটে নেওয়ার অভিযোগ করে দলগুলো। যদিও মেয়াদের শেষাবধি পর্যন্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুদা কমিশন। চলতি মাসের ১৪ তারিখ তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে নিজেদের সফলই দাবি করেছে হুদা কমিশন।
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
২০ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৮ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে