মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় গত দেড় বছরে গেছেন অন্তত ৪ লাখ কর্মী। তবে কোটা পূরণের অজুহাতে দেশটি হঠাৎ কলিং ভিসা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ৩১ মের পর আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় ঢুকতে পারবেন না। এই অবস্থায় সব প্রক্রিয়া শেষ করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার আশঙ্কায় আছেন বাংলাদেশের অন্তত ১০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।
জানা গেছে, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় গিয়ে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও। পরে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের জন্য গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মীদের ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করে মালয়েশিয়া। ওই কর্মীদের মালয়েশিয়ায় ঢোকার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ৩১ মে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন সময়সীমা ঘোষণার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সময় বাড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে। শ্রমবাজার চালু রাখতে বৈঠকে বসারও প্রস্তাব দেয় মন্ত্রণালয়। যদিও তাতে সাড়া মেলেনি। ফলে ভিসা পাওয়া কর্মীদের ৩১ মের মধ্যেই মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সময় বাড়ানোর জন্য মালয়েশিয়াকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আলোচনা চলমান আছে। প্রয়োজনে প্রতিনিধি পাঠিয়ে সরকার টু সরকার আলোচনা হবে। দেশটির শ্রমবাজার ধরে রাখতে চেষ্টা করব। তারা যেমন কর্মী চাইবে, আমরা তেমন দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে পাঠাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের আগেই আমরা বায়রার সঙ্গে বসেছি, রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে বসেছি; যাতে ৩১ মের মধ্যে যাঁদের লিগ্যাল ডকুমেন্ট আছে, তাঁরা আবেদন করেন। আমরা সে ব্যাপারে কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
জানা যায়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ইস্যুতে তৎপরতা বাড়াতে মন্ত্রণালয় থেকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্রের নথি জমা হলে দ্রুতই ছাড়পত্র দিতে।
এদিকে ৩১ মের সময়সীমা মানতে গিয়ে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়েছে মালয়েশিয়াগামী আকাশপথের টিকিটের। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দেশটিতে গিয়েছিলেন যথাক্রমে ৬ হাজার ১১৫ এবং ৬ হাজার ৩৮৩ জন নতুন কর্মী। সেখানে গত এপ্রিলেই গেছেন নতুন ১৭ হাজার ৮৭৭ জন। চলতি মাসে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। গত বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী দেশটিতে যান। আর এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, চাহিদা বাড়ায় অতিরিক্ত অর্থ গুনেও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উড়োজাহাজের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। গত মাসেও মালয়েশিয়াগামী একমুখী টিকিটের দাম ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ছিল। চলতি মাসে তা ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। সব এয়ারলাইনসেরই ৩১ মে পর্যন্ত টিকিট প্রায় ফুরিয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভিসা থাকার পরও অন্তত ১০ হাজার কর্মীর অভিবাসন আটকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চাহিদা বাড়ায় ঢাকা-মালয়েশিয়া রুটে আসন সক্ষমতা বাড়িয়েছে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। এ প্রসঙ্গে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছিল। এসব ফ্লাইট ১৭০ আসনের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ দিয়ে চালানো হতো। তবে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে গত মাস থেকে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট চালানো হচ্ছে ৪৩৬ আসনের বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে। এর পরও আগামী ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া যাওয়া-আসার সব ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় গত দেড় বছরে গেছেন অন্তত ৪ লাখ কর্মী। তবে কোটা পূরণের অজুহাতে দেশটি হঠাৎ কলিং ভিসা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ৩১ মের পর আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় ঢুকতে পারবেন না। এই অবস্থায় সব প্রক্রিয়া শেষ করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার আশঙ্কায় আছেন বাংলাদেশের অন্তত ১০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।
জানা গেছে, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় গিয়ে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও। পরে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের জন্য গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মীদের ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করে মালয়েশিয়া। ওই কর্মীদের মালয়েশিয়ায় ঢোকার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ৩১ মে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন সময়সীমা ঘোষণার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সময় বাড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে। শ্রমবাজার চালু রাখতে বৈঠকে বসারও প্রস্তাব দেয় মন্ত্রণালয়। যদিও তাতে সাড়া মেলেনি। ফলে ভিসা পাওয়া কর্মীদের ৩১ মের মধ্যেই মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সময় বাড়ানোর জন্য মালয়েশিয়াকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আলোচনা চলমান আছে। প্রয়োজনে প্রতিনিধি পাঠিয়ে সরকার টু সরকার আলোচনা হবে। দেশটির শ্রমবাজার ধরে রাখতে চেষ্টা করব। তারা যেমন কর্মী চাইবে, আমরা তেমন দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে পাঠাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের আগেই আমরা বায়রার সঙ্গে বসেছি, রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে বসেছি; যাতে ৩১ মের মধ্যে যাঁদের লিগ্যাল ডকুমেন্ট আছে, তাঁরা আবেদন করেন। আমরা সে ব্যাপারে কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
জানা যায়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ইস্যুতে তৎপরতা বাড়াতে মন্ত্রণালয় থেকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্রের নথি জমা হলে দ্রুতই ছাড়পত্র দিতে।
এদিকে ৩১ মের সময়সীমা মানতে গিয়ে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়েছে মালয়েশিয়াগামী আকাশপথের টিকিটের। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দেশটিতে গিয়েছিলেন যথাক্রমে ৬ হাজার ১১৫ এবং ৬ হাজার ৩৮৩ জন নতুন কর্মী। সেখানে গত এপ্রিলেই গেছেন নতুন ১৭ হাজার ৮৭৭ জন। চলতি মাসে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। গত বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী দেশটিতে যান। আর এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, চাহিদা বাড়ায় অতিরিক্ত অর্থ গুনেও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উড়োজাহাজের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। গত মাসেও মালয়েশিয়াগামী একমুখী টিকিটের দাম ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ছিল। চলতি মাসে তা ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। সব এয়ারলাইনসেরই ৩১ মে পর্যন্ত টিকিট প্রায় ফুরিয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভিসা থাকার পরও অন্তত ১০ হাজার কর্মীর অভিবাসন আটকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চাহিদা বাড়ায় ঢাকা-মালয়েশিয়া রুটে আসন সক্ষমতা বাড়িয়েছে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। এ প্রসঙ্গে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছিল। এসব ফ্লাইট ১৭০ আসনের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ দিয়ে চালানো হতো। তবে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে গত মাস থেকে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট চালানো হচ্ছে ৪৩৬ আসনের বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে। এর পরও আগামী ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া যাওয়া-আসার সব ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪২ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে