প্রতিনিধি, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা)
কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য খুলনা-ঢাকা পথের বিশেষ ট্রেন ‘ক্যাটল এক্সপ্রেস’ দ্বিতীয় দিনও ছাড়েনি। রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গবাদিপশুর অভাবে খুলনা থেকে ট্রেনটি ছাড়া হয়নি। আগামীকাল সোমবারও ছাড়ার সম্ভাবনা নেই।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর কোরবানির পশুহাটগুলোতে বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে করে পশু আনার জন্য ১৭ থেকে ১৯ জুলাই টানা তিন দিন এই বিশেষ ট্রেন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ট্রেনের সেবা নিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রচার-প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধ করণসভাও করা হয়েছিল।
গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনটির উদ্বোধন এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশনের পথে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খুলনা বিভাগের একটি জেলা খামারি ও ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে সাড়া না মেলায় ট্রেনটি ছেড়ে যায়নি।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর জামালপুর ও ময়মনসিংহ পথে পরীক্ষামূলকভাবে ‘ক্যাটল এক্সপ্রেস’ চালানো হয়। এ বছর দেশের উত্তরাঞ্চল এবং চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোকে যুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাগীয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (কমার্শিয়াল) মো. শামিমুর রহমান জানান, খুলনা স্টেশন ছাড়াও যশোর, ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার পোড়াদহ জংশনসহ ঢাকা পথের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলো থেকে গবাদিপশু ঢাকার তেজগাঁও স্টেশন পর্যন্ত পরিবহনের কথা ছিল। প্রতিটি স্টেশনে অন্তত একটি পণ্যবাহী বগিতে (বিসি ওয়াগন) ১৪ হাজার ৯০০ টাকা ভাড়ায় ২০টি করে গরু বহনের সুযোগ ছিল। কিন্তু, দুই দিনে খুলনা বিভাগের আটটি স্টেশনের একটিতেও কেউ যোগাযোগ করেননি।
এ নিয়ে খামারিদের ভাষ্য, ট্রেনে গবাদিপশু ঢাকায় নিতে ট্রাক যোগে পরিবহনের তুলনায় খরচ ও দুর্ভোগ দুটোই বেশি। আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মাজহাদ গ্রামের খামারি হাজ্জাজ হোসেন বলেন, ট্রাকে করে পশু নিয়ে সরাসরি ঢাকার পশুহাটগুলোতে একটানা যাওয়া যায়, ট্রেনে তা সম্ভব নয়। ট্রেনে যেতে হলে প্রথমে খামার থেকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে নিতে হবে। এরপর ট্রেনে চড়ে ঢাকায় এবং ঢাকার স্টেশন থেকে আবারও ট্রাক যোগে পশুহাটে যেতে হবে। এতে অনেক দুর্ভোগ হবে। তিনি বলেন, ট্রাকে যত সুন্দর করে গরু সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, ট্রেনে তা সম্ভব নয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, ট্রেনে পশু পরিবহনের বিষয়টি অবগত করতে গত কয়েক দিন ধরে মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় খামারি ও গরু ব্যবসায়ীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কেউই ট্রেনে যেতে আগ্রহী নন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য জেলায় পশুর চাহিদা ৭৫ হাজার ৩ টি। সেখানে ৭ হাজার ৭৪৫টি খামারে ও পারিবারিকভাবে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৫টি গরু-ছাগল-মহিষ-ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি হিসেবেই জেলায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ৩৭ হাজার ৯৫২টি পশু রয়েছে।
কর্মকর্তাদের দাবি, এসব পশুর অন্তত ৭০ শতাংশ এরই মধ্যে খামার থেকে সরাসরি ও অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। বড় খামারিরা নিজেরাই ট্রাকভর্তি করে গরু ঢাকার কোরবানির পশুহাটে নিয়ে গেছেন।
কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য খুলনা-ঢাকা পথের বিশেষ ট্রেন ‘ক্যাটল এক্সপ্রেস’ দ্বিতীয় দিনও ছাড়েনি। রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গবাদিপশুর অভাবে খুলনা থেকে ট্রেনটি ছাড়া হয়নি। আগামীকাল সোমবারও ছাড়ার সম্ভাবনা নেই।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর কোরবানির পশুহাটগুলোতে বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে করে পশু আনার জন্য ১৭ থেকে ১৯ জুলাই টানা তিন দিন এই বিশেষ ট্রেন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ট্রেনের সেবা নিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রচার-প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধ করণসভাও করা হয়েছিল।
গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনটির উদ্বোধন এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশনের পথে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খুলনা বিভাগের একটি জেলা খামারি ও ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে সাড়া না মেলায় ট্রেনটি ছেড়ে যায়নি।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর জামালপুর ও ময়মনসিংহ পথে পরীক্ষামূলকভাবে ‘ক্যাটল এক্সপ্রেস’ চালানো হয়। এ বছর দেশের উত্তরাঞ্চল এবং চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোকে যুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাগীয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (কমার্শিয়াল) মো. শামিমুর রহমান জানান, খুলনা স্টেশন ছাড়াও যশোর, ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার পোড়াদহ জংশনসহ ঢাকা পথের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলো থেকে গবাদিপশু ঢাকার তেজগাঁও স্টেশন পর্যন্ত পরিবহনের কথা ছিল। প্রতিটি স্টেশনে অন্তত একটি পণ্যবাহী বগিতে (বিসি ওয়াগন) ১৪ হাজার ৯০০ টাকা ভাড়ায় ২০টি করে গরু বহনের সুযোগ ছিল। কিন্তু, দুই দিনে খুলনা বিভাগের আটটি স্টেশনের একটিতেও কেউ যোগাযোগ করেননি।
এ নিয়ে খামারিদের ভাষ্য, ট্রেনে গবাদিপশু ঢাকায় নিতে ট্রাক যোগে পরিবহনের তুলনায় খরচ ও দুর্ভোগ দুটোই বেশি। আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মাজহাদ গ্রামের খামারি হাজ্জাজ হোসেন বলেন, ট্রাকে করে পশু নিয়ে সরাসরি ঢাকার পশুহাটগুলোতে একটানা যাওয়া যায়, ট্রেনে তা সম্ভব নয়। ট্রেনে যেতে হলে প্রথমে খামার থেকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে নিতে হবে। এরপর ট্রেনে চড়ে ঢাকায় এবং ঢাকার স্টেশন থেকে আবারও ট্রাক যোগে পশুহাটে যেতে হবে। এতে অনেক দুর্ভোগ হবে। তিনি বলেন, ট্রাকে যত সুন্দর করে গরু সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, ট্রেনে তা সম্ভব নয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, ট্রেনে পশু পরিবহনের বিষয়টি অবগত করতে গত কয়েক দিন ধরে মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় খামারি ও গরু ব্যবসায়ীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কেউই ট্রেনে যেতে আগ্রহী নন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য জেলায় পশুর চাহিদা ৭৫ হাজার ৩ টি। সেখানে ৭ হাজার ৭৪৫টি খামারে ও পারিবারিকভাবে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৫টি গরু-ছাগল-মহিষ-ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি হিসেবেই জেলায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ৩৭ হাজার ৯৫২টি পশু রয়েছে।
কর্মকর্তাদের দাবি, এসব পশুর অন্তত ৭০ শতাংশ এরই মধ্যে খামার থেকে সরাসরি ও অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। বড় খামারিরা নিজেরাই ট্রাকভর্তি করে গরু ঢাকার কোরবানির পশুহাটে নিয়ে গেছেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৪ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৫ ঘণ্টা আগে