নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ ইস্যুতে একক দেশ হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলায় বাংলাদেশ ভোট দেয়নি। তবে ইউক্রেনে মানবাধিকারের বিষয়ে দ্বিতীয় প্রস্তাবে ভোট দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে উদ্ভূত মানবিক সংকট নিরসনে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ। এর আগে গত ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। ওই সময় ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। বাংলাদেশ তখন ভোটদানে বিরত ছিল।
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের আনা প্রথম প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন প্রথম প্রস্তাবটি এল, আমরা দেখলাম সেই প্রস্তাবে কোনো মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নেই, একটা কোনো বিষয় নেই। একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট, সেটা হলো রাশিয়া। তখন আমি বললাম না, এখানে তো আমরা ভোট দেব না। কারণ, যুদ্ধ তো একা একা হয় না। উসকানি তো কেউ না কেউ দিচ্ছে। দিয়েই তো বাধাল যুদ্ধটা। তাহলে একটা দেশকে কনডেম (নিন্দা) করা হবে কেন? সে জন্য আমরা ভোটদানে বিরত ছিলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেভেনথ ফ্লিট (সপ্তম নৌবহর) পাঠিয়েছিল যখন পাকিস্তানের পক্ষে, রাশিয়া তখন আমাদের পক্ষে দাঁড়াল। কাজেই দুঃসময়ে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকব। কিন্তু তারা যদি কোনো অন্যায় করে, নিশ্চয় সেটা আমরা মানব না। আর আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যুদ্ধটা বাধাল কারা? সেটাও আমাদের দেখতে হবে। সে জন্য আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। যেহেতু একটি দেশের বিরুদ্ধে, এ জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ভোট দেব না।’
দ্বিতীয় প্রস্তাবে ভোটদানের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভোট দেওয়ার এখন যে প্রস্তাবটা এসেছে, এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টি ছিল। দ্বিতীয় প্রস্তাবে যেহেতু মানবাধিকারের বিষয়টি রয়েছে, সে জন্য আমরা ভোট দিয়েছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যখন একটি দেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাবে আমরা ভোট দিইনি। মানবতার বিষয়টি সামনে এলে আমরা ভোট দিয়েছি। আমার মনে হয় এটা একেবারে স্পষ্ট। এটা নিয়ে আর কারও কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’
চুন্নু তাঁর প্রশ্নে র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের দুর্বলতা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নাইন/ইলেভেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে সন্ত্রাস দমনে তখনকার বিএনপি সরকার র্যাব সৃষ্টি করেছিল। তবে তারা র্যাবকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসার পর র্যাব জঙ্গি, সন্ত্রাস দমন, হত্যার তদন্তসহ মানবিক কাজই করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। তারা মানবাধিকার রক্ষায়ই কাজ করছে।’
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, এদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে যখন একটি অস্বাভাবিক সরকার থাকে অথবা অবৈধ দখলদার কেউ যদি থাকে, তখন তারা খুব ভালো থাকে, তাদের খুব গুরুত্ব থাকে। যখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান থাকে, তারা ভালো থাকে না। এ জন্য তারা সব সময় সরকারের বিরুদ্ধে লেগেই থাকে। যতই ভালো কাজ করুক, তাঁরা পেছনে লেগেই থাকে। কারণ, তারা ভালো দেখতে চায় না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নানা ধরনের অভিযোগ, চিঠি এমনকি এই র্যাব সম্পর্কেও তাদের অভিযোগ। এই অপপ্রচার তারাই করেছে। ওখানকার যাঁরা কংগ্রেসম্যান, সিনেটর তাঁদের কাছে তথ্য পাঠানো, চিঠি দেওয়া—নানাভাবে তারা এই অপপ্রচার করে। সেখানকার আমাদের অ্যাম্বাসি সব সময় সক্রিয় ছিল। যখন এই ব্যাপার নিয়ে তারা আলোচনা করেছে, তখন অ্যাম্বাসির কাউকে ঢুকতে দেয়নি। এটা আরও দুই-তিন বছর আগের কথা। এটা প্রক্রিয়া বহুদিন থেকেই চলছে। আমরা বারবার তাদের জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, এখানে র্যাবের কোনো সদস্য যখন অন্যায় করেছে, সাথে সাথে কিন্তু তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের একজন মন্ত্রীর (সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) জামাই (তারেক সাঈদ) একটি অপরাধ করেছিল। মন্ত্রীর জামাই হিসেবে কিন্তু আমরা ক্ষমা করিনি। তাকে ঠিকেই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ কোনো সময়ই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, সে যেই হোক। আইনশৃঙ্খলা সংস্থার যে কেউ কোনো অপরাধ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই। কাজেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু থাকে না।’
কারা অপপ্রচার চালাচ্ছে—এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু লোক আছে তাঁরা একটু বুদ্ধিজীবী, ইন্টেলেকচুয়াল, অমুক-সমুক নানা ধরনের সংগঠন তাঁরা করেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলে তাঁরা পয়সা জোগাতে পারেন, তা ছাড়া তাঁরা পয়সা জোগাতে পারেন না। আমরা দেখেছি ব্যাপারটা সেখানেই। এখান থেকে তাঁদের একজন প্রতিনিধি গেল। সেখানে একটি সম্মেলন হলো। সেখানে আমাদের অ্যাম্বাসি বা কাউকে তারা থাকতে দেয়নি। উপস্থিত হতে দেয়নি। সেখানে আপত্তিটা আমাদের দেশের লোকই করেছে।’
র্যাবের বিরুদ্ধে যে বদনাম, এর জন্য অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের লোকেই বদনামটা করে। এই র্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম তো আমার দেশের মানুষই করে যাচ্ছে। এ জন্য বলার কিছু নেই। আর সে জন্য এই নিষেধাজ্ঞাটা এসেছে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন যাতে না হয়, তার জন্য নানা ষড়যন্ত্র। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দুপুর ১২টায় সরে গেল। আন্দোলন করে জনগণের সাড়া পেল না কেন? আমি যদি সত্যি ভোট ছিনতাই করে নিতাম, তাহলে তো ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সময় যেভাবে জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আন্দোলন করেছিল, দেড় মাসের মধ্যে সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছিল, সেভাবে আমাদের হটাতো! মানুষ তো সেভাবে সাড়া দেয়নি। কারণ মানুষ তো ভোট দিতে পেরেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ভোটের বিষয়ে বলেন, ‘ভোটের যতটুকু উন্নতি সেটা তো আওয়ামী লীগ করেছে। এই যে ধারাবাহিক গণতন্ত্র চলছে, তা আমাদের দেশের কিছু কিছু লোক সব সময় একটা অস্বাভাবিক অবস্থা চায়। কারণ অস্বাভাবিক অবস্থা থাকলে তাদের একটু গুরুত্ব বাড়ে।’
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ ইস্যুতে একক দেশ হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলায় বাংলাদেশ ভোট দেয়নি। তবে ইউক্রেনে মানবাধিকারের বিষয়ে দ্বিতীয় প্রস্তাবে ভোট দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে উদ্ভূত মানবিক সংকট নিরসনে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ। এর আগে গত ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। ওই সময় ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। বাংলাদেশ তখন ভোটদানে বিরত ছিল।
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের আনা প্রথম প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন প্রথম প্রস্তাবটি এল, আমরা দেখলাম সেই প্রস্তাবে কোনো মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নেই, একটা কোনো বিষয় নেই। একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট, সেটা হলো রাশিয়া। তখন আমি বললাম না, এখানে তো আমরা ভোট দেব না। কারণ, যুদ্ধ তো একা একা হয় না। উসকানি তো কেউ না কেউ দিচ্ছে। দিয়েই তো বাধাল যুদ্ধটা। তাহলে একটা দেশকে কনডেম (নিন্দা) করা হবে কেন? সে জন্য আমরা ভোটদানে বিরত ছিলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেভেনথ ফ্লিট (সপ্তম নৌবহর) পাঠিয়েছিল যখন পাকিস্তানের পক্ষে, রাশিয়া তখন আমাদের পক্ষে দাঁড়াল। কাজেই দুঃসময়ে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকব। কিন্তু তারা যদি কোনো অন্যায় করে, নিশ্চয় সেটা আমরা মানব না। আর আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যুদ্ধটা বাধাল কারা? সেটাও আমাদের দেখতে হবে। সে জন্য আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। যেহেতু একটি দেশের বিরুদ্ধে, এ জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ভোট দেব না।’
দ্বিতীয় প্রস্তাবে ভোটদানের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভোট দেওয়ার এখন যে প্রস্তাবটা এসেছে, এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টি ছিল। দ্বিতীয় প্রস্তাবে যেহেতু মানবাধিকারের বিষয়টি রয়েছে, সে জন্য আমরা ভোট দিয়েছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যখন একটি দেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাবে আমরা ভোট দিইনি। মানবতার বিষয়টি সামনে এলে আমরা ভোট দিয়েছি। আমার মনে হয় এটা একেবারে স্পষ্ট। এটা নিয়ে আর কারও কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’
চুন্নু তাঁর প্রশ্নে র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের দুর্বলতা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নাইন/ইলেভেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে সন্ত্রাস দমনে তখনকার বিএনপি সরকার র্যাব সৃষ্টি করেছিল। তবে তারা র্যাবকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসার পর র্যাব জঙ্গি, সন্ত্রাস দমন, হত্যার তদন্তসহ মানবিক কাজই করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। তারা মানবাধিকার রক্ষায়ই কাজ করছে।’
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, এদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে যখন একটি অস্বাভাবিক সরকার থাকে অথবা অবৈধ দখলদার কেউ যদি থাকে, তখন তারা খুব ভালো থাকে, তাদের খুব গুরুত্ব থাকে। যখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান থাকে, তারা ভালো থাকে না। এ জন্য তারা সব সময় সরকারের বিরুদ্ধে লেগেই থাকে। যতই ভালো কাজ করুক, তাঁরা পেছনে লেগেই থাকে। কারণ, তারা ভালো দেখতে চায় না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নানা ধরনের অভিযোগ, চিঠি এমনকি এই র্যাব সম্পর্কেও তাদের অভিযোগ। এই অপপ্রচার তারাই করেছে। ওখানকার যাঁরা কংগ্রেসম্যান, সিনেটর তাঁদের কাছে তথ্য পাঠানো, চিঠি দেওয়া—নানাভাবে তারা এই অপপ্রচার করে। সেখানকার আমাদের অ্যাম্বাসি সব সময় সক্রিয় ছিল। যখন এই ব্যাপার নিয়ে তারা আলোচনা করেছে, তখন অ্যাম্বাসির কাউকে ঢুকতে দেয়নি। এটা আরও দুই-তিন বছর আগের কথা। এটা প্রক্রিয়া বহুদিন থেকেই চলছে। আমরা বারবার তাদের জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, এখানে র্যাবের কোনো সদস্য যখন অন্যায় করেছে, সাথে সাথে কিন্তু তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের একজন মন্ত্রীর (সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) জামাই (তারেক সাঈদ) একটি অপরাধ করেছিল। মন্ত্রীর জামাই হিসেবে কিন্তু আমরা ক্ষমা করিনি। তাকে ঠিকেই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ কোনো সময়ই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, সে যেই হোক। আইনশৃঙ্খলা সংস্থার যে কেউ কোনো অপরাধ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই। কাজেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু থাকে না।’
কারা অপপ্রচার চালাচ্ছে—এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু লোক আছে তাঁরা একটু বুদ্ধিজীবী, ইন্টেলেকচুয়াল, অমুক-সমুক নানা ধরনের সংগঠন তাঁরা করেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলে তাঁরা পয়সা জোগাতে পারেন, তা ছাড়া তাঁরা পয়সা জোগাতে পারেন না। আমরা দেখেছি ব্যাপারটা সেখানেই। এখান থেকে তাঁদের একজন প্রতিনিধি গেল। সেখানে একটি সম্মেলন হলো। সেখানে আমাদের অ্যাম্বাসি বা কাউকে তারা থাকতে দেয়নি। উপস্থিত হতে দেয়নি। সেখানে আপত্তিটা আমাদের দেশের লোকই করেছে।’
র্যাবের বিরুদ্ধে যে বদনাম, এর জন্য অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের লোকেই বদনামটা করে। এই র্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম তো আমার দেশের মানুষই করে যাচ্ছে। এ জন্য বলার কিছু নেই। আর সে জন্য এই নিষেধাজ্ঞাটা এসেছে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন যাতে না হয়, তার জন্য নানা ষড়যন্ত্র। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দুপুর ১২টায় সরে গেল। আন্দোলন করে জনগণের সাড়া পেল না কেন? আমি যদি সত্যি ভোট ছিনতাই করে নিতাম, তাহলে তো ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সময় যেভাবে জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আন্দোলন করেছিল, দেড় মাসের মধ্যে সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছিল, সেভাবে আমাদের হটাতো! মানুষ তো সেভাবে সাড়া দেয়নি। কারণ মানুষ তো ভোট দিতে পেরেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ভোটের বিষয়ে বলেন, ‘ভোটের যতটুকু উন্নতি সেটা তো আওয়ামী লীগ করেছে। এই যে ধারাবাহিক গণতন্ত্র চলছে, তা আমাদের দেশের কিছু কিছু লোক সব সময় একটা অস্বাভাবিক অবস্থা চায়। কারণ অস্বাভাবিক অবস্থা থাকলে তাদের একটু গুরুত্ব বাড়ে।’
কোরআন এবং মোহাম্মদ (স.)-কে লক্ষ্য করে অপ্রয়োজনীয়, বিবেক বর্জিত, ধৃষ্টতামূলক ও উসকানিমূলক আশালীন বক্তব্য ও আচরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ন্যায় শাস্তির বিধান থাকা বাঞ্ছনীয়, যা সংসদ বিবেচনা
১৫ মিনিট আগেরাজধানীর পাঁচ থানার পৃথক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ পৃথক পৃথক আদেশে গ্রেপ্তার দেখানোর এই নির্দেশ দেন।
২৬ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের খসড়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের শাস্তির বিধান যুক্ত করলেও শেষ মুহূর্তে পিছু হটল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাহারুল আলমকে। আর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া হয় শেখ সাজ্জাদ আলীকে। আজ বুধবার জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে