নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ তিন জনের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নাসিকের সাবেক মেয়র ছাড়াও অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- নোয়াখালী ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌস ও যশোর ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়।
আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুদকের প্রতিবেদনে আইভীর মালিকানাধীন ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সাততলা বাড়ি, ১৮ একর জায়গা দখল শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইদের নামে কোটি কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় করেছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে যে সাততলা বাড়ির কথা দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে এটাই সেই বাড়ি। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা জানেন না বাড়িটি সাত তলা নয়, চারতলা। দুদক অনেক কম বলেছে, শামীম ওসমান ভাই বলেন এটা শত কোটি টাকার হোয়াইট হাউস।
শত কোটি টাকার বাড়ির রহস্য জানতে চাইলে সাবেক এই মেয়র বলেন, বাড়িটি আমার না, এটা আমাদের পৈত্রিক বাড়ি। আমাদের ভাই বোন সবার। আমি ভাইদের সঙ্গে থাকি। বাবার তিনটি জমি বিক্রি করে বাড়িটি করেছে ভাইয়েরা।
তিনি আরও বলেন, রহমতুল্লাহ ইনস্টিটিউট ভেঙে দখল, ১৮ একর জায়গা দখল করে শেখ রাসেল পার্ক তৈরির অভিযোগটি করেছে, সেটিও সত্য। জায়গাটি আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে নিয়ে দখল করেছি। দখল করে কাদের জন্য একটি পার্ক করে দিয়েছি। জায়গাটা আগে মাদকের আখড়া ছিল। একইভাবে রহমতুল্লা ইনস্টিটিউট সরকারের দুটি জায়গা দখল করে ব্যবসা করত, এটা ভেঙে পার্ক করে দিয়েছি মানুষের জন্য।
তার দুই ভাই আলী রেজা রিপন ও আহমেদ আলী রেজা উজ্জ্বলের বিরুদ্ধেও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইভী বলেন, আমি থাকতে আমার ভাইয়েরা কখনো সিটি করপোরেশনে যাননি। তারা কতটা সহজ সরল এই শহরের মানুষ সবাই জানে। তবু দুদক চাইলে আমি তাদের ফেস করব। গত ২০১৭ সালে তদন্ত করে তারা কিছুই পায়নি, আবার পিছু লেগেছে।
সূত্র জানায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ রয়েছে আইভীর আয়কর নথিতে। তবে প্লটটি তিনি একটি মাদ্রাসাকে দান করেছেন।
অন্যদিকে নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। উল্লেখ যোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে হাতিয়াববাজারে বহুতল ভবন, ভূঁইয়ার হাট নামক স্থানে ৩তলা বাড়ি, পুশালী বাজারে ৪তলা মার্কেট। তার স্বামীর নামেও বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের অর্জনের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া রনজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সক্ষমতার অপব্যবহারের করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ তোলা স্বর্ণ। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, তার ছেলে রাজিব কুমার রায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণ করতেন। তার নিজ ও ছেলের নামে ভারতের সল্টলেক এলাকায় বাড়িও রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জমি দখল, মানিলন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে তারা দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইলে কল দিলেও নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌস ও যশোর-৪ আসনের সাবেক এমিপ রনজিত কুমারকে পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ তিন জনের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নাসিকের সাবেক মেয়র ছাড়াও অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- নোয়াখালী ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌস ও যশোর ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়।
আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুদকের প্রতিবেদনে আইভীর মালিকানাধীন ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সাততলা বাড়ি, ১৮ একর জায়গা দখল শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইদের নামে কোটি কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় করেছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে যে সাততলা বাড়ির কথা দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে এটাই সেই বাড়ি। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা জানেন না বাড়িটি সাত তলা নয়, চারতলা। দুদক অনেক কম বলেছে, শামীম ওসমান ভাই বলেন এটা শত কোটি টাকার হোয়াইট হাউস।
শত কোটি টাকার বাড়ির রহস্য জানতে চাইলে সাবেক এই মেয়র বলেন, বাড়িটি আমার না, এটা আমাদের পৈত্রিক বাড়ি। আমাদের ভাই বোন সবার। আমি ভাইদের সঙ্গে থাকি। বাবার তিনটি জমি বিক্রি করে বাড়িটি করেছে ভাইয়েরা।
তিনি আরও বলেন, রহমতুল্লাহ ইনস্টিটিউট ভেঙে দখল, ১৮ একর জায়গা দখল করে শেখ রাসেল পার্ক তৈরির অভিযোগটি করেছে, সেটিও সত্য। জায়গাটি আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে নিয়ে দখল করেছি। দখল করে কাদের জন্য একটি পার্ক করে দিয়েছি। জায়গাটা আগে মাদকের আখড়া ছিল। একইভাবে রহমতুল্লা ইনস্টিটিউট সরকারের দুটি জায়গা দখল করে ব্যবসা করত, এটা ভেঙে পার্ক করে দিয়েছি মানুষের জন্য।
তার দুই ভাই আলী রেজা রিপন ও আহমেদ আলী রেজা উজ্জ্বলের বিরুদ্ধেও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইভী বলেন, আমি থাকতে আমার ভাইয়েরা কখনো সিটি করপোরেশনে যাননি। তারা কতটা সহজ সরল এই শহরের মানুষ সবাই জানে। তবু দুদক চাইলে আমি তাদের ফেস করব। গত ২০১৭ সালে তদন্ত করে তারা কিছুই পায়নি, আবার পিছু লেগেছে।
সূত্র জানায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ রয়েছে আইভীর আয়কর নথিতে। তবে প্লটটি তিনি একটি মাদ্রাসাকে দান করেছেন।
অন্যদিকে নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। উল্লেখ যোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে হাতিয়াববাজারে বহুতল ভবন, ভূঁইয়ার হাট নামক স্থানে ৩তলা বাড়ি, পুশালী বাজারে ৪তলা মার্কেট। তার স্বামীর নামেও বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের অর্জনের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া রনজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সক্ষমতার অপব্যবহারের করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ তোলা স্বর্ণ। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, তার ছেলে রাজিব কুমার রায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণ করতেন। তার নিজ ও ছেলের নামে ভারতের সল্টলেক এলাকায় বাড়িও রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জমি দখল, মানিলন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে তারা দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইলে কল দিলেও নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌস ও যশোর-৪ আসনের সাবেক এমিপ রনজিত কুমারকে পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৪ ঘণ্টা আগে