বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছেন রাজধানীর সব মানুষ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি ওয়ার্ডের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। ঝুঁকির পরিমাণ বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এডিসের মৌসুম-পূর্ব জরিপ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ বছর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়ি পরিদর্শন করে, তার মধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উত্তরে ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং দক্ষিণে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এর আগে নির্মাণাধীন বাড়িতে লার্ভা বেশি পাওয়া গেলেও এবার বেশি পাওয়া গেছে বহুতল ভবনে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষ যেসব জায়গায় বসবাস করেন সেখানে আমরা ১২ শতাংশ এবং শূন্য জমি যেখানে কোনো স্থাপনা নেই সেখানে আমরা ৫ শতাংশতে পজিটিভ পেয়েছি।’
উত্তরে ৪০টি এবং দক্ষিণে ৫৮টি ওয়ার্ডে পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রাক মৌসুম বা মৌসুম চলাকালীন যদি ব্লুটো ইনডেক্স ২০ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সামনে বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। উত্তরে আমরা ৪০টির মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডে ব্লুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি পেয়েছি। দক্ষিণে ৫৮টি ওয়ার্ডের মাঝে বেশি পেয়েছি ২৮ টিতে। পরিসংখ্যান বলে গোটা ঢাকা সিটিই ঝুঁকির মধ্যে আছে। হাউস ইনডেক্স ১০-এর নিচে থাকার কথা কিন্তু সেটি আমরা উত্তরে ৩৫টি ওয়ার্ডে পেয়েছি ১০-এর বেশি এবং দক্ষিণে ৪৫টি ওয়ার্ডে ১০-এর বেশি। কাজেই উত্তর-দক্ষিণ যেভাবেই আমরা বিবেচনা করি না কেন পুরো ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটিতেই এডিসের ব্যাপক উপস্থিতি। আমার সবাই কিন্তু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।’
ঢাকা উত্তরের মধ্যে—২,৩, ৫,৬, ১০,১৩, ১৪,১৫, ১৬,১৭, ১৮,১৯, ২০,২১, ২২,২৩, ২৫,২৬, ২৭,২৮, ২৯,৩০, ৩১,৩৩, ৩৫,৩৭ ও ৩৮ নং ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এসব ওয়ার্ডে ব্লুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণে—২,৩, ৪,৫, ৬,৯, ১১,১২, ১৩,১৫, ১৬,১৮, ১৯,২২, ২৩,২৬, ৩৩,৩৪, ৩৬,৪১, ৪৪,৪৬, ৪৮,৫০, ৫১,৫৪, ৫৫ ও ৫৬ নং ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে সেসব জায়গাগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। আমাদের হাসপাতালগুলোতে দেখতে পাচ্ছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। যেসব হাসপাতালে সমস্যা আছে আমরা চেষ্টা করছি জনবল এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়ার। সারা দেশের মধ্যে চট্টগ্রামে বেশি রোগী দেখতে পাচ্ছি।’
আইইডিসিআর–এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘গত বছর ছিল ডেন থ্রি এবং ডেন ফোর। এ বছর ডেন টু আর ডেন থ্রি। চারটি সেরোটাইপ গত বছর ছিল না। কক্সবাজারে ডেন ওয়ানের একটা কেইস পাওয়া গিয়েছিল। ব্যাপারটা হচ্ছে যে পুরো বাংলাদেশের যদি চিত্র চিন্তা করি তাহলে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম থাকতে পারে। যেহেতু আমরা বিভিন্ন হসপিটাল থেকে স্যাম্পেল যেগুলো পাই সেটার ওপরে সেরোটাইপ করে থাকি। ওইটার ভিত্তিতেই আমরা এবারে বলতে পারছি যে ডেন টু ৬২ শতাংশ এবং ডেন থ্রি ৩৮ শতাংশ।’
ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছেন রাজধানীর সব মানুষ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি ওয়ার্ডের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। ঝুঁকির পরিমাণ বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এডিসের মৌসুম-পূর্ব জরিপ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ বছর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়ি পরিদর্শন করে, তার মধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উত্তরে ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং দক্ষিণে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এর আগে নির্মাণাধীন বাড়িতে লার্ভা বেশি পাওয়া গেলেও এবার বেশি পাওয়া গেছে বহুতল ভবনে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষ যেসব জায়গায় বসবাস করেন সেখানে আমরা ১২ শতাংশ এবং শূন্য জমি যেখানে কোনো স্থাপনা নেই সেখানে আমরা ৫ শতাংশতে পজিটিভ পেয়েছি।’
উত্তরে ৪০টি এবং দক্ষিণে ৫৮টি ওয়ার্ডে পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রাক মৌসুম বা মৌসুম চলাকালীন যদি ব্লুটো ইনডেক্স ২০ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সামনে বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। উত্তরে আমরা ৪০টির মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডে ব্লুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি পেয়েছি। দক্ষিণে ৫৮টি ওয়ার্ডের মাঝে বেশি পেয়েছি ২৮ টিতে। পরিসংখ্যান বলে গোটা ঢাকা সিটিই ঝুঁকির মধ্যে আছে। হাউস ইনডেক্স ১০-এর নিচে থাকার কথা কিন্তু সেটি আমরা উত্তরে ৩৫টি ওয়ার্ডে পেয়েছি ১০-এর বেশি এবং দক্ষিণে ৪৫টি ওয়ার্ডে ১০-এর বেশি। কাজেই উত্তর-দক্ষিণ যেভাবেই আমরা বিবেচনা করি না কেন পুরো ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটিতেই এডিসের ব্যাপক উপস্থিতি। আমার সবাই কিন্তু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।’
ঢাকা উত্তরের মধ্যে—২,৩, ৫,৬, ১০,১৩, ১৪,১৫, ১৬,১৭, ১৮,১৯, ২০,২১, ২২,২৩, ২৫,২৬, ২৭,২৮, ২৯,৩০, ৩১,৩৩, ৩৫,৩৭ ও ৩৮ নং ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এসব ওয়ার্ডে ব্লুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণে—২,৩, ৪,৫, ৬,৯, ১১,১২, ১৩,১৫, ১৬,১৮, ১৯,২২, ২৩,২৬, ৩৩,৩৪, ৩৬,৪১, ৪৪,৪৬, ৪৮,৫০, ৫১,৫৪, ৫৫ ও ৫৬ নং ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে সেসব জায়গাগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। আমাদের হাসপাতালগুলোতে দেখতে পাচ্ছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। যেসব হাসপাতালে সমস্যা আছে আমরা চেষ্টা করছি জনবল এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়ার। সারা দেশের মধ্যে চট্টগ্রামে বেশি রোগী দেখতে পাচ্ছি।’
আইইডিসিআর–এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘গত বছর ছিল ডেন থ্রি এবং ডেন ফোর। এ বছর ডেন টু আর ডেন থ্রি। চারটি সেরোটাইপ গত বছর ছিল না। কক্সবাজারে ডেন ওয়ানের একটা কেইস পাওয়া গিয়েছিল। ব্যাপারটা হচ্ছে যে পুরো বাংলাদেশের যদি চিত্র চিন্তা করি তাহলে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম থাকতে পারে। যেহেতু আমরা বিভিন্ন হসপিটাল থেকে স্যাম্পেল যেগুলো পাই সেটার ওপরে সেরোটাইপ করে থাকি। ওইটার ভিত্তিতেই আমরা এবারে বলতে পারছি যে ডেন টু ৬২ শতাংশ এবং ডেন থ্রি ৩৮ শতাংশ।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে