জামিনে মুক্তি পাওয়া সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিনের কাগজপত্র হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে তিনি স্বজনের সঙ্গে বাড়িতে চলে যান।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন জামিন মঞ্জুরের এ আদেশ দেন।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তাঁকে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র।
‘দুপুরের দিকে সাবেক এমপি এমএ মান্নানকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, উনার বুকে ইনফেকশন ছিল। এছাড়া ঘুম হয় না, পেটে সমস্যার ছাড়াও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ায় অনেক সময় উল্টা–পাল্টা কথা বলছেন। তাই উনাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে মহাসড়কে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শান্তিগঞ্জ সদর এলাকায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তাঁর মুক্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় তাঁর নিজ বাড়ি হিজল করচ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।
মূল্যস্ফীতি থাকলেও সেটি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান। তাঁর দাবি, মূল্যস্ফীতি হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরই ফল। আর মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতনও বাড়ছে। ফলে এর অভিঘাত সেভাবে পড়ছে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। তাই প্রশংসা করে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সুতরাং যারা বলেছিল আমেরিকা শেখ হাসিনার সঙ্গে নেই তারা সঠিক নয়। তারা শুধু ঘরে বসে কথা বলতে পারে।
মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে পারবে না বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, অর্থনীতিকে ঠিক যে ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত ছিল, সেটি হয়নি। রিজার্ভ ব্যবস্থাপনাও দুর্বল।
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা–বাণিজ্যের দায় শোধে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ানে লেনদেনের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিদেশি চাপ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক দেশ এবং এখানে নির্বাচিত সরকার আছে। এখানে যে কেউ এসে মাতবরি করে যাবে, এটা হবে না। বিদেশিরা আমাদের প্রকল্প বন্ধ করে দেবে, আর আমরা মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকব নাকি?’
পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘মহাসড়কে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি হবে না। আমি বলে দিতে চাই, কেউ যেন চাঁদাবাজিতে না যাই। যারা চাঁদাবাজি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুস সালামকে স্বাগত জানাতে নান্দাইলে যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নান্দাইল ছাড়াও ময়মনসিংহের কয়েকটি উপজেলা শহরেও শোভা পাচ্ছে সুবিশাল তোরণ ও পোস্টার-ব্যানার।
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। তাদের মধ্যে মোট ১৯ জন নতুন মুখ, তারা সদ্যবিদায়ী সরকারে ছিলেন না।