নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দক্ষিণ এশিয়ার, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতার জন্য দেশগুলোর জনগণ নয়, বরং নীতিনির্ধারকেরা দায়ী। আর ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) কার্যকর হয়নি।
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪’ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ)-এর দ্বিতীয় দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে আসে।
এদিন বিকেলে ‘সার্ক অ্যান্ড বিয়ন্ড: নিউ পাথওয়েস ফর সাউথ এশিয়ান ইউনিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন’-শীর্ষক অধিবেশনে সার্কের অতীত এবং ভবিষ্যতে এই আঞ্চলিক সংস্থাটিকে কার্যকর করার বিষয়ে বক্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
এই অধিবেশনে চীনের জিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ক্যানডিডেট আমনা খান বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মানুষেরা আমরা একসঙ্গে ঘুরে বেড়াই, খাওয়া দাওয়া করি। মানুষের মধ্যে, জনগণের মধ্যে সমস্যা নেই। সমস্যা নীতিনির্ধারকদের। গণমাধ্যমও এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু বলিউড মুভিতে পাকিস্তানকে নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়, যে পাকিস্তানের আর্মি খারাপ। পাকিস্তানের মানুষ খারাপ। এটা ঠিক নয়।’
বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শুধু ভারত পাকিস্তান ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-পাকিস্তান, নেপাল-ভারত, আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যেও বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। বহু বছর ধরেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ সব সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে।
নেপালের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট এর রিসার্চ ডিরেক্টর প্রমোদ জশওয়াল বলেন, সরকার গণমাধ্যমগুলোকে এক ধরনের ন্যারেশন সেট করে দেয়। গণমাধ্যমগুলো সেটাই প্রচার করে।
ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ বলেন, ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠন হওয়ার পর চার দশক হলো। কিন্তু সেই অর্থে এর কোনো অগ্রগতি নেই। কোনো দেশের মধ্যে ক্রাইসিস বা ফেইলিওর (সংকট বা ব্যর্থতা) থাকলে একটা সংস্থা থমকে যাবে, এটা হতে পারে না।
নেপালের সংস্থা পলিসি এন্টারপ্রেনার্স ইনকরপোরেশনের পরিচালক অনুরাগ আচার্য বলেন, শুধুমাত্র ভারত এবং পাকিস্তানের জন্য সার্ক সামনে এগোচ্ছে না। দুটো দেশের সম্পর্কের জন্য একটা সংস্থা থেমে যাবে তা হতে পারে না। পাকিস্তান ব্রিকসের সদস্য হতেও আবেদন করেছে। যদি তারা সদস্যপদ পেয়ে যায়, তবে সেখানেও কী একই অবস্থা দাঁড়াবে?
পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের পরিচালক সোহাইল মাহমুদ বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা নতুন নয়। ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠন হওয়ার পরেও দুই দেশের মধ্যে সমস্যা ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর সেটা অন্য মাত্রা পেয়েছে।
এই অধিবেশনে আরও অংশ নেন মালদ্বীপের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আবদুল্লাহ রশীদ আহমেদ, আফগানিস্তান সিকিউরিটি ইনস্টিটিউট, কানাডার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফান ধর, প্রথম আলোর ভারতীয় প্রতিনিধি শুভজিৎ বাগচীর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশগুলোর মধ্যে নানা ইস্যু নিয়ে সম্পর্কের ওঠা নামা থাকবেই। কিন্তু নিজের স্বার্থ এবং নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতার জন্য দেশগুলোর জনগণ নয়, বরং নীতিনির্ধারকেরা দায়ী। আর ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) কার্যকর হয়নি।
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪’ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ)-এর দ্বিতীয় দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে আসে।
এদিন বিকেলে ‘সার্ক অ্যান্ড বিয়ন্ড: নিউ পাথওয়েস ফর সাউথ এশিয়ান ইউনিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন’-শীর্ষক অধিবেশনে সার্কের অতীত এবং ভবিষ্যতে এই আঞ্চলিক সংস্থাটিকে কার্যকর করার বিষয়ে বক্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
এই অধিবেশনে চীনের জিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ক্যানডিডেট আমনা খান বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মানুষেরা আমরা একসঙ্গে ঘুরে বেড়াই, খাওয়া দাওয়া করি। মানুষের মধ্যে, জনগণের মধ্যে সমস্যা নেই। সমস্যা নীতিনির্ধারকদের। গণমাধ্যমও এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু বলিউড মুভিতে পাকিস্তানকে নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়, যে পাকিস্তানের আর্মি খারাপ। পাকিস্তানের মানুষ খারাপ। এটা ঠিক নয়।’
বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শুধু ভারত পাকিস্তান ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-পাকিস্তান, নেপাল-ভারত, আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যেও বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। বহু বছর ধরেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ সব সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে।
নেপালের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট এর রিসার্চ ডিরেক্টর প্রমোদ জশওয়াল বলেন, সরকার গণমাধ্যমগুলোকে এক ধরনের ন্যারেশন সেট করে দেয়। গণমাধ্যমগুলো সেটাই প্রচার করে।
ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ বলেন, ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠন হওয়ার পর চার দশক হলো। কিন্তু সেই অর্থে এর কোনো অগ্রগতি নেই। কোনো দেশের মধ্যে ক্রাইসিস বা ফেইলিওর (সংকট বা ব্যর্থতা) থাকলে একটা সংস্থা থমকে যাবে, এটা হতে পারে না।
নেপালের সংস্থা পলিসি এন্টারপ্রেনার্স ইনকরপোরেশনের পরিচালক অনুরাগ আচার্য বলেন, শুধুমাত্র ভারত এবং পাকিস্তানের জন্য সার্ক সামনে এগোচ্ছে না। দুটো দেশের সম্পর্কের জন্য একটা সংস্থা থেমে যাবে তা হতে পারে না। পাকিস্তান ব্রিকসের সদস্য হতেও আবেদন করেছে। যদি তারা সদস্যপদ পেয়ে যায়, তবে সেখানেও কী একই অবস্থা দাঁড়াবে?
পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের পরিচালক সোহাইল মাহমুদ বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা নতুন নয়। ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠন হওয়ার পরেও দুই দেশের মধ্যে সমস্যা ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর সেটা অন্য মাত্রা পেয়েছে।
এই অধিবেশনে আরও অংশ নেন মালদ্বীপের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আবদুল্লাহ রশীদ আহমেদ, আফগানিস্তান সিকিউরিটি ইনস্টিটিউট, কানাডার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফান ধর, প্রথম আলোর ভারতীয় প্রতিনিধি শুভজিৎ বাগচীর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশগুলোর মধ্যে নানা ইস্যু নিয়ে সম্পর্কের ওঠা নামা থাকবেই। কিন্তু নিজের স্বার্থ এবং নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকতে হবে।
দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বন্যার ফলে অনেক জায়গায় ফসলহানি হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ ‘বেশ ভালোভাবে এগিয়ে’ যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও সরকার ভারতের কাছে ফেরত চাইবে। আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই ট্রেন যেতে যেতে সরকারকে অনেকগুলো কাজ সারতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম তিন মাসে সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যায় পর্যন্ত ৮০ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়েছে ১০১ জনের। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে চার কর্মকর্তাকে
৩ ঘণ্টা আগে