নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনগণের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে আমাকে হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। আমার কোনো কর্মকাণ্ড যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেটাই আমার ব্রত। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল গণমাধ্যমের সামনে এভাবেই নিজের অভিমত তুলে ধরেন। ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন মো. সাহাবুদ্দিন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর আগের দিন ২৩ এপ্রিল অবসরে যাবেন।
এদিকে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। গতকাল বিকেলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগপর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) ভাইস চেয়ারম্যান। পরিচালনা পর্ষদের সেই পদ থেকে তিনি গতকাল পদত্যাগ করেছেন বলে জানান আইবিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। চট্টগ্রামের জেএমসি বিল্ডার্সের পক্ষে ২০১৭ সালের জুনে মো. সাহাবুদ্দিন ব্যাংকটির পরিচালক নিযুক্ত হন। এরপর তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এত দিন সেই পদে বহাল ছিলেন। এ ছাড়া তিনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের উপদেষ্টা। এই পদও তাঁকে ছাড়তে হবে।
মো. সাহাবুদ্দিন বাস করেন গুলশান ১-এর ১২৩ নম্বর সড়কের গ্রিন ভিলায়। গতকাল থেকে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে বদলে গেছে বাড়িটির আবহ। বাড়ির দুটি গেটে ডজনের বেশি সশস্ত্র পুলিশ, তাদের সজাগ দৃষ্টি সর্বত্র। সেখানে সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের আনাগোনাও বেড়েছে।
তাঁর যাতায়াতের সময় নিরাপত্তা প্রটোকলে থাকছে পুলিশের তিনটি গাড়ি। সোমবার দুপুরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ভোট দিয়ে নিজের মতো করে সরকার গঠন করতে হবে জনগণকে। জনগণ যাকে চাইবে, তারাই সরকার গঠন করবে। একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকার অথবা নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিতে সব বিরোধী দলকে আহ্বান জানান তিনি। সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সরকার, সরকার পদ্ধতি ও দেশ পরিচালিত হোক—এটাই সাধারণ মানুষের কামনা থাকে। রাষ্ট্রপতি হলেও আমিও একজন সাধারণ ভোটার। যে দল থেকেই মনোনীত হই না কেন, নির্বাচনের সময় হোক অথবা কোনো বিশেষ সময়ে যদি প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রশ্ন ওঠে, তাহলে আমাকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকতে হবে। আমার ব্রত থাকবে, জনগণের দ্বারা একটি ভালো নির্বাচন করানো এবং সব সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষভাবে নেওয়া।’
রাষ্ট্রপতির দুটি ক্ষমতা
সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সম্পূর্ণ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তিনি নিজ ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি কে হবেন, তা নির্ধারণ করে নিয়োগ দিতে পারবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মনোনীত নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে হয়। তবে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, তখন কোন দলের জোট থেকে কে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাবেন, তা রাষ্ট্রপতিই নির্ধারণ করবেন। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশে ১৯৯১ সালেই হয়েছিল। তখন রাষ্ট্রপতি নিজের বিবেচনাবোধ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সুযোগ-সুবিধা
দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) আইন, ২০১৬ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন হবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই টাকা আয়করমুক্ত। ২০০৫ সালে ছিল ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা, ২০০৯ সালে ছিল ৬১ হাজার ২০০ টাকা। রাষ্ট্রপতি আপ্যায়নের (এন্টারটেইনমেন্ট) জন্য বছরে ভাতা পান। এই টাকার নিরীক্ষা হবে না। রাষ্ট্রপতির জন্য সরকারি বাসভবন (বঙ্গভবন) থাকবে, যার সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে সরকার। স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রপতি পরিবহন (গাড়ি) সুবিধা পাবেন। রাষ্ট্রপতি দাপ্তরিক কাজে দেশের বাইরে গেলে সরকারনির্ধারিত ভাতা পাবেন। রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন তহবিল বছরে দুই কোটি টাকা।
রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার খরচ সরকারকে বহন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বাবুর্চি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ব্যয় সরকার বহন করে। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী-স্বামী, সন্তান, পিতা-মাতা ও অবিবাহিত ভাইবোনকে বোঝানো হয়েছে, যাঁরা তাঁর ওপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসার সুবিধা পান। চিকিৎসকদের পরামর্শে দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেই খরচও সরকার দেবে।
রাষ্ট্রপতি বিমানে ভ্রমণ করলে বিমাসুবিধার ব্যবস্থা আছে। এই বিমাসুবিধা এখন বছরে ২৭ লাখ টাকা।রাষ্ট্রপতির সরকারি আবাসস্থলের টেলিফোন, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব ধরনের সেবা খাতের ব্যয় সরকার বহন করবে। এসব বিলও ট্যাক্সের আওতায় আসবে না। রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় যানবাহন সরকার নিশ্চিত করবে। রাষ্ট্রপতির সব ধরনের সফর ও সফরকালীন অবস্থানের ব্যয়ও সরকার প্রদান করবে। পরিবহনের জ্বালানি সরকার বহন করবে এবং জ্বালানি হবে ট্যাক্সের আওতামুক্ত। রাষ্ট্রপতি ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেলওয়ে, বিমান ও নৌযানে সর্বোচ্চ সুবিধাসংবলিত আসন পাবেন।
এ ছাড়া ছয় মাস বা তার অধিক সময়কাল দায়িত্ব পালন শেষে রাষ্ট্রপতি অবসরে গেলেও বেতনের ৭৫ শতাংশ হারে মাসিক অবসর ভাতা পাবেন। এর বাইরেও অবসরকালে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন অ্যাটেনডেন্টসহ সরকারনির্ধারিত দাপ্তরিক খরচ পাবেন। পাবেন মন্ত্রীর সমপরিমাণ চিকিৎসা খরচ। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে পাবেন বাহন ও সরকারি টেলিফোন।
জনগণের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে আমাকে হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। আমার কোনো কর্মকাণ্ড যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেটাই আমার ব্রত। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল গণমাধ্যমের সামনে এভাবেই নিজের অভিমত তুলে ধরেন। ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন মো. সাহাবুদ্দিন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর আগের দিন ২৩ এপ্রিল অবসরে যাবেন।
এদিকে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। গতকাল বিকেলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগপর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) ভাইস চেয়ারম্যান। পরিচালনা পর্ষদের সেই পদ থেকে তিনি গতকাল পদত্যাগ করেছেন বলে জানান আইবিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। চট্টগ্রামের জেএমসি বিল্ডার্সের পক্ষে ২০১৭ সালের জুনে মো. সাহাবুদ্দিন ব্যাংকটির পরিচালক নিযুক্ত হন। এরপর তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এত দিন সেই পদে বহাল ছিলেন। এ ছাড়া তিনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের উপদেষ্টা। এই পদও তাঁকে ছাড়তে হবে।
মো. সাহাবুদ্দিন বাস করেন গুলশান ১-এর ১২৩ নম্বর সড়কের গ্রিন ভিলায়। গতকাল থেকে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে বদলে গেছে বাড়িটির আবহ। বাড়ির দুটি গেটে ডজনের বেশি সশস্ত্র পুলিশ, তাদের সজাগ দৃষ্টি সর্বত্র। সেখানে সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের আনাগোনাও বেড়েছে।
তাঁর যাতায়াতের সময় নিরাপত্তা প্রটোকলে থাকছে পুলিশের তিনটি গাড়ি। সোমবার দুপুরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ভোট দিয়ে নিজের মতো করে সরকার গঠন করতে হবে জনগণকে। জনগণ যাকে চাইবে, তারাই সরকার গঠন করবে। একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকার অথবা নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিতে সব বিরোধী দলকে আহ্বান জানান তিনি। সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সরকার, সরকার পদ্ধতি ও দেশ পরিচালিত হোক—এটাই সাধারণ মানুষের কামনা থাকে। রাষ্ট্রপতি হলেও আমিও একজন সাধারণ ভোটার। যে দল থেকেই মনোনীত হই না কেন, নির্বাচনের সময় হোক অথবা কোনো বিশেষ সময়ে যদি প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রশ্ন ওঠে, তাহলে আমাকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকতে হবে। আমার ব্রত থাকবে, জনগণের দ্বারা একটি ভালো নির্বাচন করানো এবং সব সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষভাবে নেওয়া।’
রাষ্ট্রপতির দুটি ক্ষমতা
সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সম্পূর্ণ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তিনি নিজ ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি কে হবেন, তা নির্ধারণ করে নিয়োগ দিতে পারবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মনোনীত নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে হয়। তবে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, তখন কোন দলের জোট থেকে কে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাবেন, তা রাষ্ট্রপতিই নির্ধারণ করবেন। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশে ১৯৯১ সালেই হয়েছিল। তখন রাষ্ট্রপতি নিজের বিবেচনাবোধ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সুযোগ-সুবিধা
দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) আইন, ২০১৬ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন হবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই টাকা আয়করমুক্ত। ২০০৫ সালে ছিল ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা, ২০০৯ সালে ছিল ৬১ হাজার ২০০ টাকা। রাষ্ট্রপতি আপ্যায়নের (এন্টারটেইনমেন্ট) জন্য বছরে ভাতা পান। এই টাকার নিরীক্ষা হবে না। রাষ্ট্রপতির জন্য সরকারি বাসভবন (বঙ্গভবন) থাকবে, যার সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে সরকার। স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রপতি পরিবহন (গাড়ি) সুবিধা পাবেন। রাষ্ট্রপতি দাপ্তরিক কাজে দেশের বাইরে গেলে সরকারনির্ধারিত ভাতা পাবেন। রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন তহবিল বছরে দুই কোটি টাকা।
রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার খরচ সরকারকে বহন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বাবুর্চি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ব্যয় সরকার বহন করে। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী-স্বামী, সন্তান, পিতা-মাতা ও অবিবাহিত ভাইবোনকে বোঝানো হয়েছে, যাঁরা তাঁর ওপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসার সুবিধা পান। চিকিৎসকদের পরামর্শে দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেই খরচও সরকার দেবে।
রাষ্ট্রপতি বিমানে ভ্রমণ করলে বিমাসুবিধার ব্যবস্থা আছে। এই বিমাসুবিধা এখন বছরে ২৭ লাখ টাকা।রাষ্ট্রপতির সরকারি আবাসস্থলের টেলিফোন, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব ধরনের সেবা খাতের ব্যয় সরকার বহন করবে। এসব বিলও ট্যাক্সের আওতায় আসবে না। রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় যানবাহন সরকার নিশ্চিত করবে। রাষ্ট্রপতির সব ধরনের সফর ও সফরকালীন অবস্থানের ব্যয়ও সরকার প্রদান করবে। পরিবহনের জ্বালানি সরকার বহন করবে এবং জ্বালানি হবে ট্যাক্সের আওতামুক্ত। রাষ্ট্রপতি ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেলওয়ে, বিমান ও নৌযানে সর্বোচ্চ সুবিধাসংবলিত আসন পাবেন।
এ ছাড়া ছয় মাস বা তার অধিক সময়কাল দায়িত্ব পালন শেষে রাষ্ট্রপতি অবসরে গেলেও বেতনের ৭৫ শতাংশ হারে মাসিক অবসর ভাতা পাবেন। এর বাইরেও অবসরকালে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন অ্যাটেনডেন্টসহ সরকারনির্ধারিত দাপ্তরিক খরচ পাবেন। পাবেন মন্ত্রীর সমপরিমাণ চিকিৎসা খরচ। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে পাবেন বাহন ও সরকারি টেলিফোন।
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৩৭ মিনিট আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৭ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৯ ঘণ্টা আগে