মারুফ কিবরিয়া ও সাজ্জাদ মাহমুদ খান, ঢাকা
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর চারটি ক্যাসিনোতে একযোগে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে ওই দিনই আটক করা হয় ১৮২ জনকে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে আরও অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব অভিযানে সরকারদলীয় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ঠিকাদার, ব্যবসায়ীসহ অনেকের নাম উঠে আসে। মামলাও হয় অনেকগুলো।
বেরিয়ে আসে তাঁদের অবৈধ ব্যবসা ও সম্পদের তথ্য। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু দুই বছরেও শেষ হচ্ছে না সংস্থাটির তদন্ত। দুদক বলছে, জটিল মামলা হওয়ায় তদন্ত শেষ হতে সময় লাগছে। অন্যদিকে ক্যাসিনো-কাণ্ডে সিআইডির দায়ের করা বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার তদন্তও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
দুই বছর আগে প্রাথমিকভাবে ৪৩ জনের তালিকা নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ধীরে ধীরে এই তালিকা দীর্ঘ হয়। ২০০ পেরিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা। সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমানসহ ১৬ জনের একটি তালিকা যুক্ত হয়। বর্তমানে কমিশনে অভিযুক্ত ব্যক্তির তালিকায় রয়েছে পাঁচ সাংসদের নামও। এঁরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সামশুল হক চৌধুরী, বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ এবং নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী, ঠিকাদার, কাস্টমস ও পুলিশ কর্মকর্তার নামও রয়েছে এই তালিকায়।
এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং পরে তা বিদেশে পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন।
দুদক সূত্র জানায়, দুই বছর আগে শুরু হওয়া অনুসন্ধানের বেশির ভাগই শেষ হয়নি। তবে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে ডজনখানেক। এর বাইরে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
ক্যাসিনো-কাণ্ডে দুদকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, জি কে শামীমসহ শীর্ষ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ১২ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ২৪ আসামির প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সম্পদও জব্দ করেছে দুদক। তবে অভিযোগের আওতায় থাকা সাংসদদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কমিশন।
এখন পর্যন্ত যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগপত্র দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, কাজী আনিছুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান, জাকির হোসেন, ঠিকাদার জি কে শামীম, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা এনামুল হক এনু, রুপন ভুঁইয়া, এবং কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ। এ ছাড়া মামলা তদন্তাধীন থাকা ব্যক্তিরা হলেন বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, ডিএসসিসির কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, ডিএনসিসির কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব, হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান, যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমান, এনআরবি গ্লোবালের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার, গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ও তাঁর স্ত্রী গোপা দে এবং জি কে শামীমের অন্যতম সহযোগী মুমিতুর রহমান।
মামলার তদন্তের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এগুলো তো জটিল মামলা। অনেক কাজ আছে। তাই সময় লেগে যাচ্ছে।
সিআইডির তদন্তও চলছে ধীরগতিতে
ক্যাসিনো-কাণ্ডে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে যাওয়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩টি মামলার ১১টিতেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। তবে আটকে আছে রমনা ও মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া সম্রাট, আরমান ও খালেদের বিরুদ্ধে হওয়া অর্থ পাচারের দুইটি মামলার তদন্ত।
সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার ক্যাসিনো-কাণ্ডের বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অগ্রগতি নিয়ে সিআইডি কার্যালয়ে বৈঠক হয়। সিআইডি প্রধান মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য চান। তবে মামলার তদন্তে সাম্প্রতিক সময়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। কারণ, পাচার হওয়া অর্থের গন্তব্যস্থল মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) আওতায় এই তিনটি দেশে টাকার ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে দেশগুলো এখন পর্যন্ত সিআইডিকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় মামলার তদন্তকাজ শেষ হচ্ছে না। গন্তব্য দেশগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া টাকা ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।
পুলিশ ও ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, `সম্রাট ও খালেদের টাকার ৯৫ শতাংশই গেছে বিদেশের ক্যাসিনোতে। টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে হুন্ডির মাধ্যমে। ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার কোর্টে টাকা গেলে সেটি ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন ব্যাপার। দীর্ঘ সময় টাকার গন্তব্য দেশ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো চিঠির উত্তর না দেওয়ায় মামলার তদন্তও শেষ করা যাচ্ছে না। মামলার তদন্তের আনুষঙ্গিক সব কাজ প্রায় শেষ। এখন দেশগুলো চিঠির উত্তর দিলেই অভিযোগপত্র জমা দিতে পারব।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, ৩ বার মালয়েশিয়া, ২ বার দুবাই, ১ বার হংকং গেছেন। আর এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত ২৩ বার সিঙ্গাপুর গেছেন।
গত বছরের ৭ জুন মতিঝিল থানায় খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে সাড়ে আট কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, খালেদের নামে মালয়েশিয়ার মেব্যাংক ও আরএইচবির কেএলসিসি শাখার চারটি হিসাবে মোট ২৫ লাখ ৫৭ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইটি সঞ্চয়ী হিসাবে পাওয়া গেছে ২২ লাখ ৫৭ হাজার এবং দুইটি এফডিআরে ৩ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। তিনি সিঙ্গাপুরে ৫ লাখ ৫ হাজার ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংকের একটি হিসাবে ১০ লাখ থাই বাথ রয়েছে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর চারটি ক্যাসিনোতে একযোগে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে ওই দিনই আটক করা হয় ১৮২ জনকে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে আরও অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব অভিযানে সরকারদলীয় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ঠিকাদার, ব্যবসায়ীসহ অনেকের নাম উঠে আসে। মামলাও হয় অনেকগুলো।
বেরিয়ে আসে তাঁদের অবৈধ ব্যবসা ও সম্পদের তথ্য। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু দুই বছরেও শেষ হচ্ছে না সংস্থাটির তদন্ত। দুদক বলছে, জটিল মামলা হওয়ায় তদন্ত শেষ হতে সময় লাগছে। অন্যদিকে ক্যাসিনো-কাণ্ডে সিআইডির দায়ের করা বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার তদন্তও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
দুই বছর আগে প্রাথমিকভাবে ৪৩ জনের তালিকা নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ধীরে ধীরে এই তালিকা দীর্ঘ হয়। ২০০ পেরিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা। সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমানসহ ১৬ জনের একটি তালিকা যুক্ত হয়। বর্তমানে কমিশনে অভিযুক্ত ব্যক্তির তালিকায় রয়েছে পাঁচ সাংসদের নামও। এঁরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সামশুল হক চৌধুরী, বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ এবং নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী, ঠিকাদার, কাস্টমস ও পুলিশ কর্মকর্তার নামও রয়েছে এই তালিকায়।
এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং পরে তা বিদেশে পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন।
দুদক সূত্র জানায়, দুই বছর আগে শুরু হওয়া অনুসন্ধানের বেশির ভাগই শেষ হয়নি। তবে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে ডজনখানেক। এর বাইরে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
ক্যাসিনো-কাণ্ডে দুদকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, জি কে শামীমসহ শীর্ষ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ১২ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ২৪ আসামির প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সম্পদও জব্দ করেছে দুদক। তবে অভিযোগের আওতায় থাকা সাংসদদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কমিশন।
এখন পর্যন্ত যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগপত্র দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, কাজী আনিছুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান, জাকির হোসেন, ঠিকাদার জি কে শামীম, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা এনামুল হক এনু, রুপন ভুঁইয়া, এবং কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ। এ ছাড়া মামলা তদন্তাধীন থাকা ব্যক্তিরা হলেন বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, ডিএসসিসির কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, ডিএনসিসির কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব, হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান, যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমান, এনআরবি গ্লোবালের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার, গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ও তাঁর স্ত্রী গোপা দে এবং জি কে শামীমের অন্যতম সহযোগী মুমিতুর রহমান।
মামলার তদন্তের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এগুলো তো জটিল মামলা। অনেক কাজ আছে। তাই সময় লেগে যাচ্ছে।
সিআইডির তদন্তও চলছে ধীরগতিতে
ক্যাসিনো-কাণ্ডে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে যাওয়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩টি মামলার ১১টিতেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। তবে আটকে আছে রমনা ও মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া সম্রাট, আরমান ও খালেদের বিরুদ্ধে হওয়া অর্থ পাচারের দুইটি মামলার তদন্ত।
সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার ক্যাসিনো-কাণ্ডের বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অগ্রগতি নিয়ে সিআইডি কার্যালয়ে বৈঠক হয়। সিআইডি প্রধান মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য চান। তবে মামলার তদন্তে সাম্প্রতিক সময়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। কারণ, পাচার হওয়া অর্থের গন্তব্যস্থল মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) আওতায় এই তিনটি দেশে টাকার ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে দেশগুলো এখন পর্যন্ত সিআইডিকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় মামলার তদন্তকাজ শেষ হচ্ছে না। গন্তব্য দেশগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া টাকা ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।
পুলিশ ও ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, `সম্রাট ও খালেদের টাকার ৯৫ শতাংশই গেছে বিদেশের ক্যাসিনোতে। টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে হুন্ডির মাধ্যমে। ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার কোর্টে টাকা গেলে সেটি ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন ব্যাপার। দীর্ঘ সময় টাকার গন্তব্য দেশ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো চিঠির উত্তর না দেওয়ায় মামলার তদন্তও শেষ করা যাচ্ছে না। মামলার তদন্তের আনুষঙ্গিক সব কাজ প্রায় শেষ। এখন দেশগুলো চিঠির উত্তর দিলেই অভিযোগপত্র জমা দিতে পারব।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, ৩ বার মালয়েশিয়া, ২ বার দুবাই, ১ বার হংকং গেছেন। আর এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত ২৩ বার সিঙ্গাপুর গেছেন।
গত বছরের ৭ জুন মতিঝিল থানায় খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে সাড়ে আট কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, খালেদের নামে মালয়েশিয়ার মেব্যাংক ও আরএইচবির কেএলসিসি শাখার চারটি হিসাবে মোট ২৫ লাখ ৫৭ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইটি সঞ্চয়ী হিসাবে পাওয়া গেছে ২২ লাখ ৫৭ হাজার এবং দুইটি এফডিআরে ৩ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। তিনি সিঙ্গাপুরে ৫ লাখ ৫ হাজার ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংকের একটি হিসাবে ১০ লাখ থাই বাথ রয়েছে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগে