নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চর, হাওর, পাহাড় ও উপকূলীয় এলাকায় ১৭ শতাংশ কৃষকের চাষাবাদের ধরন বদলে গেছে এক জরিপে উঠে এসেছে। জরিপটি করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) নামের একটি সংগঠন।
আজ বুধবার সকালে এক ভার্চুয়াল সভায় জরিপের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। জরিপে ৩৫৩ জন পুরুষ ও ৬৫৭ জন নারী ও ১২ জন হিজড়া অংশ নেন।
কৃষির সঙ্গে জড়িত ১৭ দশমিক ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানান, কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাব পড়েছে। প্রভাব মোকাবিলায় তারা চাষাবাদের ধরন বদলে ফেলেছেন। যেমন—উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা ও বীজ ব্যবহার করছেন, ফসল কাটার সময় বদলে ফেলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বীজ সংরক্ষণ করছেন, জমিতে দিচ্ছেন কেঁচো সার ও জৈব সার।
সভায় জানানো হয়, সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় এমজেএফ চার বছরব্যাপী (সেপ্টেম্বর, ২০২২–আগস্ট, ২০২৬) ‘কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (ক্রিয়া) ’ নামক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির আওতায় ১৪টি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জেলার ১৪ উপজেলার ২৮টি উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোর বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থা এবং বিশেষ করে নারী ও মেয়ে-শিশুদের যে কোনো প্রয়োজনে সরকারি সংস্থাগুলো কীভাবে সাড়া দেয় তা মূল্যায়নের জন্য অ্যাসোসিয়েটস ফর ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এআইআরডি) লিমিটেডের সহযোগিতায় এই বেসলাইন জরিপ পরিচালিত হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৫ দশমিক ৭ শতাংশ বিবাহিত। তাদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, পুরুষদের বিয়ের গড় বয়স ২৬ ও নারীদের ১৬। গুণগত বিশ্লেষণ থেকে উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দারিদ্র্য ও সামাজিক রীতি-নীতি মেয়েদের কম বয়সে বিয়ের মূল কারণ।
এই জরিপে আরও উঠে এসেছে অংশগ্রহণকারীদের ৩০ দশমিক ৭২ শতাংশ (২২৭ জন নারী, ৮৩ জন পুরুষ ও ৫ জন হিজড়া) গত এক বছরে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার (শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন) শিকার হয়েছেন কিন্তু অভিযোগ জমা দিয়েছেন ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চর এলাকায় অভিযোগ করার হার সর্বোচ্চ এবং পাহাড়ি এলাকায় সহিংসতার শিকার হলেও কেউ অভিযোগ জমা দেয়নি।
জরিপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা ও করণীয় বিষয়ে ঘাটতি আছে। তারা সহিংসতার শিকার হলে সামাজিক অপবাদের ভয়ে ঘটনাগুলো প্রকাশ করেন না। অনেকেই মনে করেন এ ধরনের সহিংসতা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।
ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমীন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন একটা বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ধরনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমাদের মন্ত্রণালয় দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যেমন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, ন্যাশনালী ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি), মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান। জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে আমরা আমাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিজ্ঞা করেছি।’
জরিপ সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা জলবায়ুর প্রভাবে তাদের নিজ নিজ এলাকায় কী ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘আমাদের এই বেসলাইন সার্ভেতে নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে আমরা বারবার হোঁচট খাই। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বেশ কিছু বিষয় একসঙ্গে কাজ করতে হয়। যেমন, আইন ও নীতিমালার বাস্তবায়ন, নারীদের দক্ষতা বাড়ানো, তার অবদান স্বীকার করা। এভাবেই নারীর অবস্থা ও অবস্থানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চর, হাওর, পাহাড় ও উপকূলীয় এলাকায় ১৭ শতাংশ কৃষকের চাষাবাদের ধরন বদলে গেছে এক জরিপে উঠে এসেছে। জরিপটি করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) নামের একটি সংগঠন।
আজ বুধবার সকালে এক ভার্চুয়াল সভায় জরিপের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। জরিপে ৩৫৩ জন পুরুষ ও ৬৫৭ জন নারী ও ১২ জন হিজড়া অংশ নেন।
কৃষির সঙ্গে জড়িত ১৭ দশমিক ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানান, কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাব পড়েছে। প্রভাব মোকাবিলায় তারা চাষাবাদের ধরন বদলে ফেলেছেন। যেমন—উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা ও বীজ ব্যবহার করছেন, ফসল কাটার সময় বদলে ফেলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বীজ সংরক্ষণ করছেন, জমিতে দিচ্ছেন কেঁচো সার ও জৈব সার।
সভায় জানানো হয়, সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় এমজেএফ চার বছরব্যাপী (সেপ্টেম্বর, ২০২২–আগস্ট, ২০২৬) ‘কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (ক্রিয়া) ’ নামক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির আওতায় ১৪টি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জেলার ১৪ উপজেলার ২৮টি উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোর বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থা এবং বিশেষ করে নারী ও মেয়ে-শিশুদের যে কোনো প্রয়োজনে সরকারি সংস্থাগুলো কীভাবে সাড়া দেয় তা মূল্যায়নের জন্য অ্যাসোসিয়েটস ফর ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এআইআরডি) লিমিটেডের সহযোগিতায় এই বেসলাইন জরিপ পরিচালিত হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৫ দশমিক ৭ শতাংশ বিবাহিত। তাদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, পুরুষদের বিয়ের গড় বয়স ২৬ ও নারীদের ১৬। গুণগত বিশ্লেষণ থেকে উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দারিদ্র্য ও সামাজিক রীতি-নীতি মেয়েদের কম বয়সে বিয়ের মূল কারণ।
এই জরিপে আরও উঠে এসেছে অংশগ্রহণকারীদের ৩০ দশমিক ৭২ শতাংশ (২২৭ জন নারী, ৮৩ জন পুরুষ ও ৫ জন হিজড়া) গত এক বছরে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার (শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন) শিকার হয়েছেন কিন্তু অভিযোগ জমা দিয়েছেন ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চর এলাকায় অভিযোগ করার হার সর্বোচ্চ এবং পাহাড়ি এলাকায় সহিংসতার শিকার হলেও কেউ অভিযোগ জমা দেয়নি।
জরিপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা ও করণীয় বিষয়ে ঘাটতি আছে। তারা সহিংসতার শিকার হলে সামাজিক অপবাদের ভয়ে ঘটনাগুলো প্রকাশ করেন না। অনেকেই মনে করেন এ ধরনের সহিংসতা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।
ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমীন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন একটা বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ধরনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমাদের মন্ত্রণালয় দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যেমন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, ন্যাশনালী ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি), মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান। জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে আমরা আমাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিজ্ঞা করেছি।’
জরিপ সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা জলবায়ুর প্রভাবে তাদের নিজ নিজ এলাকায় কী ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘আমাদের এই বেসলাইন সার্ভেতে নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে আমরা বারবার হোঁচট খাই। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বেশ কিছু বিষয় একসঙ্গে কাজ করতে হয়। যেমন, আইন ও নীতিমালার বাস্তবায়ন, নারীদের দক্ষতা বাড়ানো, তার অবদান স্বীকার করা। এভাবেই নারীর অবস্থা ও অবস্থানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৫ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে