সাইফুল মাসুম, মালদ্বীপ থেকে ফিরে
ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই যার একমাত্র পুঁজি। পর্যটন খাত থেকেই দেশটির মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ৫০ শতাংশের বেশি আসে। বিপরীতে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ৩ শতাংশের কম। অথচ মালদ্বীপের চেয়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাত সংখ্যা ও বৈচিত্র্য—দুই বিচারেই এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের পর্যটন ব্যবস্থাপনাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
মোট ১২০০ ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপের স্থলভাগের আয়তন মাত্র ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে সবগুলোতে কিন্তু মানুষের বসতি নেই। দেশটির ৮০০ দ্বীপে কেউ থাকে না। এগুলো ভার্জিন আইল্যান্ড হিসেবে পরিচিত। মাত্র ২০০ দ্বীপে মানুষের বসতি আছে। আর পর্যটনের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা দ্বীপের সংখ্যা শতাধিক। এই দ্বীপগুলোকে বলা হয় রিসোর্ট আইল্যান্ড। একটি দ্বীপ আসলে একটি রিসোর্ট। পর্যটনের জন্য এই দ্বীপগুলোর মধ্যে ৭০-৮০টি বিভিন্ন দেশকে ইজারা দিয়েছে দেশটি।
এবার একটু বাংলাদেশের দিকে তাকানো যাক। টুরিস্ট পুলিশের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে পর্যটকদের আকর্ষণের মতো ১৬৭৫টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। শুধু সংখ্যায় নয়, এই পর্যটন স্থানগুলো বৈচিত্র্যের দিক থেকেও মালদ্বীপ থেকে এগিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের এই শক্তিকে কাজে লাগাতে পারছে না।
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের পর্যটন আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে সাগর ও সৈকত। বৈচিত্র্য বলতে এর গঠনশৈলী ও সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট-প্রদত্ত নানা সেবা ও সুবিধা। অন্যদিকে বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলো একটি থেকে অন্যটি আলাদা। এখানে যেমন আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, তেমনি আছে সেন্ট মার্টিনের মতো কোরাল দ্বীপ, আছে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটির মতো পার্বত্য এলাকা, আছে হাওরাঞ্চল, সিলেটের বিস্তৃত চা-বাগান ও এর সঙ্গে আরও নানা বিচিত্র সব পর্যটন স্থান। আছে ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা। কিন্তু এত বৈচিত্র্য দিয়েও পর্যটক সেভাবে টানতে পারছে না বাংলাদেশ। তাহলে মালদ্বীপ কীভাবে পারছে?
মালদ্বীপ পারছে তার পর্যটন ব্যবস্থাপনা দিয়ে। শুধু ব্যবস্থাপনার জোরেই দেশটি নিজেদের পর্যটন স্থানগুলোকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারছে। ২০২০ সালে দেশটিকে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন গন্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখানেই থেমে থাকেনি তারা। নিজেদের সম্ভাবনাকে প্রতিনিয়ত তারা উন্মোচিত করছে। বিপরীতে বাংলাদেশ এত এত বৈচিত্র্য নিয়ে শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
অনেকে বলে থাকেন বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় পর্যটনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন—এমন অনেক কিছুই করতে পারছে না। কিন্তু মালদ্বীপের দিকে তাকালে এই যুক্তি আর ধোপে টেকে না। তারা ধর্মীয় বিষয়াদিকে যথাযথ সম্মানের জায়গায় রেখেই পর্যটনকে এগিয়ে নিচ্ছে। খোদ মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, ‘মালদ্বীপ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপ। তারা ধর্মীয় শ্রদ্ধার জায়গাটিকে অটুট রেখেই পর্যটন খাতকে উন্নত করেছে। রিসোর্ট আইল্যান্ডগুলোতে আপনি বিনোদনের জন্য সব করতে পারেন। কিন্তু স্থানীয় দ্বীপগুলোতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। এ জন্য এখানে লাখ লাখ বিদেশি পর্যটক আসছেন।’
মোট জনসংখ্যায় মুসলিমদের অনুপাত বিচারে মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশের বেশি মুসলিম। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ৯০ শতাংশের কিছু বেশি। ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধকে পর্যটন বিস্তারে বাধা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই, যদি মালদ্বীপকে উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা যায়।
নাজমুল হাসান আরও বলেন, ‘বিশ্বসেরা যত হোটেল রিসোর্ট ব্র্যান্ড আছে, তাদের সবারই রিসোর্ট এখানে আছে। প্রতিটি রিসোর্টেই নিজেদের মতো করে পর্যটন ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে তারা। সেখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। মাঝেমধ্যে এগুলোতে কর্মকর্তারা সারপ্রাইজ ভিজিটে যান। অনিয়ম পেলে প্রথমে সতর্ক করা হয়, পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটাই মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প বিকাশের মূল কারণ।’
আরেকটি বিষয় হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা ও যত্ন। বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গেলে পরিচ্ছন্নতার অভাবটিই সবার আগে নজরে পড়ে। আছে নিরাপত্তার অভাবও। এ দুটি দিকেই এগিয়ে মালদ্বীপ।
কিছুদিন আগে মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। প্রতিষ্ঠানটির মালদ্বীপ শাখার ব্যবস্থাপক নাজমুল শাকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু খেয়াল করলে দেখবেন কত পরিচ্ছন্ন পরিবেশবান্ধব জনপদ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমরা নষ্ট করে ফেলছি। মালদ্বীপের হোটেল মোটেল, রাস্তা, পার্কিং, হাঁটার পথের ব্যবস্থা সব গোছানো। কোথাও ময়লা হচ্ছে না। হোটেল থেকে খাবার নিয়ে লোকে খাচ্ছে; কিন্তু নিচে ময়লা ফেলছে না।’
এটি একদিনে হয়নি। ১৯৭২ সালে মালদ্বীপে রিসোর্ট ছিল মাত্র তিনটি। এখন এ সংখ্যা শতাধিক। এটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। দুই দশক আগেও দেশটির জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৪০ শতাংশের নিচে, এখন যা ৫০ শতাংশের বেশি। জার্মানভিত্তিক এগলিইটিস-মিডিয়ার প্রকল্প ওয়ার্ল্ডডেটা ইনফোর তথ্যমতে, ২০০১ সালে মালদ্বীপের জিডিপির ৬২ দশমিক ৪২ শতাংশ আসত মৎস্য খাত থেকে। আর পর্যটন থেকে আসত ৩৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সে সময় বাংলাদেশের আয় ছিল জিডিপির ১ শতাংশেরও কম।
মালদ্বীপ ২০০৪ সালে পর্যটনের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়। দেড় দশকের ব্যবধানে তার সুফলও পায় তারা। এই সুফল এনে দেওয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি কিন্তু বাংলাদেশি; নাম নুরুল ইসলাম নাজেম। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এ অধ্যাপক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাদের আয়ের বড় অংশ আসে পর্যটন থেকে। সেই অনুপাতে বাংলাদেশে পর্যটন থেকে জিডিপিতে যোগ হয় খুব সামান্য। মালদ্বীপে ১ হাজারের বেশি দ্বীপ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২০০ দ্বীপে মানুষ বসবাস করে। আর ৮০০ দ্বীপে কেউ থাকে না; সেগুলোকে বলা হয় ভার্জিন আইল্যান্ড। পর্যটনের জন্য ৭০-৮০টি আইল্যান্ড তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ইজারা দিয়েছে। নিজেরা টুরিজমের জন্য কয়েকটা দ্বীপকে ডেভেলপ করেছে। এসব দ্বীপে পর্যটন কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে অত্যন্ত উন্নত ব্যবস্থাপনায়। দেশটিতে ২০১১ সালের পর থেকে পর্যটন শিল্প সবচেয়ে বেশি বিকাশ লাভ করে।’
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিলের তথ্য যাচাই করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটন চিত্র একেবারেই উল্টো। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মোট পর্যটকের ৯৬ শতাংশ ছিল দেশীয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০২০ সালেও অনেকটা একই চিত্র, মোট পর্যটকের ৯৩ শতাংশ ছিল দেশীয়। আর ৭ শতাংশ ছিল বিদেশি। অন্যদিকে ২০১৯ সালে মালদ্বীপে মোট পর্যটকের ৯৬ শতাংশ ছিল বিদেশি পর্যটক। আর দেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০২০ সালে মোট পর্যটকের ৯৩ শতাংশ ছিল বিদেশি পর্যটক। আর দেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৭ শতাংশ।
জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদানকে আমলে নিলে এই বিপরীত চিত্র আরও প্রকট হয়ে ধরা দেয়। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিলের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সে বছর দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যটন খাত থেকে এসেছিল। অন্যদিকে ২০১৯ সালে মালদ্বীপের জিডিপির ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ এসেছে পর্যটন খাত থেকে।
বাংলাদেশে বিদেশি টুরিস্ট না আসার কারণ হিসেবে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজেম বলেন, ‘বিদেশি টুরিস্টের জন্য যেসব সুবিধা থাকা উচিত, তা আমাদের দেশে নেই। পর্যটন অবকাঠামো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। কিছু হোটেল আছে এত ব্যয়বহুল যে, অনেক পর্যটক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এখানে ফুড সিস্টেম ভালো। তবে তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে না। পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এ ছাড়া বিগত সময়ের বিভিন্ন সহিংসতার খবর বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে পর্যটকদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশে টুরিজমকে উন্নত করতে হলে সরকারের সহায়তা লাগবে। অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। মানুষের মানসিকতা পাল্টাতে হবে।’
নিরাপত্তার বিষয়টি বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে। টুরিস্ট পুলিশের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো ১৬৭৫টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছে ৪০৭ টি, চট্টগ্রামে ৩৩০, খুলনায় ২৬৩, বরিশালে ১১৮, রাজশাহীতে ২৪৩, রংপুরে ১৪৩, সিলেটে ৯৬ ও ময়মনসিংহে ৭৫টি দর্শনীয় স্থান। এই দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে মাত্র ১০৪ টিতে টুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। আর কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটের জাফলং, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মতো গুটিকয় স্থান ছাড়া কোথাও নেই পর্যটন অবকাঠামো।
বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলোকে বিশ্ব দরবারে ঠিকঠাক তুলে ধরতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে উন্নতি হলে এবং সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে পর্যটনবান্ধব করা গেলে মালদ্বীপের চেয়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাত কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকার কথা নয়। এতে সারা দেশই উপকৃত হবে। জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান আগের চেয়ে বাড়বে, যার সরাসরি সুফল পাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী।
বিষয়টি নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডও। মালদ্বীপ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে জানিয়ে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালদ্বীপ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের টুরিজম লিডার। পর্যটনের জন্য সারা বিশ্বে তারা পরিচিত। নিজেদের প্রচেষ্টায় ও বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে গেছে। মালদ্বীপ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের সুন্দরবন, কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওরসহ অনেক দর্শনীয় স্থান আছে, যা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যেতে পারে। আমরা নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাদের পর্যটনের অভিজ্ঞতা আমাদের দেশে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’
ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই যার একমাত্র পুঁজি। পর্যটন খাত থেকেই দেশটির মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ৫০ শতাংশের বেশি আসে। বিপরীতে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ৩ শতাংশের কম। অথচ মালদ্বীপের চেয়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাত সংখ্যা ও বৈচিত্র্য—দুই বিচারেই এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের পর্যটন ব্যবস্থাপনাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
মোট ১২০০ ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপের স্থলভাগের আয়তন মাত্র ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে সবগুলোতে কিন্তু মানুষের বসতি নেই। দেশটির ৮০০ দ্বীপে কেউ থাকে না। এগুলো ভার্জিন আইল্যান্ড হিসেবে পরিচিত। মাত্র ২০০ দ্বীপে মানুষের বসতি আছে। আর পর্যটনের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা দ্বীপের সংখ্যা শতাধিক। এই দ্বীপগুলোকে বলা হয় রিসোর্ট আইল্যান্ড। একটি দ্বীপ আসলে একটি রিসোর্ট। পর্যটনের জন্য এই দ্বীপগুলোর মধ্যে ৭০-৮০টি বিভিন্ন দেশকে ইজারা দিয়েছে দেশটি।
এবার একটু বাংলাদেশের দিকে তাকানো যাক। টুরিস্ট পুলিশের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে পর্যটকদের আকর্ষণের মতো ১৬৭৫টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। শুধু সংখ্যায় নয়, এই পর্যটন স্থানগুলো বৈচিত্র্যের দিক থেকেও মালদ্বীপ থেকে এগিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের এই শক্তিকে কাজে লাগাতে পারছে না।
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের পর্যটন আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে সাগর ও সৈকত। বৈচিত্র্য বলতে এর গঠনশৈলী ও সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট-প্রদত্ত নানা সেবা ও সুবিধা। অন্যদিকে বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলো একটি থেকে অন্যটি আলাদা। এখানে যেমন আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, তেমনি আছে সেন্ট মার্টিনের মতো কোরাল দ্বীপ, আছে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটির মতো পার্বত্য এলাকা, আছে হাওরাঞ্চল, সিলেটের বিস্তৃত চা-বাগান ও এর সঙ্গে আরও নানা বিচিত্র সব পর্যটন স্থান। আছে ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা। কিন্তু এত বৈচিত্র্য দিয়েও পর্যটক সেভাবে টানতে পারছে না বাংলাদেশ। তাহলে মালদ্বীপ কীভাবে পারছে?
মালদ্বীপ পারছে তার পর্যটন ব্যবস্থাপনা দিয়ে। শুধু ব্যবস্থাপনার জোরেই দেশটি নিজেদের পর্যটন স্থানগুলোকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারছে। ২০২০ সালে দেশটিকে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন গন্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখানেই থেমে থাকেনি তারা। নিজেদের সম্ভাবনাকে প্রতিনিয়ত তারা উন্মোচিত করছে। বিপরীতে বাংলাদেশ এত এত বৈচিত্র্য নিয়ে শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
অনেকে বলে থাকেন বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় পর্যটনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন—এমন অনেক কিছুই করতে পারছে না। কিন্তু মালদ্বীপের দিকে তাকালে এই যুক্তি আর ধোপে টেকে না। তারা ধর্মীয় বিষয়াদিকে যথাযথ সম্মানের জায়গায় রেখেই পর্যটনকে এগিয়ে নিচ্ছে। খোদ মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, ‘মালদ্বীপ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপ। তারা ধর্মীয় শ্রদ্ধার জায়গাটিকে অটুট রেখেই পর্যটন খাতকে উন্নত করেছে। রিসোর্ট আইল্যান্ডগুলোতে আপনি বিনোদনের জন্য সব করতে পারেন। কিন্তু স্থানীয় দ্বীপগুলোতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। এ জন্য এখানে লাখ লাখ বিদেশি পর্যটক আসছেন।’
মোট জনসংখ্যায় মুসলিমদের অনুপাত বিচারে মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশের বেশি মুসলিম। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ৯০ শতাংশের কিছু বেশি। ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধকে পর্যটন বিস্তারে বাধা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই, যদি মালদ্বীপকে উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা যায়।
নাজমুল হাসান আরও বলেন, ‘বিশ্বসেরা যত হোটেল রিসোর্ট ব্র্যান্ড আছে, তাদের সবারই রিসোর্ট এখানে আছে। প্রতিটি রিসোর্টেই নিজেদের মতো করে পর্যটন ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে তারা। সেখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। মাঝেমধ্যে এগুলোতে কর্মকর্তারা সারপ্রাইজ ভিজিটে যান। অনিয়ম পেলে প্রথমে সতর্ক করা হয়, পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটাই মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প বিকাশের মূল কারণ।’
আরেকটি বিষয় হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা ও যত্ন। বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গেলে পরিচ্ছন্নতার অভাবটিই সবার আগে নজরে পড়ে। আছে নিরাপত্তার অভাবও। এ দুটি দিকেই এগিয়ে মালদ্বীপ।
কিছুদিন আগে মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। প্রতিষ্ঠানটির মালদ্বীপ শাখার ব্যবস্থাপক নাজমুল শাকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু খেয়াল করলে দেখবেন কত পরিচ্ছন্ন পরিবেশবান্ধব জনপদ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমরা নষ্ট করে ফেলছি। মালদ্বীপের হোটেল মোটেল, রাস্তা, পার্কিং, হাঁটার পথের ব্যবস্থা সব গোছানো। কোথাও ময়লা হচ্ছে না। হোটেল থেকে খাবার নিয়ে লোকে খাচ্ছে; কিন্তু নিচে ময়লা ফেলছে না।’
এটি একদিনে হয়নি। ১৯৭২ সালে মালদ্বীপে রিসোর্ট ছিল মাত্র তিনটি। এখন এ সংখ্যা শতাধিক। এটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। দুই দশক আগেও দেশটির জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৪০ শতাংশের নিচে, এখন যা ৫০ শতাংশের বেশি। জার্মানভিত্তিক এগলিইটিস-মিডিয়ার প্রকল্প ওয়ার্ল্ডডেটা ইনফোর তথ্যমতে, ২০০১ সালে মালদ্বীপের জিডিপির ৬২ দশমিক ৪২ শতাংশ আসত মৎস্য খাত থেকে। আর পর্যটন থেকে আসত ৩৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সে সময় বাংলাদেশের আয় ছিল জিডিপির ১ শতাংশেরও কম।
মালদ্বীপ ২০০৪ সালে পর্যটনের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়। দেড় দশকের ব্যবধানে তার সুফলও পায় তারা। এই সুফল এনে দেওয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি কিন্তু বাংলাদেশি; নাম নুরুল ইসলাম নাজেম। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এ অধ্যাপক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাদের আয়ের বড় অংশ আসে পর্যটন থেকে। সেই অনুপাতে বাংলাদেশে পর্যটন থেকে জিডিপিতে যোগ হয় খুব সামান্য। মালদ্বীপে ১ হাজারের বেশি দ্বীপ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২০০ দ্বীপে মানুষ বসবাস করে। আর ৮০০ দ্বীপে কেউ থাকে না; সেগুলোকে বলা হয় ভার্জিন আইল্যান্ড। পর্যটনের জন্য ৭০-৮০টি আইল্যান্ড তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ইজারা দিয়েছে। নিজেরা টুরিজমের জন্য কয়েকটা দ্বীপকে ডেভেলপ করেছে। এসব দ্বীপে পর্যটন কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে অত্যন্ত উন্নত ব্যবস্থাপনায়। দেশটিতে ২০১১ সালের পর থেকে পর্যটন শিল্প সবচেয়ে বেশি বিকাশ লাভ করে।’
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিলের তথ্য যাচাই করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটন চিত্র একেবারেই উল্টো। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মোট পর্যটকের ৯৬ শতাংশ ছিল দেশীয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০২০ সালেও অনেকটা একই চিত্র, মোট পর্যটকের ৯৩ শতাংশ ছিল দেশীয়। আর ৭ শতাংশ ছিল বিদেশি। অন্যদিকে ২০১৯ সালে মালদ্বীপে মোট পর্যটকের ৯৬ শতাংশ ছিল বিদেশি পর্যটক। আর দেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০২০ সালে মোট পর্যটকের ৯৩ শতাংশ ছিল বিদেশি পর্যটক। আর দেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৭ শতাংশ।
জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদানকে আমলে নিলে এই বিপরীত চিত্র আরও প্রকট হয়ে ধরা দেয়। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিলের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সে বছর দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যটন খাত থেকে এসেছিল। অন্যদিকে ২০১৯ সালে মালদ্বীপের জিডিপির ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ এসেছে পর্যটন খাত থেকে।
বাংলাদেশে বিদেশি টুরিস্ট না আসার কারণ হিসেবে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজেম বলেন, ‘বিদেশি টুরিস্টের জন্য যেসব সুবিধা থাকা উচিত, তা আমাদের দেশে নেই। পর্যটন অবকাঠামো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। কিছু হোটেল আছে এত ব্যয়বহুল যে, অনেক পর্যটক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এখানে ফুড সিস্টেম ভালো। তবে তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে না। পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এ ছাড়া বিগত সময়ের বিভিন্ন সহিংসতার খবর বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে পর্যটকদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশে টুরিজমকে উন্নত করতে হলে সরকারের সহায়তা লাগবে। অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। মানুষের মানসিকতা পাল্টাতে হবে।’
নিরাপত্তার বিষয়টি বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে। টুরিস্ট পুলিশের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো ১৬৭৫টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছে ৪০৭ টি, চট্টগ্রামে ৩৩০, খুলনায় ২৬৩, বরিশালে ১১৮, রাজশাহীতে ২৪৩, রংপুরে ১৪৩, সিলেটে ৯৬ ও ময়মনসিংহে ৭৫টি দর্শনীয় স্থান। এই দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে মাত্র ১০৪ টিতে টুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। আর কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটের জাফলং, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মতো গুটিকয় স্থান ছাড়া কোথাও নেই পর্যটন অবকাঠামো।
বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলোকে বিশ্ব দরবারে ঠিকঠাক তুলে ধরতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে উন্নতি হলে এবং সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে পর্যটনবান্ধব করা গেলে মালদ্বীপের চেয়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাত কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকার কথা নয়। এতে সারা দেশই উপকৃত হবে। জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান আগের চেয়ে বাড়বে, যার সরাসরি সুফল পাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী।
বিষয়টি নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডও। মালদ্বীপ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে জানিয়ে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালদ্বীপ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের টুরিজম লিডার। পর্যটনের জন্য সারা বিশ্বে তারা পরিচিত। নিজেদের প্রচেষ্টায় ও বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে গেছে। মালদ্বীপ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের সুন্দরবন, কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওরসহ অনেক দর্শনীয় স্থান আছে, যা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যেতে পারে। আমরা নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাদের পর্যটনের অভিজ্ঞতা আমাদের দেশে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে