নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সকল পাটকল চিনিকল চালু ও তার বিকাশে আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের অর্থনীতি, মৌলিক শিল্প, জনগণের সম্পদ, শ্রমিকের কর্মসংস্থান, স্থানীয় অর্থনীতি ও চিনি এবং পাটচাষিদের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় সেমিনারে। এ ছাড়া মাথাভারী প্রশাসনের আকার ছোট করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা, পাটকলগুলোকে অতি দ্রুত আধুনিকায়ন করে চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে সচল করতে এককালীন বরাদ্দ দেওয়া, সরকারি দপ্তরের সব খাতে পাটজাত দ্রবের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে না দিয়ে অবিলম্বে মিলগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতা, পিএফ বকেয়া ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া পরিশোধে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ জানানো হয়।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। করোনার মধ্যে লোকসানের অজুহাতে ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি। পাটকল বন্ধের সময় পাটমন্ত্রী দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ করে তিন মাসের মধ্যে মিল চালুর কথা বললেও এখনো পর্যন্ত পাঁচটি জুটমিলের ৮,৪৬৩ অস্থায়ী শ্রমিক একটি টাকাও পাননি। ২০টি জুটমিলের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিকের বকেয়া এরিয়ার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হলেও এখনো শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫টি চিনিকলে ৮২ হাজার টন উৎপাদন হয়েছিল। ছয়টি মিল বন্ধের পর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮ হাজার টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন কমে ২৪ হাজার টনে এসে নেমেছে।
সেমিনারে লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া দেশের ৭৫টি সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে আর চালুই করা যায়নি। বেসরকারিকরণ করলেই শিল্পের বিকাশ হবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে-বাংলাদেশের বেসরকারিকরণের ইতিহাস তা বলে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করলেই হবে না এগুলো দক্ষতার সঙ্গে চালাতে হবে। সে জন্য যন্ত্রপাতি নবায়ন এবং নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতি কমাতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বড় কারণ ছিল পুঞ্জীভূত ঋণ। অথচ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিলেই উৎপাদন খরচ কমানো যেত। এখনো চেষ্টা করলে এবং সরকার উদ্যোগী হলে চিনিকলগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব।’
গত এক যুগে পাটশিল্প থেকে দশ হাজার কোটি টাকা রপ্তানিমূলক আয় হয়েছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘পাটকল এবং চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা শ্রমিকের সমস্যা নয়। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার জবাবদিহি নেই। তাই শ্রমিকের আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলা হিসেবে না দেখে এটিকে সরকারের সংকট এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ হিসেবে দেখে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সরকার এই শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভর্তুকি দিতে বাধ্য।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলোতে শ্রমিকের কারণে নয়, রাষ্ট্র এবং সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হচ্ছে। পাটকল চিনিকল চালুসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট সোহরাব হোসেন বলেন, ‘পাটকল, চিনিকল বন্ধ করার আগে বিজেএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। কেন পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, শ্রমিকেরা ঠিকমতো তাদের পাওনা পাচ্ছে না, তা খুঁজে বের করতে অবিলম্বে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে উন্মোচন করতে হবে।’
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পাটকল আধুনিকায়নের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়নি, কিন্তু ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সরকারের চোখ পড়েছে জমির দিকে। এই মহামূল্যবান পাটকল এবং চিনিকলের জমি ব্যবসায়ীদের হাতে দিয়ে দেওয়ায় সরকারের লক্ষ্য।’
পাটের বিশাল সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে পাটজাত শিল্পের চাহিদা দিন দিন বাড়বে জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এমন একটি সম্ভাবনাময় এবং কৌশলগত খাত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে বেসরকারি মালিক নিশ্চিত ভাবেই মুনাফার দিকে যাবে। পাটশিল্প শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করালে গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো না। কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। পাটকলে লোকসানের জন্য যারা দায়ী তাদেরই আবার পাটকলগুলো বেসরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে।’
পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালাসহ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিক নেতারা।
আসন্ন বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সব পাটকল-চিনিকল চালু ও তার বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণসহ সাত দফা সুপারিশ করেছে দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক ও শ্রমিক নেতারা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প রক্ষায় বন্ধ সকল পাটকল চিনিকল চালু ও তার বিকাশে আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের অর্থনীতি, মৌলিক শিল্প, জনগণের সম্পদ, শ্রমিকের কর্মসংস্থান, স্থানীয় অর্থনীতি ও চিনি এবং পাটচাষিদের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয় সেমিনারে। এ ছাড়া মাথাভারী প্রশাসনের আকার ছোট করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা, পাটকলগুলোকে অতি দ্রুত আধুনিকায়ন করে চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে সচল করতে এককালীন বরাদ্দ দেওয়া, সরকারি দপ্তরের সব খাতে পাটজাত দ্রবের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে না দিয়ে অবিলম্বে মিলগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া এবং বকেয়া বেতন-ভাতা, পিএফ বকেয়া ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া পরিশোধে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ জানানো হয়।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। করোনার মধ্যে লোকসানের অজুহাতে ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি। পাটকল বন্ধের সময় পাটমন্ত্রী দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ করে তিন মাসের মধ্যে মিল চালুর কথা বললেও এখনো পর্যন্ত পাঁচটি জুটমিলের ৮,৪৬৩ অস্থায়ী শ্রমিক একটি টাকাও পাননি। ২০টি জুটমিলের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিকের বকেয়া এরিয়ার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হলেও এখনো শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫টি চিনিকলে ৮২ হাজার টন উৎপাদন হয়েছিল। ছয়টি মিল বন্ধের পর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮ হাজার টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন কমে ২৪ হাজার টনে এসে নেমেছে।
সেমিনারে লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া দেশের ৭৫টি সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে আর চালুই করা যায়নি। বেসরকারিকরণ করলেই শিল্পের বিকাশ হবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে-বাংলাদেশের বেসরকারিকরণের ইতিহাস তা বলে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলো পুনরায় চালু করলেই হবে না এগুলো দক্ষতার সঙ্গে চালাতে হবে। সে জন্য যন্ত্রপাতি নবায়ন এবং নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতি কমাতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বড় কারণ ছিল পুঞ্জীভূত ঋণ। অথচ যথেষ্ট পদক্ষেপ নিলেই উৎপাদন খরচ কমানো যেত। এখনো চেষ্টা করলে এবং সরকার উদ্যোগী হলে চিনিকলগুলোকে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব।’
গত এক যুগে পাটশিল্প থেকে দশ হাজার কোটি টাকা রপ্তানিমূলক আয় হয়েছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘পাটকল এবং চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা শ্রমিকের সমস্যা নয়। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার জবাবদিহি নেই। তাই শ্রমিকের আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলা হিসেবে না দেখে এটিকে সরকারের সংকট এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ হিসেবে দেখে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সরকার এই শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভর্তুকি দিতে বাধ্য।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পাটকল-চিনিকলগুলোতে শ্রমিকের কারণে নয়, রাষ্ট্র এবং সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হচ্ছে। পাটকল চিনিকল চালুসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট সোহরাব হোসেন বলেন, ‘পাটকল, চিনিকল বন্ধ করার আগে বিজেএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে। কেন পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, শ্রমিকেরা ঠিকমতো তাদের পাওনা পাচ্ছে না, তা খুঁজে বের করতে অবিলম্বে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে উন্মোচন করতে হবে।’
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পাটকল আধুনিকায়নের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়নি, কিন্তু ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সরকারের চোখ পড়েছে জমির দিকে। এই মহামূল্যবান পাটকল এবং চিনিকলের জমি ব্যবসায়ীদের হাতে দিয়ে দেওয়ায় সরকারের লক্ষ্য।’
পাটের বিশাল সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে পাটজাত শিল্পের চাহিদা দিন দিন বাড়বে জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এমন একটি সম্ভাবনাময় এবং কৌশলগত খাত বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে বেসরকারি মালিক নিশ্চিত ভাবেই মুনাফার দিকে যাবে। পাটশিল্প শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করালে গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো না। কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। পাটকলে লোকসানের জন্য যারা দায়ী তাদেরই আবার পাটকলগুলো বেসরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে।’
পাটকল চিনিকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালাসহ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিক নেতারা।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৫ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে