প্রতিনিধি, জাবি
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’তে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
আহসান হাবীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বিএলআরআই মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নির্দেশে নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রাণীর উৎপাদিত ডিম, দুধ, মুরগি মন্ত্রণালয়ে প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয়। এমনকি ছুটির দিনে তাঁরা বিএলআরআইতে ভ্রমণে আসলে বিরাট ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় এবং এ সকল অর্থের জোগান দেওয়া হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে। ছুটির দিনে কর্মকর্তাদের মাছ ধরার শখও মেটানো হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে।’
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘অতীতে তিনি (আবদুল জলিল) ছাগল ও ভেড়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালে অবৈধভাবে ছাগল বিক্রয় করে সেগুলোকে মৃত্যু দেখিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন। যার কারণে ছাগলের মৃত্যুহার শতকরা ৩০ শতাংশের ওপর এবং নিয়মানুযায়ী সেগুলোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। শুদ্ধাচারের পুরস্কার প্রদানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বাছাই কমিটির আহ্বায়ক থাকাকালে নিজেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বিএলআরআই এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এর ২টি পুকুর লিজ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন অনেক অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করেছেন। প্রকল্পের গবেষণায় নামমাত্র অর্থ খরচ করে বেনামে শ্রমিক বিল করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করেছেন।’
এর আগে গত ২২ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর বিএলআরআই এর মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নামে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আবদুল জলিল। তাঁকে ‘Characterization of Black Bengal Goat’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জন্য এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত অভিসন্দর্ভটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিএসসি শিক্ষার্থীর থিসিস থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম আজিজুর রহমান। তিনি ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক থিসিস সম্পন্ন করেন। পরে সেটি ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এ ২০০৬ সালের ভলিউম-১ এ প্রকাশিত হয়। আবদুল জলিল এ চুরির মাধ্যমে স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণার মান ক্ষুণ্ন করারও চেষ্টা করেছেন।’
এ ব্যাপারে পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এর ওয়েবসাইটে ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের লেখক হিসেবে আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহসান হাবীব আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তার সবগুলোই অসত্য। সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে কারণ আমি তাঁর অবৈধ আবদার রাখতে পারিনি। সে বিএলআরআই-এ ডেইরি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সে তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করতে চায়। যেটা অবৈধ। ফলে আমি তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করিনি। তাই ক্ষোভের বশীভূত হয়ে সে এসব অভিযোগ এনেছে আমার বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোন পিএইচডি জালিয়াতি করিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝেশুনেই আমাকে ডিগ্রি দিয়েছে। আর উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার বন্ধু হলে যে আমি এই পদের যোগ্যতা হারিয়েছি এমন কোন বিধি নেই। আমি শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।’
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’তে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
আহসান হাবীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বিএলআরআই মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নির্দেশে নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রাণীর উৎপাদিত ডিম, দুধ, মুরগি মন্ত্রণালয়ে প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয়। এমনকি ছুটির দিনে তাঁরা বিএলআরআইতে ভ্রমণে আসলে বিরাট ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় এবং এ সকল অর্থের জোগান দেওয়া হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে। ছুটির দিনে কর্মকর্তাদের মাছ ধরার শখও মেটানো হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে।’
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘অতীতে তিনি (আবদুল জলিল) ছাগল ও ভেড়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালে অবৈধভাবে ছাগল বিক্রয় করে সেগুলোকে মৃত্যু দেখিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন। যার কারণে ছাগলের মৃত্যুহার শতকরা ৩০ শতাংশের ওপর এবং নিয়মানুযায়ী সেগুলোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। শুদ্ধাচারের পুরস্কার প্রদানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বাছাই কমিটির আহ্বায়ক থাকাকালে নিজেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বিএলআরআই এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এর ২টি পুকুর লিজ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন অনেক অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করেছেন। প্রকল্পের গবেষণায় নামমাত্র অর্থ খরচ করে বেনামে শ্রমিক বিল করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করেছেন।’
এর আগে গত ২২ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর বিএলআরআই এর মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নামে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আবদুল জলিল। তাঁকে ‘Characterization of Black Bengal Goat’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জন্য এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত অভিসন্দর্ভটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিএসসি শিক্ষার্থীর থিসিস থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম আজিজুর রহমান। তিনি ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক থিসিস সম্পন্ন করেন। পরে সেটি ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এ ২০০৬ সালের ভলিউম-১ এ প্রকাশিত হয়। আবদুল জলিল এ চুরির মাধ্যমে স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণার মান ক্ষুণ্ন করারও চেষ্টা করেছেন।’
এ ব্যাপারে পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এর ওয়েবসাইটে ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের লেখক হিসেবে আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহসান হাবীব আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তার সবগুলোই অসত্য। সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে কারণ আমি তাঁর অবৈধ আবদার রাখতে পারিনি। সে বিএলআরআই-এ ডেইরি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সে তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করতে চায়। যেটা অবৈধ। ফলে আমি তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করিনি। তাই ক্ষোভের বশীভূত হয়ে সে এসব অভিযোগ এনেছে আমার বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোন পিএইচডি জালিয়াতি করিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝেশুনেই আমাকে ডিগ্রি দিয়েছে। আর উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার বন্ধু হলে যে আমি এই পদের যোগ্যতা হারিয়েছি এমন কোন বিধি নেই। আমি শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন সংবিধান দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সংবিধান চলছে, তা কোনোমতে চালানোর জন্য সংস্কার চাইছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলতে পারবে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহ আলী মাজারের কাছে একটি কাঠের দোকান ছিল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের। ২০১৯ সালের ১৯ জুন দুপুরে সেই দোকান থেকে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। পথে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে মিরপুরে র্যাব-৪ অফিসের কাছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ছিল। ৫ বছর পেরিয়ে গে
৭ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
১০ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১৭ ঘণ্টা আগে