নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানব সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি। দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, নিহতের মধ্যে নারী ৫ হাজার ১০৩ (১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ), শিশু ৪ হাজার ৭৮৫ (১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ)। ১১ হাজার ৬৬৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ হাজার ৫৯৩ জন, যা মোট নিহতের ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৩৫৮ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এই সময়ে ৫৮৭টি নৌদুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত এবং ৩৬৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ১১ হাজার ৫৯৩ জন (৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ), বাসযাত্রী ১ হাজার ৯১৫ জন (৫ দশমিক ৪১ শতাংশ), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ইত্যাদি) ২ হাজার ৫১১ জন (৭ দশমিক ০৯ শতাংশ), প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ১ হাজার ৫৪৪ জন (৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী ৬ হাার ৮০ জন (১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ২ হাজার ৩৫৭ জন (৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১ হাজার ২৬ জন (২ দশমিক ৮৯ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১ হাজার ৯৪২টি (৩৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১১ হাজার ৬৯৮টি (৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫ হাজার ৬৩টি (১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৩ হাজার ৯৭৪টি (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫৬টি (শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাসমূহের ৬ হাজার ৮৪৩টি (২০ দশমিক ৯০ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ হাজার ১৬৭টি (৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮ হাজার ৬৩১টি (২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৪ হাজার ৩৩৬টি (১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭৫৬টি (২ দশমিক ৩০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-ডাম্পট্রাক ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি তেলবাহী ট্যাংকার, বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মোটরবাইক ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটো ভ্যান-মিশুক-টেম্পো-লেগুনা ইত্যাদি) ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ১ হাজার ৮৫৩টি (৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ), সকালে ৯ হাজার ৬১৪টি (২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ), দুপুরে ৫ জাজার ৯০০ (১৮ শতাংশ), বিকেলে ৬ হাজার ১৯২ (১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ২ হাজার ৯৬১ (৯ শতাংশ) এবং রাতে ৬ হাজার ২১৩টি (১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
দুর্ঘটনার বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮ হাজার ১৭১টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২ হাজার ৬২টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ১২টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো—
১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে।
২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে।
৩. বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. মহাসড়কে স্বল্প গতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে।
৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে।
৭. সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হতে হবে।
৮. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৯. রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমাতে হবে।
১০. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।
১১. সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
১২. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।
গত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানব সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি। দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, নিহতের মধ্যে নারী ৫ হাজার ১০৩ (১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ), শিশু ৪ হাজার ৭৮৫ (১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ)। ১১ হাজার ৬৬৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ হাজার ৫৯৩ জন, যা মোট নিহতের ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৩৫৮ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এই সময়ে ৫৮৭টি নৌদুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত এবং ৩৬৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ১১ হাজার ৫৯৩ জন (৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ), বাসযাত্রী ১ হাজার ৯১৫ জন (৫ দশমিক ৪১ শতাংশ), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ইত্যাদি) ২ হাজার ৫১১ জন (৭ দশমিক ০৯ শতাংশ), প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ১ হাজার ৫৪৪ জন (৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী ৬ হাার ৮০ জন (১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ২ হাজার ৩৫৭ জন (৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১ হাজার ২৬ জন (২ দশমিক ৮৯ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১ হাজার ৯৪২টি (৩৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১১ হাজার ৬৯৮টি (৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫ হাজার ৬৩টি (১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৩ হাজার ৯৭৪টি (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫৬টি (শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাসমূহের ৬ হাজার ৮৪৩টি (২০ দশমিক ৯০ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ হাজার ১৬৭টি (৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮ হাজার ৬৩১টি (২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৪ হাজার ৩৩৬টি (১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭৫৬টি (২ দশমিক ৩০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-ডাম্পট্রাক ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি তেলবাহী ট্যাংকার, বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মোটরবাইক ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটো ভ্যান-মিশুক-টেম্পো-লেগুনা ইত্যাদি) ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ১ হাজার ৮৫৩টি (৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ), সকালে ৯ হাজার ৬১৪টি (২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ), দুপুরে ৫ জাজার ৯০০ (১৮ শতাংশ), বিকেলে ৬ হাজার ১৯২ (১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ২ হাজার ৯৬১ (৯ শতাংশ) এবং রাতে ৬ হাজার ২১৩টি (১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
দুর্ঘটনার বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮ হাজার ১৭১টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২ হাজার ৬২টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ১২টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো—
১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে।
২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে।
৩. বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. মহাসড়কে স্বল্প গতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে।
৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে।
৭. সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হতে হবে।
৮. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৯. রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমাতে হবে।
১০. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।
১১. সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
১২. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৮ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে