নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই বড় দলের অনড় ও বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’—শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং পর্যবেক্ষণ গবেষণা তুলে ধরা হয়। এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন মাহফুজুল হক, নেওয়াজুল মাওলা ও সাজেদুল ইসলাম। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা করা হয়েছে।
গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করেন মাহফুজুল হক ও নেওয়াজুল মাওলা। গবেষণার সার্বিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দুই বড় দলের বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানের কারণে অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন হয়নি এবং এ বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থান কেন্দ্রিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লড়াইয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জিম্মিদশা প্রকটতর হয়েছে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় অব্যাহত থাকার কৌশল বাস্তবায়নের একতরফা নির্বাচন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে, যার আইনগত বৈধতা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ হয়তো হবে না বা হলেও টিকবে না। তবে এ সাফল্য রাজনৈতিক শুদ্ধাচার, গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতার মানদণ্ডে চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার অন্যতম উপাদানগুলো তথা অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সর্বোপরি সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের যে পূর্বশর্ত তা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিপালিত হয়নি বলে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও আইনগত সীমারেখার নামে কখনো অপারগ হয়ে, কখনো কৌশলে একতরফা নির্বাচনের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্যতম অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনও অনুরূপভাবে একই অ্যাজেন্ডার সহায়ক ভূমিকায় ব্যবহৃত হয়েছে বা লিপ্ত থেকেছে। নির্বাচনের নামে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের দীর্ঘকাল যাবৎ চলমান সংস্কৃতির সঙ্গে রাজনৈতিক আদর্শের যেকোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার দলের প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র ও অন্য দলের সরকার-সমর্থিত প্রার্থীদের যে পাতানো খেলা সংঘটিত হয়েছে, তাতেও ব্যাপক আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ অসুস্থ ও সহিংস প্রতিযোগিতা হয়েছে। যার সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বাইরে রাজনৈতিক আদর্শ বা জনস্বার্থের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া কঠিন। মুষ্টিমেয় আসনে ব্যতিক্রম ছাড়া সর্বব্যাপী পাতানো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের নমুনা ম্যাপিং হয়েছে এবং এর একমাত্র ইতিবাচক দিক হিসেবে অনিয়ম-দুর্নীতি-অবৈধতার যেসব তথ্য বরাবর প্রত্যাখ্যাত ছিল, তা নিজেদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাধ্যমে যথার্থতা পেয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গন ও শাসনব্যবস্থার ওপর ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতার জবাবদিহিহীন প্রয়োগের পথ আরও প্রসারিত হয়েছে।’
সংসদে ব্যবসায়ীদের আধিপত্যের মাত্রাও একচেটিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যা রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ব্যাপকতর স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও নীতি-দখলের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের সম্ভাব্য সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে যতটুকু আগ্রহ থাকবে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হবে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সরকারের প্রতি জন আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ও তার প্রভাব। একই সঙ্গে ক্রমাগত গভীরতর হবে দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ। গণতন্ত্রকামী মানুষের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী করণীয় ও বর্জনীয় তার বিশ্লেষণ, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক অবনমনের অভিজ্ঞতা এবং নির্বাচনী কৌশল ও অভিনবত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেস্ট কেস হিসেবে বিবেচিত হবে।’
দুই বড় দলের অনড় ও বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’—শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং পর্যবেক্ষণ গবেষণা তুলে ধরা হয়। এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন মাহফুজুল হক, নেওয়াজুল মাওলা ও সাজেদুল ইসলাম। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা করা হয়েছে।
গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করেন মাহফুজুল হক ও নেওয়াজুল মাওলা। গবেষণার সার্বিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দুই বড় দলের বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানের কারণে অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন হয়নি এবং এ বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থান কেন্দ্রিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লড়াইয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জিম্মিদশা প্রকটতর হয়েছে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় অব্যাহত থাকার কৌশল বাস্তবায়নের একতরফা নির্বাচন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে, যার আইনগত বৈধতা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ হয়তো হবে না বা হলেও টিকবে না। তবে এ সাফল্য রাজনৈতিক শুদ্ধাচার, গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতার মানদণ্ডে চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার অন্যতম উপাদানগুলো তথা অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সর্বোপরি সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের যে পূর্বশর্ত তা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিপালিত হয়নি বলে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও আইনগত সীমারেখার নামে কখনো অপারগ হয়ে, কখনো কৌশলে একতরফা নির্বাচনের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্যতম অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনও অনুরূপভাবে একই অ্যাজেন্ডার সহায়ক ভূমিকায় ব্যবহৃত হয়েছে বা লিপ্ত থেকেছে। নির্বাচনের নামে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের দীর্ঘকাল যাবৎ চলমান সংস্কৃতির সঙ্গে রাজনৈতিক আদর্শের যেকোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার দলের প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র ও অন্য দলের সরকার-সমর্থিত প্রার্থীদের যে পাতানো খেলা সংঘটিত হয়েছে, তাতেও ব্যাপক আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ অসুস্থ ও সহিংস প্রতিযোগিতা হয়েছে। যার সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বাইরে রাজনৈতিক আদর্শ বা জনস্বার্থের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া কঠিন। মুষ্টিমেয় আসনে ব্যতিক্রম ছাড়া সর্বব্যাপী পাতানো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের নমুনা ম্যাপিং হয়েছে এবং এর একমাত্র ইতিবাচক দিক হিসেবে অনিয়ম-দুর্নীতি-অবৈধতার যেসব তথ্য বরাবর প্রত্যাখ্যাত ছিল, তা নিজেদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাধ্যমে যথার্থতা পেয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গন ও শাসনব্যবস্থার ওপর ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতার জবাবদিহিহীন প্রয়োগের পথ আরও প্রসারিত হয়েছে।’
সংসদে ব্যবসায়ীদের আধিপত্যের মাত্রাও একচেটিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যা রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ব্যাপকতর স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও নীতি-দখলের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের সম্ভাব্য সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে যতটুকু আগ্রহ থাকবে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হবে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সরকারের প্রতি জন আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ও তার প্রভাব। একই সঙ্গে ক্রমাগত গভীরতর হবে দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ। গণতন্ত্রকামী মানুষের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী করণীয় ও বর্জনীয় তার বিশ্লেষণ, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক অবনমনের অভিজ্ঞতা এবং নির্বাচনী কৌশল ও অভিনবত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেস্ট কেস হিসেবে বিবেচিত হবে।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৫ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৫ ঘণ্টা আগে