নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কারণ দর্শানো ছাড়াই শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দুদকের নেওয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সব সুবিধাসহ শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১৩ মার্চ শরীফ উদ্দিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে বরখাস্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ১৩ মার্চ শরীফ হাইকোর্টে রিট করেন। আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর ৫৪ (২) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
তবে ওই বিধিটি নিয়ে আপিল বিভাগে দুদকের করা আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে শরীফ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ওই আবেদন নিষ্পত্তি করে গত বছরের ১৬ মার্চ রায় দেন আপিল বিভাগ।
দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে, কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায়। বিধিটি বাতিল ঘোষণা করে ২০১১ সালে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করলে তা খারিজ হয়। পরে এর বিরুদ্ধে দুদক রিভিউ আবেদন করে। তাতে আপিল বিভাগ দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন। ওই আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয় গত বছর। বহাল রাখা হয় দুদকের ওই চাকরিবিধি।
শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ওই বিধি নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কথা আমরা বলেছি। এরপরও রুল জারি করা হয়েছে।’
আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আর বিধি ইস্যু না। আপিল বিভাগ বলেছেন, এই বিধির মাধ্যমে কাউকে চাকরিচ্যুত করতে হলে ১২ দফা নির্দেশনা মানতে হবে। হাইকোর্ট দেখবেন, সেসব নির্দেশনা মানা হয়েছে কি না। আর এটি আগামী ২১ এপ্রিল শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।’
দুদকের ওই বিধি বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সততা ও সাহসের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে এই বিধি ভীতির সঞ্চার করতে পারে। তাই একমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে আইনের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে এই বিধি প্রয়োগ করা উচিত। ৫৪ (২) বিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কারণ দর্শানোর সুযোগ রাখা হয়নি। তাই অভিযুক্তকে কী কারণে অপসারণ করা হয়েছে তা অপসারণের নথিতে উল্লেখ থাকতে হবে। বরখাস্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখতে হবে। ‘পিক অ্যান্ড চুজ’–এর (ইচ্ছামতো কাউকে বেছে নেওয়া) ভিত্তিতে যেন এই বিধি কখনো প্রয়োগ করা না হয়।
রায়ে বলা হয়, ক্ষমতাধর আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতিতে জড়ায় তাদের নিয়েই কাজ করেন দুদক কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে সমাজের নিরপরাধ উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ভুক্তভোগী না হন।
রায়ে আরও বলা হয়, যাতে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় সে জন্য এই বিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দুদকের চাকরি বিধিতে। চাকরির শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থেই প্রয়োজনীয় বিধিবিধান করে থাকে। তবে যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তা শেষ করতে হবে। তার আগেই এই বিধি প্রয়োগ করে বরখাস্ত করা যাবে না।
কারণ দর্শানো ছাড়াই শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দুদকের নেওয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সব সুবিধাসহ শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১৩ মার্চ শরীফ উদ্দিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে বরখাস্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ১৩ মার্চ শরীফ হাইকোর্টে রিট করেন। আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর ৫৪ (২) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
তবে ওই বিধিটি নিয়ে আপিল বিভাগে দুদকের করা আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে শরীফ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ওই আবেদন নিষ্পত্তি করে গত বছরের ১৬ মার্চ রায় দেন আপিল বিভাগ।
দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে, কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায়। বিধিটি বাতিল ঘোষণা করে ২০১১ সালে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করলে তা খারিজ হয়। পরে এর বিরুদ্ধে দুদক রিভিউ আবেদন করে। তাতে আপিল বিভাগ দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন। ওই আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয় গত বছর। বহাল রাখা হয় দুদকের ওই চাকরিবিধি।
শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ওই বিধি নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কথা আমরা বলেছি। এরপরও রুল জারি করা হয়েছে।’
আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আর বিধি ইস্যু না। আপিল বিভাগ বলেছেন, এই বিধির মাধ্যমে কাউকে চাকরিচ্যুত করতে হলে ১২ দফা নির্দেশনা মানতে হবে। হাইকোর্ট দেখবেন, সেসব নির্দেশনা মানা হয়েছে কি না। আর এটি আগামী ২১ এপ্রিল শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।’
দুদকের ওই বিধি বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সততা ও সাহসের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে এই বিধি ভীতির সঞ্চার করতে পারে। তাই একমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে আইনের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে এই বিধি প্রয়োগ করা উচিত। ৫৪ (২) বিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কারণ দর্শানোর সুযোগ রাখা হয়নি। তাই অভিযুক্তকে কী কারণে অপসারণ করা হয়েছে তা অপসারণের নথিতে উল্লেখ থাকতে হবে। বরখাস্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখতে হবে। ‘পিক অ্যান্ড চুজ’–এর (ইচ্ছামতো কাউকে বেছে নেওয়া) ভিত্তিতে যেন এই বিধি কখনো প্রয়োগ করা না হয়।
রায়ে বলা হয়, ক্ষমতাধর আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতিতে জড়ায় তাদের নিয়েই কাজ করেন দুদক কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে সমাজের নিরপরাধ উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ভুক্তভোগী না হন।
রায়ে আরও বলা হয়, যাতে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় সে জন্য এই বিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দুদকের চাকরি বিধিতে। চাকরির শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থেই প্রয়োজনীয় বিধিবিধান করে থাকে। তবে যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তা শেষ করতে হবে। তার আগেই এই বিধি প্রয়োগ করে বরখাস্ত করা যাবে না।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে