নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অর্থনীতিতে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের প্রসার ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান চিন্তা করা অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, অর্থনীতিকে সুস্থ করতে হলে; সমাজের সর্বস্তরে জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলেই দেশে সু-শাসন আসবে।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, এক কথায় বলা যায় অর্থনীতিতে সুশাসনের অভাব এবং সেই কারণে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নে যে ব্যাপকতা তা থেকে উত্তরণ ব্যতীত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বাজেটে মূল সমস্যার কোনো স্বীকৃতি ও সে সমস্যা মোকাবিলার দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। বরং সমস্যার কারণসমূহকে উৎসাহিত করার প্রয়াস লক্ষ করা যায়। কাজেই বিদ্যমান অর্থনৈতিক সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধান খুব শিগগিরই হচ্ছে এমনটা আশা করা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ব্যাংক খাত নড়বড়ে। কারণ হলো খেলাপি ঋণ। গত মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা। একটি পত্রিকা বলেছে, শীর্ষ ৫ জনের নামে ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বেনামি ঋণ আমলে নিলে দাঁড়াবে ৪ লাখ কোটি টাকার ওপরে। তথ্য গোপন করে ব্যাংক খাতকে নাজুক পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
কালোটাকা সাদা করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকেই বলেছেন এটা সংবিধানসম্মত নয়, নীতিসম্মত নয়, আয়ও বেশি আসবে না। যদি এই সুযোগ দিতেই হয় তাহলে ১৫ শতাংশ নয়, ৫০-৬০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। তিনি বলেন, কর যাঁরা ফাঁকি দেন তাঁরা ভুল করেন না। হিসাব-নিকাশ করেই তাঁরা দেন।
অফশোর ব্যাংকিং আইনের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, অফশোর ব্যাংকিং আইনের মাধ্যমে বড় ধরনের দায়মুক্তি বা ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। এ কথাটা খুব ব্যাপকভাবে প্রচলিত যে দেশের কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্নভাবে টাকা উপার্জন করে ও ঋণখেলাপি হয়ে ধনী ও অতি ধনী হয়েছেন, তাঁরা সে অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। তাঁদের সেসব অর্থকে বৈধতা দেওয়া ও ব্যবহার করে মুনাফা করার সুযোগ দেওয়ার জন্যই এ আইন করা হয়েছে। সে হিসেবে এ আইনটিতে দায়মুক্তি দেওয়া অর্থনৈতিক ও দুর্বৃত্তায়ন সহায়ক বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নতুন করে বৈধ/অবৈধভাবে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার উৎসাহিত হতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, রিজার্ভের পরিমাণ কোনটা ঠিক। গ্রহণযোগ্যভাবে তুলে ধরতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। সংবাদমাধ্যমে যেটা আসে মানুষ সেটাই বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশ্বাস করে না। প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক বাজেট উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এবার উন্নয়ন বাজেট কমানো উচিত ছিল।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি দিয়ে আইন প্রণয়ন করে দেশে অবাধ দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি; অফশোর ব্যাংকিং চালু করে বিদেশে পাচারকৃত অবৈধ অর্থ বৈধকরণ; নামমাত্র কর প্রদান করে কালোটাকা সাদা করার মাধ্যমে দুর্নীতি থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, ব্যাংকঋণ খেলাপি, বিদেশে টাকা পাচারকারীদের মাধ্যমে একটি বড় আকারের ধনী ও অতি ধনী শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদেরকে অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের ক্রমাবনতি ঠেকানো যাচ্ছে না। সে কারণে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, কোভিড মহামারি বা ইউক্রেন যুদ্ধ বাংলাদেশে মূল সমস্যাসমূহ সৃষ্টি করেনি। সমস্যা শুরু হয়েছিল আগেই অন্যান্য কারণে। কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ এগুলোকে উসকে দিয়েছিল মাত্র। তাঁদের মতে, কোভিড ও ইউক্রেন শুধু মূল সমস্যাসমূহকে পাশ কাটানোর অজুহাত হিসেবে বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে। আসল সমস্যা এক কথায়, জবাবদিহির ঘাটতি, ফলে সু-শাসনের অভাব। ফলে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন সমাজের প্রতিটি স্তরে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সে সংক্রান্ত নীতিমালা ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠীস্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন বা বাস্তবায়নে দেশ ও জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে।’
বিদ্যুৎ খাতের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দেশের অর্থনীতিতে একটি মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর অর্ধেকটাই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, সেই অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ১৫০০০ মেগাওয়াট অব্যবহৃত উৎপাদন সৃষ্টির জন্য বেসরকারি মালিকদের বিদেশি মুদ্রায় বিশাল অংশের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, হিসাবে দেখা যায়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্যাপাসিটি চার্জ শোধ করতে হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকি নয়, দাম বাড়িয়ে এই অর্থ ব্যয় করার পরামর্শ আইএমএফের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আইনকে দায়মুক্তির আইন উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, দায়মুক্তির আইন জনস্বার্থের পক্ষে কোনো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। বরং দুর্নীতির বিস্তার ঘটিয়ে অর্থনীতিকে বেসামাল করে তোলা হয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সুপারিশ দেয়নি আইএমএফ। যাতে করে এটা বিশ্বাস করার কারণ আছে, আইএমএফ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ, তাদের দেওয়া ঋণ সুদসহ ফিরিয়ে নিতে বেশি আগ্রহী। দেশের জনগণের স্বার্থে সুপারিশ করছে না।
অর্থনীতিতে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের প্রসার ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান চিন্তা করা অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, অর্থনীতিকে সুস্থ করতে হলে; সমাজের সর্বস্তরে জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলেই দেশে সু-শাসন আসবে।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, এক কথায় বলা যায় অর্থনীতিতে সুশাসনের অভাব এবং সেই কারণে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নে যে ব্যাপকতা তা থেকে উত্তরণ ব্যতীত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বাজেটে মূল সমস্যার কোনো স্বীকৃতি ও সে সমস্যা মোকাবিলার দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। বরং সমস্যার কারণসমূহকে উৎসাহিত করার প্রয়াস লক্ষ করা যায়। কাজেই বিদ্যমান অর্থনৈতিক সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধান খুব শিগগিরই হচ্ছে এমনটা আশা করা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ব্যাংক খাত নড়বড়ে। কারণ হলো খেলাপি ঋণ। গত মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা। একটি পত্রিকা বলেছে, শীর্ষ ৫ জনের নামে ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বেনামি ঋণ আমলে নিলে দাঁড়াবে ৪ লাখ কোটি টাকার ওপরে। তথ্য গোপন করে ব্যাংক খাতকে নাজুক পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
কালোটাকা সাদা করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকেই বলেছেন এটা সংবিধানসম্মত নয়, নীতিসম্মত নয়, আয়ও বেশি আসবে না। যদি এই সুযোগ দিতেই হয় তাহলে ১৫ শতাংশ নয়, ৫০-৬০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। তিনি বলেন, কর যাঁরা ফাঁকি দেন তাঁরা ভুল করেন না। হিসাব-নিকাশ করেই তাঁরা দেন।
অফশোর ব্যাংকিং আইনের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, অফশোর ব্যাংকিং আইনের মাধ্যমে বড় ধরনের দায়মুক্তি বা ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। এ কথাটা খুব ব্যাপকভাবে প্রচলিত যে দেশের কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্নভাবে টাকা উপার্জন করে ও ঋণখেলাপি হয়ে ধনী ও অতি ধনী হয়েছেন, তাঁরা সে অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। তাঁদের সেসব অর্থকে বৈধতা দেওয়া ও ব্যবহার করে মুনাফা করার সুযোগ দেওয়ার জন্যই এ আইন করা হয়েছে। সে হিসেবে এ আইনটিতে দায়মুক্তি দেওয়া অর্থনৈতিক ও দুর্বৃত্তায়ন সহায়ক বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নতুন করে বৈধ/অবৈধভাবে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার উৎসাহিত হতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, রিজার্ভের পরিমাণ কোনটা ঠিক। গ্রহণযোগ্যভাবে তুলে ধরতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। সংবাদমাধ্যমে যেটা আসে মানুষ সেটাই বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশ্বাস করে না। প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক বাজেট উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এবার উন্নয়ন বাজেট কমানো উচিত ছিল।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি দিয়ে আইন প্রণয়ন করে দেশে অবাধ দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি; অফশোর ব্যাংকিং চালু করে বিদেশে পাচারকৃত অবৈধ অর্থ বৈধকরণ; নামমাত্র কর প্রদান করে কালোটাকা সাদা করার মাধ্যমে দুর্নীতি থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, ব্যাংকঋণ খেলাপি, বিদেশে টাকা পাচারকারীদের মাধ্যমে একটি বড় আকারের ধনী ও অতি ধনী শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদেরকে অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের ক্রমাবনতি ঠেকানো যাচ্ছে না। সে কারণে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, কোভিড মহামারি বা ইউক্রেন যুদ্ধ বাংলাদেশে মূল সমস্যাসমূহ সৃষ্টি করেনি। সমস্যা শুরু হয়েছিল আগেই অন্যান্য কারণে। কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ এগুলোকে উসকে দিয়েছিল মাত্র। তাঁদের মতে, কোভিড ও ইউক্রেন শুধু মূল সমস্যাসমূহকে পাশ কাটানোর অজুহাত হিসেবে বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে। আসল সমস্যা এক কথায়, জবাবদিহির ঘাটতি, ফলে সু-শাসনের অভাব। ফলে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন সমাজের প্রতিটি স্তরে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সে সংক্রান্ত নীতিমালা ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠীস্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন বা বাস্তবায়নে দেশ ও জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে।’
বিদ্যুৎ খাতের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দেশের অর্থনীতিতে একটি মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর অর্ধেকটাই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, সেই অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ১৫০০০ মেগাওয়াট অব্যবহৃত উৎপাদন সৃষ্টির জন্য বেসরকারি মালিকদের বিদেশি মুদ্রায় বিশাল অংশের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, হিসাবে দেখা যায়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্যাপাসিটি চার্জ শোধ করতে হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকি নয়, দাম বাড়িয়ে এই অর্থ ব্যয় করার পরামর্শ আইএমএফের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আইনকে দায়মুক্তির আইন উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, দায়মুক্তির আইন জনস্বার্থের পক্ষে কোনো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। বরং দুর্নীতির বিস্তার ঘটিয়ে অর্থনীতিকে বেসামাল করে তোলা হয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সুপারিশ দেয়নি আইএমএফ। যাতে করে এটা বিশ্বাস করার কারণ আছে, আইএমএফ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ, তাদের দেওয়া ঋণ সুদসহ ফিরিয়ে নিতে বেশি আগ্রহী। দেশের জনগণের স্বার্থে সুপারিশ করছে না।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৯ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে