নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কারিগরি ত্রুটির কারণে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আবার শুরু হয়েছে। গত পরশু সন্ধ্যা থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্ৰিডে সরবরাহ হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার।
গত ৩০ জুন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ত্রুটি সারিয়ে ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় আবার উৎপাদন শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের তথ্য-উপাত্ত ঘেটে দেখা যায়, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়ার মাধ্যমে পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
রামপাল গত ১০ জুলাই পুনরায় উৎপাদনে আসার রাতে বাণিজ্যিক উৎপাদনে থাকা প্রথম ইউনিট থেকে রাত ১২টায় সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৩৬১ মেগাওয়াট।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট আছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। এরপর থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল বয়লার টিউব ফেটে যাওয়া, কুলিং হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়া। এ ছাড়া কয়লার সংকট তো ছিলই। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে।
৩০ জুন ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটির কারণে রামপালের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে জুলাই মাসের ৫-৬ তারিখের দিকে পুনরায় উৎপাদনে আসার কথা জানিয়েছিলেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ একরামুল্লাহ।
তিনি গত ২ জুলাই এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ত্রুটি সারানোর কাজ করা হচ্ছে। আগামী ৫ অথবা ৬ তারিখের দিকে প্রথম ইউনিট থেকে আবারও উৎপাদন শুরু করা হবে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কোরবানি ঈদের ছুটির সময় বন্ধ হাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ দেশে তখন ছুটিতে অফিস-আদালত, শিল্প কলকারখানা বন্ধ ছিল। যদিও গত কিছুদিন ধরে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও। ইতিমধ্যে চাহিদা ও জোগানের ঘাটতি প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কয়লাসংকটে পড়ে। মূলত, ডলারের সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারার জেরে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। কয়লাসংকটের কারণে এরপর গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসার পর গত ১৭ মে এই কেন্দ্রে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। যেটা করা হয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে। সেজন্য আমরা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘন ঘন কারিগরি ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি।’
কারিগরি ত্রুটির কারণে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আবার শুরু হয়েছে। গত পরশু সন্ধ্যা থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্ৰিডে সরবরাহ হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার।
গত ৩০ জুন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ত্রুটি সারিয়ে ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় আবার উৎপাদন শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের তথ্য-উপাত্ত ঘেটে দেখা যায়, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়ার মাধ্যমে পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
রামপাল গত ১০ জুলাই পুনরায় উৎপাদনে আসার রাতে বাণিজ্যিক উৎপাদনে থাকা প্রথম ইউনিট থেকে রাত ১২টায় সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৩৬১ মেগাওয়াট।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট আছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। এরপর থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল বয়লার টিউব ফেটে যাওয়া, কুলিং হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়া। এ ছাড়া কয়লার সংকট তো ছিলই। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে।
৩০ জুন ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটির কারণে রামপালের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে জুলাই মাসের ৫-৬ তারিখের দিকে পুনরায় উৎপাদনে আসার কথা জানিয়েছিলেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ একরামুল্লাহ।
তিনি গত ২ জুলাই এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ত্রুটি সারানোর কাজ করা হচ্ছে। আগামী ৫ অথবা ৬ তারিখের দিকে প্রথম ইউনিট থেকে আবারও উৎপাদন শুরু করা হবে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কোরবানি ঈদের ছুটির সময় বন্ধ হাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ দেশে তখন ছুটিতে অফিস-আদালত, শিল্প কলকারখানা বন্ধ ছিল। যদিও গত কিছুদিন ধরে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও। ইতিমধ্যে চাহিদা ও জোগানের ঘাটতি প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কয়লাসংকটে পড়ে। মূলত, ডলারের সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারার জেরে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। কয়লাসংকটের কারণে এরপর গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসার পর গত ১৭ মে এই কেন্দ্রে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। যেটা করা হয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে। সেজন্য আমরা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘন ঘন কারিগরি ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে