শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের নিয়ম অনুসারে তিন বছর থাকার কথা। কিন্তু চার মাস সাত দিন পরই বদলির আদেশ পেলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ৩৮তম মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। এই চার মাসে নানা কাজে হাত দিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু কোনো কাজই শেষ করতে পারেননি সময়ের অভাবে। এমনটিই হয়েছে আগের ৩৭ জন ডিজির ক্ষেত্রেও। অধিকাংশ ডিজিই কয়েক মাস কাজ করে অবসরে গেছেন। অন্যরাও বদলি হয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে। মাত্র তিনজন মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছিলেন।
ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, অধিদপ্তরে গত ৩৪ বছরে ৩৮ জন ডিজি বদলি হওয়ায় ডোপ টেস্টের নীতিমালা, বাহিনীর সদস্যদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া, ওয়াকিটকির ব্যবহার, মাদকবিরোধী অভিযান গতিশীল করার মতো অসমাপ্ত কাজগুলো কেউই শেষ করতে পারেননি।
জানা যায়, চাকরির শেষ সময়ে কিছু কর্মকর্তা গ্রেড-১ পদমর্যাদা পান। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ তদবির করে ডিএনসিতে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এখানে কেউ কাজ করেন না। চাকরির মেয়াদ শেষে প্রায় সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান। কিন্তু অন্যদেরও পদটি পছন্দের হওয়ায় কেউই আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান না।
সবশেষ গত ১৫ মে অধিদপ্তরে নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর চাকরির মেয়াদ আছে আর সাত মাস।
প্রেষণে আসা ডিজিদের ঘন ঘন পরিবর্তন প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি অনুবিভাগ) মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পদ। অধিকাংশ সময় তাঁদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। চাকরির শেষের দিকেই এখানে পদায়ন হয়।
তবে সাবেক একাধিক ডিজি বলেন, অল্প সময় থাকা নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। ঘন ঘন ডিজি পরিবর্তন হতেই পারে। তবে এই অধিদপ্তরে এ পর্যন্ত ‘প্রাতিষ্ঠানিক মেমোরি’ দাঁড়ায়নি। আমলারা চলে যাওয়ার সময় কোনো নোট রেখে যান না। তাঁদের মধ্যে অভিজ্ঞতাও বিনিময় হয় না। তাই এখানে পরিকল্পনা বেশি হয়, কাজ হয় কম।
১৯৭৬ সালে এক্সাইজ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন ডিপার্টমেন্টকে পুনর্বিন্যাসকরণের মাধ্যমে নারকোটিকস অ্যান্ড লিকার পরিদপ্তর নামে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন ন্যস্ত করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত পরিদপ্তরের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে উৎপাদিত মাদকদ্রব্য থেকে রাজস্ব আদায় করা। ১৯৯০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে এই অধিদপ্তরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। অধিদপ্তর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৮ জন ডিজির পরিবর্তন হয়েছে।
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই এক-দুজন করে ডিজি পরিবর্তন করা হয়। এক বছরের কম সময় থেকেছেন ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে অবসরে গেছেন ১৮ জন। পূর্ণ মেয়াদে (তিন বছর) ছিলেন তিনজন।
সূত্রমতে, ৩৮তম ডিজি হিসেবে মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী যোগ দিয়েছিলেন গত ১ জানুয়ারি। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছেন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে।
মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থাকলে সেখানে কাজের ধারাবাহিকতা থাকে; কিন্তু বেশি দিন থাকার সুযোগ হয় না।
বেশি দিন ডিজি থাকার সুবিধার কথা উল্লেখ করে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, জামাল উদ্দিন আহমেদের সময় অধিদপ্তরের যানবাহন ১৫ থেকে ১০০টি হয়। জনবল ১ হাজার ৭১২ থেকে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৯ জনে। প্রতিটি বিভাগে রাসায়নিক পরীক্ষাগার অনুমোদন পায়, মাদক নিরাময় কেন্দ্র ১৫০ থেকে ৩৫০টি করা হয়। বাহিনীর সদস্যের পোশাক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। কর্মকর্তাদের দাবি, এত সব কাজ আর কোনো ডিজির সময় হয়নি।
এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে ডিএনসির আধুনিকায়ন করতে ছয় মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালেও সেই প্রকল্প প্রস্তুত করা যায়নি। কেউ এর দায়িত্ব নেননি।
ডিএনসির সাবেক ডিজি জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পদায়নের আগে চাকরির মেয়াদ যাচাই করা উচিত। কাউকে খুশি করতে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। তাঁর দাবি, আমলাদের মূল সমস্যা হলো, কেউ কারও অভিজ্ঞতা শুনতে চান না। খেয়ালখুশিমতো পরিকল্পনা করায় অধিদপ্তর পিছিয়ে যাচ্ছে।
প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের নিয়ম অনুসারে তিন বছর থাকার কথা। কিন্তু চার মাস সাত দিন পরই বদলির আদেশ পেলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ৩৮তম মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। এই চার মাসে নানা কাজে হাত দিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু কোনো কাজই শেষ করতে পারেননি সময়ের অভাবে। এমনটিই হয়েছে আগের ৩৭ জন ডিজির ক্ষেত্রেও। অধিকাংশ ডিজিই কয়েক মাস কাজ করে অবসরে গেছেন। অন্যরাও বদলি হয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে। মাত্র তিনজন মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছিলেন।
ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, অধিদপ্তরে গত ৩৪ বছরে ৩৮ জন ডিজি বদলি হওয়ায় ডোপ টেস্টের নীতিমালা, বাহিনীর সদস্যদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া, ওয়াকিটকির ব্যবহার, মাদকবিরোধী অভিযান গতিশীল করার মতো অসমাপ্ত কাজগুলো কেউই শেষ করতে পারেননি।
জানা যায়, চাকরির শেষ সময়ে কিছু কর্মকর্তা গ্রেড-১ পদমর্যাদা পান। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ তদবির করে ডিএনসিতে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এখানে কেউ কাজ করেন না। চাকরির মেয়াদ শেষে প্রায় সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান। কিন্তু অন্যদেরও পদটি পছন্দের হওয়ায় কেউই আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান না।
সবশেষ গত ১৫ মে অধিদপ্তরে নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর চাকরির মেয়াদ আছে আর সাত মাস।
প্রেষণে আসা ডিজিদের ঘন ঘন পরিবর্তন প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি অনুবিভাগ) মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পদ। অধিকাংশ সময় তাঁদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। চাকরির শেষের দিকেই এখানে পদায়ন হয়।
তবে সাবেক একাধিক ডিজি বলেন, অল্প সময় থাকা নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। ঘন ঘন ডিজি পরিবর্তন হতেই পারে। তবে এই অধিদপ্তরে এ পর্যন্ত ‘প্রাতিষ্ঠানিক মেমোরি’ দাঁড়ায়নি। আমলারা চলে যাওয়ার সময় কোনো নোট রেখে যান না। তাঁদের মধ্যে অভিজ্ঞতাও বিনিময় হয় না। তাই এখানে পরিকল্পনা বেশি হয়, কাজ হয় কম।
১৯৭৬ সালে এক্সাইজ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন ডিপার্টমেন্টকে পুনর্বিন্যাসকরণের মাধ্যমে নারকোটিকস অ্যান্ড লিকার পরিদপ্তর নামে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন ন্যস্ত করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত পরিদপ্তরের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে উৎপাদিত মাদকদ্রব্য থেকে রাজস্ব আদায় করা। ১৯৯০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে এই অধিদপ্তরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। অধিদপ্তর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৮ জন ডিজির পরিবর্তন হয়েছে।
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই এক-দুজন করে ডিজি পরিবর্তন করা হয়। এক বছরের কম সময় থেকেছেন ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে অবসরে গেছেন ১৮ জন। পূর্ণ মেয়াদে (তিন বছর) ছিলেন তিনজন।
সূত্রমতে, ৩৮তম ডিজি হিসেবে মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী যোগ দিয়েছিলেন গত ১ জানুয়ারি। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছেন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে।
মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থাকলে সেখানে কাজের ধারাবাহিকতা থাকে; কিন্তু বেশি দিন থাকার সুযোগ হয় না।
বেশি দিন ডিজি থাকার সুবিধার কথা উল্লেখ করে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, জামাল উদ্দিন আহমেদের সময় অধিদপ্তরের যানবাহন ১৫ থেকে ১০০টি হয়। জনবল ১ হাজার ৭১২ থেকে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৯ জনে। প্রতিটি বিভাগে রাসায়নিক পরীক্ষাগার অনুমোদন পায়, মাদক নিরাময় কেন্দ্র ১৫০ থেকে ৩৫০টি করা হয়। বাহিনীর সদস্যের পোশাক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। কর্মকর্তাদের দাবি, এত সব কাজ আর কোনো ডিজির সময় হয়নি।
এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে ডিএনসির আধুনিকায়ন করতে ছয় মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালেও সেই প্রকল্প প্রস্তুত করা যায়নি। কেউ এর দায়িত্ব নেননি।
ডিএনসির সাবেক ডিজি জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পদায়নের আগে চাকরির মেয়াদ যাচাই করা উচিত। কাউকে খুশি করতে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। তাঁর দাবি, আমলাদের মূল সমস্যা হলো, কেউ কারও অভিজ্ঞতা শুনতে চান না। খেয়ালখুশিমতো পরিকল্পনা করায় অধিদপ্তর পিছিয়ে যাচ্ছে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে