নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল (১০ মাস) পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রেমিট্যান্স গেছে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর প্রায় ৪০ শতাংশই অর্থাৎ ৫ কোটি ৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন ভারতীয়রা।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের (এ কে) আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরের আয়–সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাঁদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।
কোন দেশের নাগরিকেরা কত ডলার নিয়েছেন সেই তথ্য জানিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কা ১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপান ৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়া ৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ড ৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া ২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা ২১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।’
চট্টগ্রাম-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মরত কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কিছু ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং তারল্য সমস্যা বিদ্যমান আছে। এসব সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং সাতটি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, খাদ্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য উদ্যোগ এবং অসহায় গরিব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যেসব কার্যক্রম চলছে, এর প্রভাবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা মনে করছি।’
আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো—বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি। অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
এম আব্দুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আমানতকারীরা এসব নানাবিধ স্কিম, ক্ষুদ্র শিল্প খাতসহ আয়-উৎসারী বিভিন্ন খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন। ফলে আস্থাহীনতা ও মূল্যস্ফীতির কারণে নয়, বরং বিবিধ বিনিয়োগ প্রকল্পসমূহ আকর্ষণীয় হওয়ায় ও সরাসরি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ কেলেঙ্কারি বন্ধে খেলাপি ঋণগ্রহীতা ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণকরত চিহ্নিতকরণ এবং উক্ত ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন নিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা–সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে বিতরণকৃত ঋণের অর্থ উদ্দিষ্ট খাতের পরিবর্তে যাতে অন্য খাতে ব্যবহৃত না হয় এবং অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়, তা নিয়মিত তদারকির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল (১০ মাস) পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রেমিট্যান্স গেছে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর প্রায় ৪০ শতাংশই অর্থাৎ ৫ কোটি ৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন ভারতীয়রা।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের (এ কে) আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরের আয়–সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাঁদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।
কোন দেশের নাগরিকেরা কত ডলার নিয়েছেন সেই তথ্য জানিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কা ১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপান ৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়া ৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ড ৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া ২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা ২১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।’
চট্টগ্রাম-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মরত কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কিছু ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং তারল্য সমস্যা বিদ্যমান আছে। এসব সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং সাতটি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, খাদ্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য উদ্যোগ এবং অসহায় গরিব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যেসব কার্যক্রম চলছে, এর প্রভাবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা মনে করছি।’
আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো—বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি। অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
এম আব্দুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আমানতকারীরা এসব নানাবিধ স্কিম, ক্ষুদ্র শিল্প খাতসহ আয়-উৎসারী বিভিন্ন খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন। ফলে আস্থাহীনতা ও মূল্যস্ফীতির কারণে নয়, বরং বিবিধ বিনিয়োগ প্রকল্পসমূহ আকর্ষণীয় হওয়ায় ও সরাসরি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ কেলেঙ্কারি বন্ধে খেলাপি ঋণগ্রহীতা ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণকরত চিহ্নিতকরণ এবং উক্ত ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন নিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা–সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে বিতরণকৃত ঋণের অর্থ উদ্দিষ্ট খাতের পরিবর্তে যাতে অন্য খাতে ব্যবহৃত না হয় এবং অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়, তা নিয়মিত তদারকির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
১ মিনিট আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
১ ঘণ্টা আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
১ ঘণ্টা আগেদেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
২ ঘণ্টা আগে