নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হুইসেল বাজিয়ে শহর থেকে গ্রাম, নদী-মাঠ পেরিয়ে ছুটে চলে ট্রেন। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার ট্রেনের এই অবাধ ছুটে চলা নির্ভর করে জনবলের ওপর। কিন্তু বহু দিন রেলের নিয়োগ বন্ধ। অথচ একের পর এক অবসরে যাচ্ছেন দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে রেলের জনবল এখন প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকে ঠেকেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী রেলের দুই অঞ্চলে মোট লোক দরকার ৪৭ হাজার ৬৩৭ জন। কিন্তু আছে মাত্র ২৪ হাজার ৪৬৪ জন। অর্থাৎ, ২৩ হাজার ১৭৩ জন লোকবলের ঘাটতিতে আছে রেলওয়েতে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন নিজেও রেলে প্রায় ২৫ হাজার লোকবলের ঘাটতির কথা নিশ্চিত করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী তিন বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব শূন্য পদে নিয়োগ শেষ করা হবে।
একাধিক রেল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোকবলের ঘাটতি আছে মূলত দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ক্যাটাগরিতে। তাঁরাই ট্রেন সচল রাখেন, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করেন, চালু রাখেন নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকা রেলস্টেশনগুলো।
হিসাব দিয়ে একজন রেল কর্মকর্তা বলেন, একটি স্টেশন চালু রাখতে তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার একজন মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পয়েন্টম্যানের দরকার হয়। কিন্তু এই তিন ধরনের পদের যেকোনো একটির ঘাটতিতে বন্ধ রাখতে হয় স্টেশন। এখন সারা দেশে বন্ধ ১১৪টি রেলস্টেশন। অথচ বন্ধ স্টেশনের কারণে ট্রেনের গতি কমে যাচ্ছে, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি–জানান ওই কর্মকর্তা।
একইভাবে পরিবহন, বাণিজ্য, যান্ত্রিক, পুরকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী পরিদর্শক ও পরিদর্শকের পদও শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। এতে রেলস্টেশন, ট্রেনের যাত্রীসেবা ও ইঞ্জিন-বগির কারিগরি ত্রুটি মেরামতের বিষয়টি সময়মতো তদারক করা সম্ভব হচ্ছে না। কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না যাত্রীরা। রেলের ইঞ্জিন-বগির ছোটখাটো ত্রুটির মেরামতও করা যাচ্ছে না সময়মতো।
তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার ট্রেনচালক, সহকারী চালকের ঘাটতি আছে। ফলে কম চালকের ওপর বেশি ট্রেন চালানোর চাপ পড়ছে। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সব চালক (লোকোমাস্টার) কাজে যোগ না দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এতে চট্টগ্রাম থেকে বেশ কয়েকটি আন্তনগর ট্রেনের যাত্রা বিলম্বিত হয়। ভোগান্তি হয় যাত্রীদের।
এদিকে গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ৫৬০ সহকারী স্টেশনমাস্টারের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৬ অক্টোবর ছিল আবেদনের শেষ তারিখ। দুই দফা বাড়িয়ে এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের শেষ দিন এখন ২২ নভেম্বর। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহকারী স্টেশনমাস্টার পদে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, তাতে ৩ থেকে ৪ লাখ আবেদন পড়েছে। এত মানুষের পরীক্ষা নেওয়া ও রেজাল্ট দেওয়া আমাদের পক্ষে সত্যিই কঠিন।’
জানা গেছে, নতুন লোকবল নিয়োগ হলে তাঁদের বেতন-ভাতায় দরকার হবে আরও ১০-১২ কোটি টাকা। এই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে রেলের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ মাসে ৬৭ কোটি টাকা। রেলের বেশির ভাগ পদায়ন হয় দক্ষতার ভিত্তিতে। একজন ট্রেনচালক সরাসরি পাওয়া যায় না। প্রথমে ট্রেইনি এবং পরে সহকারী মাস্টার পদে দক্ষতার সঙ্গে ৮ থেকে ১০ বছর কাজ করলে তাঁর পদবি হয় স্টেশনমাস্টার। ট্রেনচালক তৈরির প্রক্রিয়াও একই। অন্য বিভাগের পরিদর্শকদেরও এভাবে দক্ষ করে তোলা হয়।
অবশ্য রেলে নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে একটি কমিটি গঠন করেছে তারা। এতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও রেলের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
নিয়োগ কমিটির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে গত তিন বছর রেলে কোনো নিয়োগ হয়নি। মাঠ পর্যায়ে জনবলের ঘাটতি চরম আকারে দেখা দেওয়ায় ট্রেন পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু স্টেশন।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সঠিক সময়ে জনবল নিয়োগ দিতে না পারা রেলের অদূরদর্শিতা। এখন নতুন লোক নিয়োগ দিলেও দক্ষ জনবল তৈরি করা কঠিন হবে। রেলকে আধুনিক, স্মার্ট পরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে জনবলকে দিতে হবে প্রশিক্ষণ।
১৯৭৩ সালে রেলের জনবল ছিল প্রায় ৬৮ হাজার। পর্যায়ক্রমে কমে গত বছরের জুনে তা ঠেকে প্রায় ২৬ হাজার ৪৪৯ জনে। গত ১৪ মাসে আরও হাজারখানেক কর্মকর্তা কর্মচারী অবসরে গেছেন।
হুইসেল বাজিয়ে শহর থেকে গ্রাম, নদী-মাঠ পেরিয়ে ছুটে চলে ট্রেন। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার ট্রেনের এই অবাধ ছুটে চলা নির্ভর করে জনবলের ওপর। কিন্তু বহু দিন রেলের নিয়োগ বন্ধ। অথচ একের পর এক অবসরে যাচ্ছেন দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে রেলের জনবল এখন প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকে ঠেকেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী রেলের দুই অঞ্চলে মোট লোক দরকার ৪৭ হাজার ৬৩৭ জন। কিন্তু আছে মাত্র ২৪ হাজার ৪৬৪ জন। অর্থাৎ, ২৩ হাজার ১৭৩ জন লোকবলের ঘাটতিতে আছে রেলওয়েতে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন নিজেও রেলে প্রায় ২৫ হাজার লোকবলের ঘাটতির কথা নিশ্চিত করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী তিন বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব শূন্য পদে নিয়োগ শেষ করা হবে।
একাধিক রেল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোকবলের ঘাটতি আছে মূলত দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ক্যাটাগরিতে। তাঁরাই ট্রেন সচল রাখেন, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করেন, চালু রাখেন নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকা রেলস্টেশনগুলো।
হিসাব দিয়ে একজন রেল কর্মকর্তা বলেন, একটি স্টেশন চালু রাখতে তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার একজন মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পয়েন্টম্যানের দরকার হয়। কিন্তু এই তিন ধরনের পদের যেকোনো একটির ঘাটতিতে বন্ধ রাখতে হয় স্টেশন। এখন সারা দেশে বন্ধ ১১৪টি রেলস্টেশন। অথচ বন্ধ স্টেশনের কারণে ট্রেনের গতি কমে যাচ্ছে, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি–জানান ওই কর্মকর্তা।
একইভাবে পরিবহন, বাণিজ্য, যান্ত্রিক, পুরকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী পরিদর্শক ও পরিদর্শকের পদও শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। এতে রেলস্টেশন, ট্রেনের যাত্রীসেবা ও ইঞ্জিন-বগির কারিগরি ত্রুটি মেরামতের বিষয়টি সময়মতো তদারক করা সম্ভব হচ্ছে না। কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না যাত্রীরা। রেলের ইঞ্জিন-বগির ছোটখাটো ত্রুটির মেরামতও করা যাচ্ছে না সময়মতো।
তৃতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার ট্রেনচালক, সহকারী চালকের ঘাটতি আছে। ফলে কম চালকের ওপর বেশি ট্রেন চালানোর চাপ পড়ছে। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সব চালক (লোকোমাস্টার) কাজে যোগ না দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এতে চট্টগ্রাম থেকে বেশ কয়েকটি আন্তনগর ট্রেনের যাত্রা বিলম্বিত হয়। ভোগান্তি হয় যাত্রীদের।
এদিকে গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ৫৬০ সহকারী স্টেশনমাস্টারের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৬ অক্টোবর ছিল আবেদনের শেষ তারিখ। দুই দফা বাড়িয়ে এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের শেষ দিন এখন ২২ নভেম্বর। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহকারী স্টেশনমাস্টার পদে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, তাতে ৩ থেকে ৪ লাখ আবেদন পড়েছে। এত মানুষের পরীক্ষা নেওয়া ও রেজাল্ট দেওয়া আমাদের পক্ষে সত্যিই কঠিন।’
জানা গেছে, নতুন লোকবল নিয়োগ হলে তাঁদের বেতন-ভাতায় দরকার হবে আরও ১০-১২ কোটি টাকা। এই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে রেলের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ মাসে ৬৭ কোটি টাকা। রেলের বেশির ভাগ পদায়ন হয় দক্ষতার ভিত্তিতে। একজন ট্রেনচালক সরাসরি পাওয়া যায় না। প্রথমে ট্রেইনি এবং পরে সহকারী মাস্টার পদে দক্ষতার সঙ্গে ৮ থেকে ১০ বছর কাজ করলে তাঁর পদবি হয় স্টেশনমাস্টার। ট্রেনচালক তৈরির প্রক্রিয়াও একই। অন্য বিভাগের পরিদর্শকদেরও এভাবে দক্ষ করে তোলা হয়।
অবশ্য রেলে নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে একটি কমিটি গঠন করেছে তারা। এতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও রেলের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
নিয়োগ কমিটির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে গত তিন বছর রেলে কোনো নিয়োগ হয়নি। মাঠ পর্যায়ে জনবলের ঘাটতি চরম আকারে দেখা দেওয়ায় ট্রেন পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু স্টেশন।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সঠিক সময়ে জনবল নিয়োগ দিতে না পারা রেলের অদূরদর্শিতা। এখন নতুন লোক নিয়োগ দিলেও দক্ষ জনবল তৈরি করা কঠিন হবে। রেলকে আধুনিক, স্মার্ট পরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে জনবলকে দিতে হবে প্রশিক্ষণ।
১৯৭৩ সালে রেলের জনবল ছিল প্রায় ৬৮ হাজার। পর্যায়ক্রমে কমে গত বছরের জুনে তা ঠেকে প্রায় ২৬ হাজার ৪৪৯ জনে। গত ১৪ মাসে আরও হাজারখানেক কর্মকর্তা কর্মচারী অবসরে গেছেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে