নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (৮১) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রধান কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফী রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ৫ এপ্রিল তাঁকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মামুন মোস্তাফী জানিয়েছিলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রক্তে ইনফেকশন পাওয়া গেছে, যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলোয় ইতিবাচক সাড়া মিলছে। বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁর কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু হয়েছে, সঙ্গে চলছে অন্যান্য চিকিৎসা। তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে রাখা হয়েছে।
১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়। চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন।
এরপর ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যজ্ঞান দিয়ে রোগীদের সেবা করতেন। তাঁর এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসেবে পরিচিত রাইট লাইভলিহুড (১৯৯২), যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও খবর পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (৮১) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রধান কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফী রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ৫ এপ্রিল তাঁকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মামুন মোস্তাফী জানিয়েছিলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রক্তে ইনফেকশন পাওয়া গেছে, যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলোয় ইতিবাচক সাড়া মিলছে। বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁর কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু হয়েছে, সঙ্গে চলছে অন্যান্য চিকিৎসা। তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে রাখা হয়েছে।
১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়। চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন।
এরপর ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যজ্ঞান দিয়ে রোগীদের সেবা করতেন। তাঁর এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসেবে পরিচিত রাইট লাইভলিহুড (১৯৯২), যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও খবর পড়ুন:
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগে