শিবিরের ৬ নেতা গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ৫১

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছয় নেতা গুমের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে তাঁদের পরিবার। গতকাল সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এই অভিযোগ করা হয় বলে জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছয় নেতা গুম হন বলে জানান তাঁরা।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের ওপর ১৭ বছর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। মামলা, হামলা, জেল-জুলুম, রিমান্ড, হত্যাসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ছয়জন এখনো গুম আছে। ছয়জনের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। আমরা সহযোগিতা করেছি।’

ছয় নেতার বিষয়ে বলা হয়, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং ফিকাহ বিভাগের ছাত্র আল মুকাদ্দাসকে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে র‌্যাবের পোশাক পরা ব্যক্তিরা উঠিয়ে নিয়ে যান। ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল র‌্যাব পরিচয়ে ঢাকা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজির ছাত্র হাফেজ জাকির হোসেনকে শ্যামলী রিং রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৭ সালের ১৮ জুন বান্দরবান সদরের লেমুঝিনি গর্জনিয়া মসজিদের কক্ষ থেকে বান্দরবান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মো. জয়নাল আবেদীনকে র‌্যাব পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট বেনাপোল পোর্ট-সংলগ্ন দুর্গাপুর বাজার থেকে বাগাছড়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রেজোয়ান হোসাইনকে র‍্যাব তুলে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ৭ মে ঝিনাইদহের সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র কামরুজ্জামানকে ঝিনাইদহ সদরের লেবুতলা থেকে ডিবি পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে শিবিরের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে হৃদয় নামের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পৃথক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দায়েরে সহযোগিতা করেছে শিবির। নিহত হৃদয়ের বোন জেসমিন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আনন্দমিছিলের সময় হৃদয়কে (একাদশ শ্রেণির ছাত্র) পুলিশ ধরে নিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত