নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভূমি জরিপে অনিয়মের কারণে সারা দেশে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকের অভিযোগ কাগজপত্র থাকার পরেও জমি খাস খতিয়ানে তালিকাভুক্ত হয়। তবে, ভুক্তভোগী হিসাবে অভিযোগ করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন। তাঁর দাবি জমির সঠিক কাগজপত্র থাকার পরেও অর্ধেক জমি খাস হয়ে গেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওই বৈঠকে কমিটির সভাপতি ও পাবনা-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, ভূমি জরিপে অনিয়মের কারণে সারা দেশের মানুষ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আমার নিজের জমির কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও অর্ধেক জমি খাস হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিএস ও এসএ রেকর্ডের সার্টিফাইড কপি নিতে গেলে জানানো হয় আমার কাগজ ছেঁড়া। এসি (ল্যান্ড) অফিসে নব নিয়োগকৃত কর্মকর্তা দুটি উপজেলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন।’
মকবুল হোসেন বলেন, কাউকে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার। ডিজিটাল জরিপ হলে দুর্নীতির মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যাগুলো ভবিষ্যতে হবে না। তবে যাতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বৈঠকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, সারা দেশের ৮টি বিভাগের মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য দুটি স্যাটেলাইট ইমেজ কেনার চুক্তি করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে একটি ইমেজ পাওয়া যাবে। মৌজা ম্যাপগুলো ডিজিটাইজ হওয়ার পরে ইমেজ স্থাপন করা হলে ঘরে বসেই সারা দেশের ভূমির শ্রেণি দেখা যাবে। পরবর্তী সময়ে একটি আপডেটেড ইমেজ মৌজা ম্যাপ স্থাপন করলে কোন জমির কী কী পরিবর্তন ঘটেছে, সে-বিষয়ে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিশ পাওয়া যাবে। পটুয়াখালীতে একটি পাইলট প্রকল্প ভূমিমন্ত্রী উদ্বোধন করছেন বলেও জানান তিনি।
ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন শীর্ষক প্রকল্প’ এর অগ্রগতি পর্যালোচনা। বৈঠকে ২০২০-২১ হতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সেখানে বলা হয় উপযুক্ত আইটি পরামর্শক না পাওয়ায় নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, পরিকল্পনা কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষ আইটি পরামর্শক ফার্ম নিয়োগের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা নিরসন করে আধুনিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন শীর্ষক প্রকল্প’ এর মাধ্যমে সারা দেশে ভূমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মৌজা ভিত্তিক শ্রেণি বৈষম্য দূরীকরণে মূল্য পুণনির্ধারণ, দেবোত্তর সম্পত্তির যথাযথ নিশ্চয়তা বিধান, রেজিস্ট্রেশন, খারিজ-খাজনা, নামজারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের জন্য সহজ সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সাব-কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সড়ক জনপথ বিভাগের অধিকাংশ জমি গাজীপুর জেলার কতিপয় ব্যক্তি অনিয়মিতভাবে ভোগ-দখল ও রেজিস্ট্রি-নামজারির সঙ্গে জড়িতদের নামের তালিকা পরবর্তী বৈঠকে পেশ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে ভূমি সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুরোধ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটি সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, শাহজাহান মিয়া, আনোয়ারুল আজীম (আনার), উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, আমিনুল ইসলাম এবং খান আহমেদ শুভ।
ভূমি জরিপে অনিয়মের কারণে সারা দেশে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকের অভিযোগ কাগজপত্র থাকার পরেও জমি খাস খতিয়ানে তালিকাভুক্ত হয়। তবে, ভুক্তভোগী হিসাবে অভিযোগ করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন। তাঁর দাবি জমির সঠিক কাগজপত্র থাকার পরেও অর্ধেক জমি খাস হয়ে গেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওই বৈঠকে কমিটির সভাপতি ও পাবনা-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, ভূমি জরিপে অনিয়মের কারণে সারা দেশের মানুষ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আমার নিজের জমির কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও অর্ধেক জমি খাস হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিএস ও এসএ রেকর্ডের সার্টিফাইড কপি নিতে গেলে জানানো হয় আমার কাগজ ছেঁড়া। এসি (ল্যান্ড) অফিসে নব নিয়োগকৃত কর্মকর্তা দুটি উপজেলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন।’
মকবুল হোসেন বলেন, কাউকে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার। ডিজিটাল জরিপ হলে দুর্নীতির মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যাগুলো ভবিষ্যতে হবে না। তবে যাতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বৈঠকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, সারা দেশের ৮টি বিভাগের মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য দুটি স্যাটেলাইট ইমেজ কেনার চুক্তি করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে একটি ইমেজ পাওয়া যাবে। মৌজা ম্যাপগুলো ডিজিটাইজ হওয়ার পরে ইমেজ স্থাপন করা হলে ঘরে বসেই সারা দেশের ভূমির শ্রেণি দেখা যাবে। পরবর্তী সময়ে একটি আপডেটেড ইমেজ মৌজা ম্যাপ স্থাপন করলে কোন জমির কী কী পরিবর্তন ঘটেছে, সে-বিষয়ে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিশ পাওয়া যাবে। পটুয়াখালীতে একটি পাইলট প্রকল্প ভূমিমন্ত্রী উদ্বোধন করছেন বলেও জানান তিনি।
ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন শীর্ষক প্রকল্প’ এর অগ্রগতি পর্যালোচনা। বৈঠকে ২০২০-২১ হতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সেখানে বলা হয় উপযুক্ত আইটি পরামর্শক না পাওয়ায় নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, পরিকল্পনা কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষ আইটি পরামর্শক ফার্ম নিয়োগের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা নিরসন করে আধুনিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন শীর্ষক প্রকল্প’ এর মাধ্যমে সারা দেশে ভূমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মৌজা ভিত্তিক শ্রেণি বৈষম্য দূরীকরণে মূল্য পুণনির্ধারণ, দেবোত্তর সম্পত্তির যথাযথ নিশ্চয়তা বিধান, রেজিস্ট্রেশন, খারিজ-খাজনা, নামজারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের জন্য সহজ সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সাব-কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সড়ক জনপথ বিভাগের অধিকাংশ জমি গাজীপুর জেলার কতিপয় ব্যক্তি অনিয়মিতভাবে ভোগ-দখল ও রেজিস্ট্রি-নামজারির সঙ্গে জড়িতদের নামের তালিকা পরবর্তী বৈঠকে পেশ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে ভূমি সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুরোধ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটি সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, শাহজাহান মিয়া, আনোয়ারুল আজীম (আনার), উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, আমিনুল ইসলাম এবং খান আহমেদ শুভ।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে