নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সুনামগঞ্জে রেললাইনের রুট নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এই স্ট্যাটাস দুটির মধ্যে সুনামগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইন নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ফেসবুকে প্রথম স্ট্যাটাসটি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ১৪ জুন সেটি তিনি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন। এর পাল্টা পোস্টটি আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ‘পরিকল্পনা মন্ত্রীর দপ্তর’ ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া হয়েছে।
পোস্টটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। রেললাইন নির্মাণ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটি সুরাহা হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত ১৪ জুন দেওয়া স্ট্যাটাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘মান্নান আমার বন্ধু, মান্নানের সাথে আমার সম্পর্ক ৫০ বছরের অধিক। আমি এবং মান্নান সুখেদুঃখে সব সময়ই ছিলাম এবং আছি, ভবিষ্যতেও আমৃত্যু থাকব বলেই আশা করি। দুঃখজনক যে সিলেটের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে দেখলাম আমার এবং মান্নান এর মধ্যে নাকি দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং এই দ্বন্দ্বের কারণে নাকি সিলেটের অনেক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে! কে বা কারা এই সংবাদটি প্রচার করছেন জানি না তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যে বা যারা এটি প্রচার করছেন তারা হয়তোবা কোনো বিশেষ বা অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করছেন। ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না তবে একটি বিশেষ কারণে দিচ্ছি আর তা হলো আমার এবং মান্নানের স্থানীয় অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন আর তাদের মধ্যে যাতে কোনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়। দোয়া রইল। আব্দুল মোমেন।’
আর ‘পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তর’ ফেসবুক পেজে ইংরেজিতে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, ‘এটা সত্য যে, ড. মোমেনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। কিন্তু তিনি সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ সদস্যকে সমর্থন জানিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে ত্বরিৎ যে আধা সরকারি পত্র (ডিও) দিয়েছেন, সেটি আমাকে বিস্মিত করেছে। যেখানে একজন জাতীয় পার্টির এমপিও রয়েছেন। তিনি ভালো করেই জানেন, আমিও সুনামগঞ্জের একজন সংসদ সদস্য। তিনি জানেন যে, সুনামগঞ্জের সঙ্গে ছাতকের রেললাইন নির্মাণের বিষয়টি আমার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট। এ বিষয়ে আমি তাঁর চেয়ে ভালো জানি। আমার মনে হয় না, তিনি তাঁর বর্ণিল জীবনে কখনো সুনামগঞ্জে পা রেখেছেন। অন্য কেউ হলে এই পরিস্থিতিতে কারো পক্ষ নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। দীর্ঘ ৫০ বছরের বন্ধুত্ব এবং একজন ক্যাবিনেট কলিগ হওয়ার পরও এটি মোটেই প্রত্যাশিত নয়। এমএএম।’
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আওয়ামী লীগের নেতারা। বিষয়টি নিয়ে দলের দুইজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা বলেন, ঘটনার সঙ্গে রাষ্ট্রের দুইজন মন্ত্রী জড়িত। তাই হুট করে এখনই কিছু বলতে চাই না। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত রেললাইন হওয়ার কথা রয়েছে। রেললাইনের রুট নির্ধারণ নিয়ে রেলমন্ত্রী কথা বলেছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে। লাভজনক হয়, পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতি এড়ানোসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় তিন থেকে চারটি রুট নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ সদস্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রেলমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
ঢাকা: সুনামগঞ্জে রেললাইনের রুট নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এই স্ট্যাটাস দুটির মধ্যে সুনামগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইন নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ফেসবুকে প্রথম স্ট্যাটাসটি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ১৪ জুন সেটি তিনি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন। এর পাল্টা পোস্টটি আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ‘পরিকল্পনা মন্ত্রীর দপ্তর’ ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া হয়েছে।
পোস্টটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। রেললাইন নির্মাণ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটি সুরাহা হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত ১৪ জুন দেওয়া স্ট্যাটাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘মান্নান আমার বন্ধু, মান্নানের সাথে আমার সম্পর্ক ৫০ বছরের অধিক। আমি এবং মান্নান সুখেদুঃখে সব সময়ই ছিলাম এবং আছি, ভবিষ্যতেও আমৃত্যু থাকব বলেই আশা করি। দুঃখজনক যে সিলেটের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে দেখলাম আমার এবং মান্নান এর মধ্যে নাকি দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং এই দ্বন্দ্বের কারণে নাকি সিলেটের অনেক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে! কে বা কারা এই সংবাদটি প্রচার করছেন জানি না তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যে বা যারা এটি প্রচার করছেন তারা হয়তোবা কোনো বিশেষ বা অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করছেন। ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না তবে একটি বিশেষ কারণে দিচ্ছি আর তা হলো আমার এবং মান্নানের স্থানীয় অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন আর তাদের মধ্যে যাতে কোনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়। দোয়া রইল। আব্দুল মোমেন।’
আর ‘পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তর’ ফেসবুক পেজে ইংরেজিতে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, ‘এটা সত্য যে, ড. মোমেনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। কিন্তু তিনি সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ সদস্যকে সমর্থন জানিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে ত্বরিৎ যে আধা সরকারি পত্র (ডিও) দিয়েছেন, সেটি আমাকে বিস্মিত করেছে। যেখানে একজন জাতীয় পার্টির এমপিও রয়েছেন। তিনি ভালো করেই জানেন, আমিও সুনামগঞ্জের একজন সংসদ সদস্য। তিনি জানেন যে, সুনামগঞ্জের সঙ্গে ছাতকের রেললাইন নির্মাণের বিষয়টি আমার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট। এ বিষয়ে আমি তাঁর চেয়ে ভালো জানি। আমার মনে হয় না, তিনি তাঁর বর্ণিল জীবনে কখনো সুনামগঞ্জে পা রেখেছেন। অন্য কেউ হলে এই পরিস্থিতিতে কারো পক্ষ নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। দীর্ঘ ৫০ বছরের বন্ধুত্ব এবং একজন ক্যাবিনেট কলিগ হওয়ার পরও এটি মোটেই প্রত্যাশিত নয়। এমএএম।’
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আওয়ামী লীগের নেতারা। বিষয়টি নিয়ে দলের দুইজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা বলেন, ঘটনার সঙ্গে রাষ্ট্রের দুইজন মন্ত্রী জড়িত। তাই হুট করে এখনই কিছু বলতে চাই না। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত রেললাইন হওয়ার কথা রয়েছে। রেললাইনের রুট নির্ধারণ নিয়ে রেলমন্ত্রী কথা বলেছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে। লাভজনক হয়, পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতি এড়ানোসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় তিন থেকে চারটি রুট নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ সদস্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রেলমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
২ ঘণ্টা আগেঘোষণার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি চার সংস্কার কমিশনের কাজ। এমনকি কমিশনগুলো গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও শেষ হয়নি এখন পর্যন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেপুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
৩ ঘণ্টা আগে