নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাঁর সরকার কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য অটুট রেখে এর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করা হবে। সে জন্য আমি সবাইকে, বিশেষ করে কক্সবাজারবাসীকে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ আজ বুধবার কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত দূরদর্শী নেতৃত্ব ছিল, আপনারা দেখেন, ১৯৭৪ সালে তিনি সমুদ্রসীমা আইন করেন। এমনকি জাতিসংঘও কিন্তু তখন করেনি। জাতিসংঘ করেছে ৮২ সালে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে এই বিশাল সমুদ্রে আমাদের যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকার নিশ্চিত করবার জন্যই জাতির পিতা আইনটি করে দিয়ে যান। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ’৭৪ সালে তিনি আইন করেন, ৭৫ সালে নির্মমভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়। এরপর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল একের পর এক, তারা কিন্তু এই সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার আছে এ বিষয়টা নিয়ে কখনো কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর আমি প্রথম এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিন্তু এটা নিতে গেলে অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়। আমরা অনেক দূর কাজ করে যাই, কিন্তু এরপর ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে আমরা দেখেছি তখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৮-এর নির্বাচনে সরকারে এসে তখন থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নিই। সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার, সে অধিকার আমরা আজ প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন এই সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমাদের অর্থনীতিতে যাতে অবদান রাখতে পারে সেই ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই। তাই আমরা সুনীল অর্থনীতি গ্রহণ করেছি। এরই ভিত্তিতে আমরা উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করতে চাই।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কক্সবাজার এত চমৎকার একটা জায়গা, এটা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। সে জন্য কক্সবাজারবাসীর কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যেখানে-সেখানে যত্রতত্রভাবে কোনো স্থাপনা আপনারা করবেন না। কক্সবাজারে আমরা কিন্তু অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টারপ্ল্যান করার আমরা নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। এর উন্নয়নটা যাতে অপরিকল্পিতভাবে না হয়, যাতে পরিকল্পিতভাবে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, এটাতে পর্যটনের ক্ষেত্রটা আরও প্রসারিত করা। আবার দেশীয় পর্যটকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করার উদ্যোগটাই আমরা নিতে চাচ্ছি। তা ছাড়া এটা আন্তর্জাতিক এয়ার রুটে পড়ে। আমরা কক্সবাজারে যে বিমানবন্দর, সেই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ চলমান রয়েছে। এই বিমানবন্দরটা যখন হবে, তখন আপনারা জানেন যে আজকে যারা পশ্চিমা দেশ থেকে প্রাচ্যের দেশে যায়, তারা কিন্তু এই কক্সবাজার থেকে রিফুয়েলিং করবে।’
তিনি বলেন, কারণ রিফুয়েলিং কিন্তু একেক সময় একেকটা দেশ অগ্রাধিকার পায়। একসময় হংকং ছিল। এরপরে আমরা দেখেছি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশপথে রিফুয়েলিংয়ের একটা জায়গা। তার ফলে এখানে অনেক কাজ হবে। আমরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেছি। সেখানে ফুটবল স্টেডিয়াম হবে। সেখানে অন্যান্য খেলাধুলার পুরো ব্যবস্থাটা নেওয়া হবে। যেকোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এখানে যাতে হতে পারে, সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি।’
কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাঁর সরকার কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য অটুট রেখে এর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করা হবে। সে জন্য আমি সবাইকে, বিশেষ করে কক্সবাজারবাসীকে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ আজ বুধবার কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত দূরদর্শী নেতৃত্ব ছিল, আপনারা দেখেন, ১৯৭৪ সালে তিনি সমুদ্রসীমা আইন করেন। এমনকি জাতিসংঘও কিন্তু তখন করেনি। জাতিসংঘ করেছে ৮২ সালে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে এই বিশাল সমুদ্রে আমাদের যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকার নিশ্চিত করবার জন্যই জাতির পিতা আইনটি করে দিয়ে যান। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ’৭৪ সালে তিনি আইন করেন, ৭৫ সালে নির্মমভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়। এরপর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল একের পর এক, তারা কিন্তু এই সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার আছে এ বিষয়টা নিয়ে কখনো কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর আমি প্রথম এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিন্তু এটা নিতে গেলে অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়। আমরা অনেক দূর কাজ করে যাই, কিন্তু এরপর ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে আমরা দেখেছি তখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৮-এর নির্বাচনে সরকারে এসে তখন থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নিই। সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার, সে অধিকার আমরা আজ প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন এই সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমাদের অর্থনীতিতে যাতে অবদান রাখতে পারে সেই ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই। তাই আমরা সুনীল অর্থনীতি গ্রহণ করেছি। এরই ভিত্তিতে আমরা উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করতে চাই।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কক্সবাজার এত চমৎকার একটা জায়গা, এটা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। সে জন্য কক্সবাজারবাসীর কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যেখানে-সেখানে যত্রতত্রভাবে কোনো স্থাপনা আপনারা করবেন না। কক্সবাজারে আমরা কিন্তু অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টারপ্ল্যান করার আমরা নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। এর উন্নয়নটা যাতে অপরিকল্পিতভাবে না হয়, যাতে পরিকল্পিতভাবে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, এটাতে পর্যটনের ক্ষেত্রটা আরও প্রসারিত করা। আবার দেশীয় পর্যটকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করার উদ্যোগটাই আমরা নিতে চাচ্ছি। তা ছাড়া এটা আন্তর্জাতিক এয়ার রুটে পড়ে। আমরা কক্সবাজারে যে বিমানবন্দর, সেই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ চলমান রয়েছে। এই বিমানবন্দরটা যখন হবে, তখন আপনারা জানেন যে আজকে যারা পশ্চিমা দেশ থেকে প্রাচ্যের দেশে যায়, তারা কিন্তু এই কক্সবাজার থেকে রিফুয়েলিং করবে।’
তিনি বলেন, কারণ রিফুয়েলিং কিন্তু একেক সময় একেকটা দেশ অগ্রাধিকার পায়। একসময় হংকং ছিল। এরপরে আমরা দেখেছি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশপথে রিফুয়েলিংয়ের একটা জায়গা। তার ফলে এখানে অনেক কাজ হবে। আমরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেছি। সেখানে ফুটবল স্টেডিয়াম হবে। সেখানে অন্যান্য খেলাধুলার পুরো ব্যবস্থাটা নেওয়া হবে। যেকোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এখানে যাতে হতে পারে, সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি।’
কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
১৬ ডিসেম্বর জাতীয় বিজয় দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১০ মিনিট আগেছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় হওয়ায় মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
২১ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ থেকে সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়ার প্রশ্নে ধৈর্যের ঘাটতি লক্ষণীয়। গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হুমকি-হামলাসহ কোনো কোনো গণমাধ্যম
১ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার থাকা ৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আজ সোমবার হাজির করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সকাল পৌনে ১০ টার দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তাদের হাজির করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে