বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
শাস্তি এড়াতে ভাইকে সহযোগিতা, সামরিক বাহিনীর ঠিকাদারি চুক্তিতে দুর্নীতি ও ঘুষগ্রহণসহ বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এসব অভিযোগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
জেনারেল আজিজ বলেন, ‘কেউ যদি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ আনতে পারে যে, আমি বিজিবি অথবা সেনাবাহিনীতে আমার কোনো ভাইকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলাম—যে ধরনের মিলিটারি কন্ট্রাক্টের কথা (মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়) বলা হচ্ছে—যদি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি এর পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।
মূলত দুর্নীতির দায়ে জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অভিযোগ এনেছে, তার মধ্যে একটি হলো—তিনি তাঁর ভাইকে সাজা এড়াতে সহযোগিতা করেছেন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি সরকারি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এ ছাড়া অন্যায়ভাবে সামরিক খাতে চুক্তি বা ঠিকাদারি পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল আজিজ বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে আমার অফিশিয়াল ক্যাপাসিটি ব্যবহার করে, প্রচলিত নিয়মকানুন এভয়েড করে সহযোগিতা করেছি—এই অভিযোগ আমি মেনে নিতে পারছি না। কারণ, যে ভাইয়ের কথা বলা হয়েছে—ভাইদের কথা কিন্তু বলা হয়নি, বলা হয়েছে ভাই—আমার সেই ভাই ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশের বাইরে।’
সাবেক এই সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘সে অবশ্যই বৈধ ডকুমেন্টস নিয়েই বাংলাদেশের বাইরে গেছে। তো তারপরও আমি তাঁকে এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য সহায়তা করেছি—এই অভিযোগ আমি মেনে নিতে পারছি না। এটা আমার জন্য প্রযোজ্য নয় বলে আমি মনে করি।’
সামরিক ঠিকাদারি চুক্তি ও ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেনারেল আজিজ বলেন, ‘দ্বিতীয় যে বিষয়টি (মার্কিন বিবৃতিতে) বলা হয়েছে—আমি আমার ভাইদের মিলিটারি কন্ট্রাক্ট দিয়ে, ঘুষ নিয়ে করাপশন করেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে আবারও বলতে চাই, পূর্বেও বলেছিলাম—ডয়চে ভেলেতে আমি যখন ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম—আমি চার বছর বিজিবির মহাপরিচালক ছিলাম, তিন বছর সেনাপ্রধান ছিলাম—এই সাত বছরে বিজিবিতে অথবা সেনাবাহিনীতে আমার কোনো ভাইকে আমি কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছি এর কোনো প্রমাণ কেউ আমাকে দেখাতে পারবে কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি (কোনো কন্ট্রাক্ট) দেই নাই। আমি সেটা খুব গর্বের সঙ্গে, জোর দিয়ে ডয়চে ভেলের ইন্টারভিউতে বলেছিলাম। এখন আমি আর উর্দি পরিহিত নই, এখন কেউ যদি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ আনতে পারেন যে আমি বিজিবি অথবা সেনাবাহিনীতে আমার কোনো ভাইকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলাম—যে ধরনের মিলিটারি কন্ট্রাক্টের কথা বলা হচ্ছে—যদি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি এর পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত।’
শাস্তি এড়াতে ভাইকে সহযোগিতা, সামরিক বাহিনীর ঠিকাদারি চুক্তিতে দুর্নীতি ও ঘুষগ্রহণসহ বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এসব অভিযোগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
জেনারেল আজিজ বলেন, ‘কেউ যদি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ আনতে পারে যে, আমি বিজিবি অথবা সেনাবাহিনীতে আমার কোনো ভাইকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলাম—যে ধরনের মিলিটারি কন্ট্রাক্টের কথা (মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়) বলা হচ্ছে—যদি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি এর পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।
মূলত দুর্নীতির দায়ে জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অভিযোগ এনেছে, তার মধ্যে একটি হলো—তিনি তাঁর ভাইকে সাজা এড়াতে সহযোগিতা করেছেন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি সরকারি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এ ছাড়া অন্যায়ভাবে সামরিক খাতে চুক্তি বা ঠিকাদারি পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল আজিজ বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে আমার অফিশিয়াল ক্যাপাসিটি ব্যবহার করে, প্রচলিত নিয়মকানুন এভয়েড করে সহযোগিতা করেছি—এই অভিযোগ আমি মেনে নিতে পারছি না। কারণ, যে ভাইয়ের কথা বলা হয়েছে—ভাইদের কথা কিন্তু বলা হয়নি, বলা হয়েছে ভাই—আমার সেই ভাই ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশের বাইরে।’
সাবেক এই সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘সে অবশ্যই বৈধ ডকুমেন্টস নিয়েই বাংলাদেশের বাইরে গেছে। তো তারপরও আমি তাঁকে এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য সহায়তা করেছি—এই অভিযোগ আমি মেনে নিতে পারছি না। এটা আমার জন্য প্রযোজ্য নয় বলে আমি মনে করি।’
সামরিক ঠিকাদারি চুক্তি ও ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেনারেল আজিজ বলেন, ‘দ্বিতীয় যে বিষয়টি (মার্কিন বিবৃতিতে) বলা হয়েছে—আমি আমার ভাইদের মিলিটারি কন্ট্রাক্ট দিয়ে, ঘুষ নিয়ে করাপশন করেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে আবারও বলতে চাই, পূর্বেও বলেছিলাম—ডয়চে ভেলেতে আমি যখন ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম—আমি চার বছর বিজিবির মহাপরিচালক ছিলাম, তিন বছর সেনাপ্রধান ছিলাম—এই সাত বছরে বিজিবিতে অথবা সেনাবাহিনীতে আমার কোনো ভাইকে আমি কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছি এর কোনো প্রমাণ কেউ আমাকে দেখাতে পারবে কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি (কোনো কন্ট্রাক্ট) দেই নাই। আমি সেটা খুব গর্বের সঙ্গে, জোর দিয়ে ডয়চে ভেলের ইন্টারভিউতে বলেছিলাম। এখন আমি আর উর্দি পরিহিত নই, এখন কেউ যদি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ আনতে পারেন যে আমি বিজিবি অথবা সেনাবাহিনীতে আমার কোনো ভাইকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছিলাম—যে ধরনের মিলিটারি কন্ট্রাক্টের কথা বলা হচ্ছে—যদি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি এর পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩৯ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে