কূটনৈতিক প্রতিবেদক
কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে তুরস্ক দূতাবাসে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওসমান তুরান দুই দেশের সম্পর্ক, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জামায়াত ইসলাম নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বৈধ, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে কূটনীতিকেরা। তবে বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে তুরস্কের কোন অবস্থান নেই। তুরস্কের অবস্থান বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে। এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কি রকম আচরণ করবে। আর বাংলাদেশের সেই অবস্থানকে তুরস্ক সম্মান করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোন দেশ তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে তুরস্কের নেওয়া তখনকার ও বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই সময়টিতে যা হয়েছে তার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল না। তুরস্ক বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতি যত্নশীল। কিন্তু বন্ধু হিসেবে পুনবিবেচনার জন্য কিছু বলতে পারে। এটি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং সৎ উদ্দেশ্যে মতামত দিয়েছিল।’
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিশ্বাস করে না তুরস্ক। তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড নেই। কারণ মৃত্যুদণ্ড সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের আইন কীভাবে চলবে। কিন্তু বন্ধ হিসেবে কিছু সময়ে আমাদের মধ্যেও মতানৈক্য হয়। কিছু সময়ে বিষয়গুলোকে রাজনৈতিক কারণে পরিস্থিতির বাইরে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।
মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ২০১৬ সালে যখন তুরস্কে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। তখন বাংলাদেশই সর্বপ্রথম তুরস্কের সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল। সে সময়ে তুরস্কের অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সংহতি প্রকাশ করেনি। আর বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা চলে আসে তখন তুরস্ক বাংলাদেশের প্রতি প্রথম সংহতি জানিয়েছিল। এটিই প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক কতটা মজবুত। অতীতে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, যা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ভালো বন্ধু। তুরস্ক যা করে বা যা বলে তা বাংলাদেশের ভালোর জন্য করে বা বলে। বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ করছে, এভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কে আশানুরূপ পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মোস্তফা ওসমান তুরান। তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় কেন দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আশানুরূপ পর্যায়ে নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর প্রয়োজন। যখন আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে ভালো হচ্ছে।
তুরস্কে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ও রোহিঙ্গার সময়ে দুই দেশ একে অপরের প্রতি সংহতি জানানোর কারণে কি সম্পর্ক আবার নতুন মোড় নিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, এ কারণে সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
জামায়াত নিয়ে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মাঝে ভুল ব্যাখ্যা কে দিয়েছিল? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা জানতাম কি হচ্ছে। ফলে এখানে আমাদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়নি। আর বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে সব জানে। কিছু চক্র রয়েছে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না। যখন সুযোগ এসেছে, তখন তারা (চক্র) সম্পর্ককে খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি, এমনকি আগেও দিইনি।
চক্র বলতে কি বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এদের নাম আমি জানাতে পারব না। বুঝতে হবে কিছু সময়ে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন স্বার্থে রাজনীতি নিয়ে রাজনীতি করে। বাকিটা আপনারা বুঝে নেন।
প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক প্রযুক্তির হস্তান্তর করবে কি না? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, গত ১০ / ১৫ বছরে তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে বেশ এগিয়ে গেছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে যাদের সঙ্গেই আমরা প্রতিরক্ষায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক করেছি, তাদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনে গিয়েছি। প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক এখন ৭০ শতাংশ স্বনির্ভর হয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশকেও বাহিনীগুলোর জন্য জাহাজ তৈরিতে যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য নয়, বাণিজ্যিক ভাবে চলাচলের জন্যও জাহাজ তৈরি করা যাবে। আর বাংলাদেশকে আমরা যে সমরাস্ত্র বিক্রি করব না কেন, তার সঙ্গে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ের সুসম্পর্কের বার্তা দেয়।
অস্ত্র বিক্রি করলে এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাংলাদেশ কিভাবে বজায় রাখবে? প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা ওসমান বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে মিসাইল বিক্রি করেছে তুরস্ক। কিন্তু তা দুই দেশের বাণিজ্যে প্রতিফলন হবে না। এটি নিয়মিত পণ্য নয়। বাংলাদেশ ও তুরস্কের বাণিজ্য দুই বছর আগেও প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের মত ছিল। তা বর্তমানে করোনা থাকার পরও ১২০ কোটির ওপর দিয়েছে। আগামী তিন বছরে বাণিজ্য ৩০০ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশের বিশ্বমানের ওষুধ, তথ্য ও প্রযুক্তি, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যার রপ্তানি তুরস্কে বাড়িয়ে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে পারে।
কি ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশকে বিক্রি করছে তুরস্ক? এর উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর তালিকা এভাবে দেওয়া যাবে না। তবে এটি বলতে চাই যে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা খাতের সমাধান দিতে চায় তুরস্ক। চলতি মাসের শেষ দিকে তুরস্কের নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছে। এ সময়ে বাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এ অঞ্চলকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এ প্রতিযোগিতা আগে ইউরোপকে নিয়ে ছিল। যা পরিবর্তন হয়ে এদিকে এসেছে। মূলত চীনের উল্লেখযোগ্য উত্থানের কারণে এ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কোন পক্ষ না নিয়ে কাজ করছে। বরং তুরস্ক এশিয়ার জন্য নতুন নীতি নিয়েছে। আর সেই নীতিতে তুরস্কের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। করোনা না থাকলে এত দিনে এ সফরটি হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মার্চে তাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আর সে দাওয়াত এখন বলবৎ রয়েছে।
কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে তুরস্ক দূতাবাসে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওসমান তুরান দুই দেশের সম্পর্ক, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জামায়াত ইসলাম নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বৈধ, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে কূটনীতিকেরা। তবে বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে তুরস্কের কোন অবস্থান নেই। তুরস্কের অবস্থান বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে। এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কি রকম আচরণ করবে। আর বাংলাদেশের সেই অবস্থানকে তুরস্ক সম্মান করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোন দেশ তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে তুরস্কের নেওয়া তখনকার ও বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই সময়টিতে যা হয়েছে তার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল না। তুরস্ক বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতি যত্নশীল। কিন্তু বন্ধু হিসেবে পুনবিবেচনার জন্য কিছু বলতে পারে। এটি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং সৎ উদ্দেশ্যে মতামত দিয়েছিল।’
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিশ্বাস করে না তুরস্ক। তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড নেই। কারণ মৃত্যুদণ্ড সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের আইন কীভাবে চলবে। কিন্তু বন্ধ হিসেবে কিছু সময়ে আমাদের মধ্যেও মতানৈক্য হয়। কিছু সময়ে বিষয়গুলোকে রাজনৈতিক কারণে পরিস্থিতির বাইরে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।
মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ২০১৬ সালে যখন তুরস্কে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। তখন বাংলাদেশই সর্বপ্রথম তুরস্কের সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল। সে সময়ে তুরস্কের অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সংহতি প্রকাশ করেনি। আর বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা চলে আসে তখন তুরস্ক বাংলাদেশের প্রতি প্রথম সংহতি জানিয়েছিল। এটিই প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক কতটা মজবুত। অতীতে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, যা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ভালো বন্ধু। তুরস্ক যা করে বা যা বলে তা বাংলাদেশের ভালোর জন্য করে বা বলে। বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ করছে, এভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কে আশানুরূপ পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মোস্তফা ওসমান তুরান। তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় কেন দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আশানুরূপ পর্যায়ে নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর প্রয়োজন। যখন আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে ভালো হচ্ছে।
তুরস্কে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ও রোহিঙ্গার সময়ে দুই দেশ একে অপরের প্রতি সংহতি জানানোর কারণে কি সম্পর্ক আবার নতুন মোড় নিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, এ কারণে সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
জামায়াত নিয়ে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মাঝে ভুল ব্যাখ্যা কে দিয়েছিল? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা জানতাম কি হচ্ছে। ফলে এখানে আমাদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়নি। আর বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে সব জানে। কিছু চক্র রয়েছে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না। যখন সুযোগ এসেছে, তখন তারা (চক্র) সম্পর্ককে খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি, এমনকি আগেও দিইনি।
চক্র বলতে কি বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এদের নাম আমি জানাতে পারব না। বুঝতে হবে কিছু সময়ে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন স্বার্থে রাজনীতি নিয়ে রাজনীতি করে। বাকিটা আপনারা বুঝে নেন।
প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক প্রযুক্তির হস্তান্তর করবে কি না? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, গত ১০ / ১৫ বছরে তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে বেশ এগিয়ে গেছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে যাদের সঙ্গেই আমরা প্রতিরক্ষায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক করেছি, তাদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনে গিয়েছি। প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক এখন ৭০ শতাংশ স্বনির্ভর হয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশকেও বাহিনীগুলোর জন্য জাহাজ তৈরিতে যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য নয়, বাণিজ্যিক ভাবে চলাচলের জন্যও জাহাজ তৈরি করা যাবে। আর বাংলাদেশকে আমরা যে সমরাস্ত্র বিক্রি করব না কেন, তার সঙ্গে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ের সুসম্পর্কের বার্তা দেয়।
অস্ত্র বিক্রি করলে এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাংলাদেশ কিভাবে বজায় রাখবে? প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা ওসমান বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে মিসাইল বিক্রি করেছে তুরস্ক। কিন্তু তা দুই দেশের বাণিজ্যে প্রতিফলন হবে না। এটি নিয়মিত পণ্য নয়। বাংলাদেশ ও তুরস্কের বাণিজ্য দুই বছর আগেও প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের মত ছিল। তা বর্তমানে করোনা থাকার পরও ১২০ কোটির ওপর দিয়েছে। আগামী তিন বছরে বাণিজ্য ৩০০ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশের বিশ্বমানের ওষুধ, তথ্য ও প্রযুক্তি, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যার রপ্তানি তুরস্কে বাড়িয়ে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে পারে।
কি ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশকে বিক্রি করছে তুরস্ক? এর উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর তালিকা এভাবে দেওয়া যাবে না। তবে এটি বলতে চাই যে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা খাতের সমাধান দিতে চায় তুরস্ক। চলতি মাসের শেষ দিকে তুরস্কের নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছে। এ সময়ে বাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এ অঞ্চলকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এ প্রতিযোগিতা আগে ইউরোপকে নিয়ে ছিল। যা পরিবর্তন হয়ে এদিকে এসেছে। মূলত চীনের উল্লেখযোগ্য উত্থানের কারণে এ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কোন পক্ষ না নিয়ে কাজ করছে। বরং তুরস্ক এশিয়ার জন্য নতুন নীতি নিয়েছে। আর সেই নীতিতে তুরস্কের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। করোনা না থাকলে এত দিনে এ সফরটি হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মার্চে তাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আর সে দাওয়াত এখন বলবৎ রয়েছে।
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৩০ মিনিট আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৭ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগে