রাহুল শর্মা, ঢাকা
নতুন বছর শুরু হতে বাকি মাত্র দুই মাস। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিতে হলে এ সময়ের মধ্যে ছাপানোর কাজ এবং পাঠানো সম্পন্ন করতে হবে বিনা মূল্যের ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই। অথচ এখনো চলছে বই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া, পাণ্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ। কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে ও কিছু বইয়ের ভেতরে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের গ্রাফিতি (দেয়ালচিত্র) যুক্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দুই মাসে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানোর সক্ষমতা দেশের মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের নেই। এ ছাড়া এই সময়ে চাহিদামতো মানের এত কাগজ পাওয়া নিয়েও সংকট হতে পারে। গত শনিবার থেকে পাণ্ডুলিপির সিডি দেওয়া হচ্ছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানকে। তাই আগামী ১ জানুয়ারির আগে সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো ও বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের ছবি ও বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও সংশোধন এবং সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে রদবদলের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ অনুমোদনে দেরি হচ্ছে। অবশ্য নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
এনসিটিবি জানায়, সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। করোনা মহামারির সময় ছাড়া বাকি বছরগুলোতে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই বই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। আগামী বছরের প্রথম দিনেও নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানায়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)।
সূত্র বলেছে, অন্যান্য বছর জুন থেকে বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবারও সেভাবেই এগোচ্ছিল এনসিটিবি। কয়েকটি লটের দরপত্রও সম্পন্ন হয়। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সেগুলো বাতিল করে। বন্ধ থাকে অন্যান্য দরপত্রপ্রক্রিয়া। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের ছবি-বিষয়বস্তুর পরিমার্জন ও সংশোধন এবং সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে রদবদলসহ বিভিন্ন কারণে পাঠ্যবই ছাপানো শুরু করতে দেরি হয়েছে।
পরিমার্জন ও সংশোধনের বিষয়ে এনসিটিবির সূত্র জানায়, কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে ও কিছু বইয়ের ভেতরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি (দেয়ালচিত্র) যুক্ত করা হবে। যেসব বইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও উদ্ধৃতি রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। এর পরিবর্তে চিরন্তন কিছু বাণী যুক্ত হবে। এ ছাড়া বাংলা, ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের মতো বইয়ে ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হচ্ছে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, আসন্ন শিক্ষাবর্ষের জন্য এবারও ৯৮টি লটে প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে ৭০টি লটের বই ছাপানোর জন্য কার্যাদেশ পর্যায়ে রয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্রের মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র গত সপ্তাহে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন মূল্যায়ন কার্যক্রম চলছে। অষ্টম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র উন্মুক্ত হয়েছে। নবম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র এখনো আহ্বান করা হয়নি।
সূত্র আরও বলেছে, সব বই পরিমার্জন-সংশোধনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। যে কয়েকটির পরিমার্জন ও সংশোধন শেষ হয়েছে, সেগুলোর পাণ্ডুলিপির সিডি গত শনিবার থেকে ছাপাখানার মালিকদের দেওয়া হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ১ জানুয়ারির আগে সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
মুদ্রণ শিল্প সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত চার-পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কার্যাদেশ পাওয়ার পর এই সময়ের (অক্টোবরের শেষের দিকে) মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বই ছাপা হয়ে যেত। কিন্তু এবার সব দরপত্রই শেষ হয়নি। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ৪০ কোটি বই ছাপতে বর্তমান সক্ষমতায় ছয় থেকে সাত মাস লাগার কথা। তিনি বলেন, ৪০ কোটির বেশি বই ছাপাতে কাগজ লাগবে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টন। এবার কাগজের উজ্জ্বলতা ৮২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মানের কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা দেশের মাত্র ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। ফলে যথাসময়ে কাগজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিতে পারে।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গত রোববার এনসিটিবির চেয়ারম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বই ছাপানোর কাজ দ্রুত করতে এবার বড় মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিট মেশিনেও ছাপানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানকেও কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আশাবাদী, নির্ধারিত সময়েই সব বই ছাপার কাজ শেষ হবে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান। তিনি বলেন, কাজের যে গতি, তাতে মনে হচ্ছে না ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো সম্ভব হবে। কারণ, এখনো সব শ্রেণির বইয়ের দরপত্রপ্রক্রিয়াই শেষ হয়নি। যে কয়টি বই ছাপানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটির পাণ্ডুলিপির পরিমার্জন শেষ হয়নি।
নতুন বছর শুরু হতে বাকি মাত্র দুই মাস। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিতে হলে এ সময়ের মধ্যে ছাপানোর কাজ এবং পাঠানো সম্পন্ন করতে হবে বিনা মূল্যের ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই। অথচ এখনো চলছে বই ছাপার দরপত্রপ্রক্রিয়া, পাণ্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ। কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে ও কিছু বইয়ের ভেতরে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের গ্রাফিতি (দেয়ালচিত্র) যুক্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দুই মাসে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানোর সক্ষমতা দেশের মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের নেই। এ ছাড়া এই সময়ে চাহিদামতো মানের এত কাগজ পাওয়া নিয়েও সংকট হতে পারে। গত শনিবার থেকে পাণ্ডুলিপির সিডি দেওয়া হচ্ছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানকে। তাই আগামী ১ জানুয়ারির আগে সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো ও বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের ছবি ও বিষয়বস্তু পরিমার্জন ও সংশোধন এবং সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে রদবদলের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ অনুমোদনে দেরি হচ্ছে। অবশ্য নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
এনসিটিবি জানায়, সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। করোনা মহামারির সময় ছাড়া বাকি বছরগুলোতে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই বই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। আগামী বছরের প্রথম দিনেও নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি ও প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানায়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)।
সূত্র বলেছে, অন্যান্য বছর জুন থেকে বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবারও সেভাবেই এগোচ্ছিল এনসিটিবি। কয়েকটি লটের দরপত্রও সম্পন্ন হয়। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সেগুলো বাতিল করে। বন্ধ থাকে অন্যান্য দরপত্রপ্রক্রিয়া। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের ছবি-বিষয়বস্তুর পরিমার্জন ও সংশোধন এবং সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে রদবদলসহ বিভিন্ন কারণে পাঠ্যবই ছাপানো শুরু করতে দেরি হয়েছে।
পরিমার্জন ও সংশোধনের বিষয়ে এনসিটিবির সূত্র জানায়, কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে ও কিছু বইয়ের ভেতরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি (দেয়ালচিত্র) যুক্ত করা হবে। যেসব বইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও উদ্ধৃতি রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। এর পরিবর্তে চিরন্তন কিছু বাণী যুক্ত হবে। এ ছাড়া বাংলা, ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের মতো বইয়ে ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হচ্ছে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, আসন্ন শিক্ষাবর্ষের জন্য এবারও ৯৮টি লটে প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে ৭০টি লটের বই ছাপানোর জন্য কার্যাদেশ পর্যায়ে রয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্রের মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র গত সপ্তাহে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন মূল্যায়ন কার্যক্রম চলছে। অষ্টম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র উন্মুক্ত হয়েছে। নবম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র এখনো আহ্বান করা হয়নি।
সূত্র আরও বলেছে, সব বই পরিমার্জন-সংশোধনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। যে কয়েকটির পরিমার্জন ও সংশোধন শেষ হয়েছে, সেগুলোর পাণ্ডুলিপির সিডি গত শনিবার থেকে ছাপাখানার মালিকদের দেওয়া হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ১ জানুয়ারির আগে সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
মুদ্রণ শিল্প সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত চার-পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কার্যাদেশ পাওয়ার পর এই সময়ের (অক্টোবরের শেষের দিকে) মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বই ছাপা হয়ে যেত। কিন্তু এবার সব দরপত্রই শেষ হয়নি। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ৪০ কোটি বই ছাপতে বর্তমান সক্ষমতায় ছয় থেকে সাত মাস লাগার কথা। তিনি বলেন, ৪০ কোটির বেশি বই ছাপাতে কাগজ লাগবে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টন। এবার কাগজের উজ্জ্বলতা ৮২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মানের কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা দেশের মাত্র ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। ফলে যথাসময়ে কাগজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিতে পারে।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গত রোববার এনসিটিবির চেয়ারম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বই ছাপানোর কাজ দ্রুত করতে এবার বড় মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিট মেশিনেও ছাপানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানকেও কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আশাবাদী, নির্ধারিত সময়েই সব বই ছাপার কাজ শেষ হবে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান। তিনি বলেন, কাজের যে গতি, তাতে মনে হচ্ছে না ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো সম্ভব হবে। কারণ, এখনো সব শ্রেণির বইয়ের দরপত্রপ্রক্রিয়াই শেষ হয়নি। যে কয়টি বই ছাপানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটির পাণ্ডুলিপির পরিমার্জন শেষ হয়নি।
বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩৮ মিনিট আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
৩৯ মিনিট আগেদেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৯ ঘণ্টা আগে