নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বে পাঁচটি উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের সদস্য হওয়ার আগ্রহ বাংলাদেশ প্রকাশ করলেও তা এবারের শীর্ষ সম্মেলনেই পেতে হবে এমন পরিকল্পনা সরকারের ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এখনই সদস্যপদ পেতে হবে, সেই ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না, সেই ধরনের চেষ্টাও আমরা করিনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না, এটা কিন্তু ঠিক নয়।’
পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানসহ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফিরে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক আবেদনকারী ২৩টি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশকে নতুন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আগ্রহ দেখালেও আবেদন করেনি। আবেদন না করলেও এবারই বাংলাদেশ জোটের সদস্যপদ পেতে যাচ্ছে বলে সরকার বেশ প্রচারণা চালিয়েছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সদস্যপদ চাইলে পাব না, সেই অবস্থা না। প্রত্যেক কাজের একটা নিয়ম থাকে। আমরা সেই নিয়ম মেনেই চলি। আমার সঙ্গে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ হলো, আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন, ব্রিকস সম্মেলন করবেন। আমাকে আসতে বললেন এবং তখন আমাকে এও জানালেন তাঁরা কিছু সদস্যপদ বাড়াবেন। সেই বিষয়ে আমার মতামতও জানতে চাইলেন। আমি বললাম, এটা খুবই ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এই ৫টি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ সব সময় ছিল এবং আছে। সেই সময় এটা নিয়ে আলোচনা হলো- এই পর্যন্ত।’
ব্রিকসের সদস্য না পাওয়া নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জানি যে এই প্রশ্নটা আসবে। আমাদের অপজিশন থেকে হা-হুতাশ, যে আমরা পাইনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা কিন্তু ঠিক নয়। অন্তত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা সেই মর্যাদাটা তুলে ধরেছি, আমাদের সেই সুযোগটা আছে। তারা বলতে পারে, কারণ বিএনপির আমলে ওটাই ছিল, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কোনো অবস্থানই ছিল না। বাংলাদেশ মানে ছিল- দুর্ভিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, ভিক্ষার দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। এখন সবাই জানে, বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ নয়।’
ব্রিকস সম্মেলেনের সমাপনী ঘোষণায় আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা আর্জেন্টিনা, মিসর, ইরান, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে ব্রিকস সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। আগামী বছরের শুরুর দিন অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি দেশগুলোর সদস্যপদ কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ না পেলেও এই জোটের ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের শুরুর উদ্যোক্তাদের অন্যতম।
ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগদানের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা যখন শুনলাম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হবে, আমাদের ওটার ওপর বেশি আগ্রহ ছিল। যখন থেকে তৈরি হয় তখন থেকেই আগ্রহ ছিল এর সঙ্গে যুক্ত হব। ব্রিকসের সদস্যপদের ক্ষেত্রে তখন প্রেসিডেন্ট আমাকে বললেন ধাপে ধাপে নেবেন।’
নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে কীভাবে ব্রিকসের পরিধি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথোপকথন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে নেবেন, পর্যায়ক্রমে সদস্যসংখ্যা বাড়াবেন। হ্যাঁ নিলে আমরা খুব খুশি। তবে আমরা ব্রিকসের এখনই সদস্যপদ পাব, প্রথমবারে যেয়েই সদস্যপদ পাব—সেই ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সেই ধরনের চেষ্টাও আমরা করিনি। সেইভাবে কাউকে বলিওনি।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে তো আমার সব রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছে; কথা হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, ইন্ডিয়ার প্রাইমমিনিস্টার থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে। আমরা কাউকে বলতে যাইনি। আমাকে এখনই সদস্য করেন। তখন থেকে আমরা জানি যে প্রথমে কয়েকজনকে নেবে। লাঞ্চের সময় ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও নিউ ডেভেলমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘের মহাসচিব— ওই সময় আলোচনা হয় যে আমরা এই কয়জন নেব।এরপর ধাপে ধাপে আমরা সদস্যপদ বাড়াব।
চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বে পাঁচটি উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের সদস্য হওয়ার আগ্রহ বাংলাদেশ প্রকাশ করলেও তা এবারের শীর্ষ সম্মেলনেই পেতে হবে এমন পরিকল্পনা সরকারের ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এখনই সদস্যপদ পেতে হবে, সেই ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না, সেই ধরনের চেষ্টাও আমরা করিনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না, এটা কিন্তু ঠিক নয়।’
পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানসহ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফিরে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক আবেদনকারী ২৩টি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশকে নতুন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আগ্রহ দেখালেও আবেদন করেনি। আবেদন না করলেও এবারই বাংলাদেশ জোটের সদস্যপদ পেতে যাচ্ছে বলে সরকার বেশ প্রচারণা চালিয়েছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সদস্যপদ চাইলে পাব না, সেই অবস্থা না। প্রত্যেক কাজের একটা নিয়ম থাকে। আমরা সেই নিয়ম মেনেই চলি। আমার সঙ্গে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ হলো, আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন, ব্রিকস সম্মেলন করবেন। আমাকে আসতে বললেন এবং তখন আমাকে এও জানালেন তাঁরা কিছু সদস্যপদ বাড়াবেন। সেই বিষয়ে আমার মতামতও জানতে চাইলেন। আমি বললাম, এটা খুবই ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এই ৫টি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ সব সময় ছিল এবং আছে। সেই সময় এটা নিয়ে আলোচনা হলো- এই পর্যন্ত।’
ব্রিকসের সদস্য না পাওয়া নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জানি যে এই প্রশ্নটা আসবে। আমাদের অপজিশন থেকে হা-হুতাশ, যে আমরা পাইনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা কিন্তু ঠিক নয়। অন্তত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা সেই মর্যাদাটা তুলে ধরেছি, আমাদের সেই সুযোগটা আছে। তারা বলতে পারে, কারণ বিএনপির আমলে ওটাই ছিল, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কোনো অবস্থানই ছিল না। বাংলাদেশ মানে ছিল- দুর্ভিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, ভিক্ষার দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। এখন সবাই জানে, বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ নয়।’
ব্রিকস সম্মেলেনের সমাপনী ঘোষণায় আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা আর্জেন্টিনা, মিসর, ইরান, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে ব্রিকস সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। আগামী বছরের শুরুর দিন অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি দেশগুলোর সদস্যপদ কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ না পেলেও এই জোটের ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের শুরুর উদ্যোক্তাদের অন্যতম।
ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগদানের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা যখন শুনলাম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হবে, আমাদের ওটার ওপর বেশি আগ্রহ ছিল। যখন থেকে তৈরি হয় তখন থেকেই আগ্রহ ছিল এর সঙ্গে যুক্ত হব। ব্রিকসের সদস্যপদের ক্ষেত্রে তখন প্রেসিডেন্ট আমাকে বললেন ধাপে ধাপে নেবেন।’
নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে কীভাবে ব্রিকসের পরিধি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথোপকথন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে নেবেন, পর্যায়ক্রমে সদস্যসংখ্যা বাড়াবেন। হ্যাঁ নিলে আমরা খুব খুশি। তবে আমরা ব্রিকসের এখনই সদস্যপদ পাব, প্রথমবারে যেয়েই সদস্যপদ পাব—সেই ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সেই ধরনের চেষ্টাও আমরা করিনি। সেইভাবে কাউকে বলিওনি।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে তো আমার সব রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছে; কথা হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, ইন্ডিয়ার প্রাইমমিনিস্টার থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে। আমরা কাউকে বলতে যাইনি। আমাকে এখনই সদস্য করেন। তখন থেকে আমরা জানি যে প্রথমে কয়েকজনকে নেবে। লাঞ্চের সময় ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও নিউ ডেভেলমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘের মহাসচিব— ওই সময় আলোচনা হয় যে আমরা এই কয়জন নেব।এরপর ধাপে ধাপে আমরা সদস্যপদ বাড়াব।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১২ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে