নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হরতাল-অবরোধে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা পরিবহনে বোমা মেরে বিরোধী নেতাদের নামে মামলা দিতেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নতুন নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, অধিকাংশ জেলা টার্মিনালগুলোতে শ্রমিকস্বার্থের পরিবর্তে বিরোধী দলের আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য শ্রমিকদের বাধ্য করেন ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শাজাহান খান ও সম্পাদক ওসমান আলী। তাদের নির্দেশনা অমান্যকারীদের হয়রানি করা হতো। বিরোধী দলের আন্দোলন হরতাল-অবরোধে পরিবহন শ্রমিকদের গাড়ি চালাতে বাধ্য করা হতো। আবার যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীরা চলমান গাড়িতে পেট্রলবোমা মেরে ড্রাইভার ও যাত্রীদের হতাহত করে বিরোধী দলের নেতাদের নামে মামলা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ৭০ লাখ শ্রমিকের প্রিয় সংগঠন। এ সংগঠন অরাজনৈতিকভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সংগঠনের নিয়ম ভঙ্গ করে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় সংগঠন পরিচালনা হয়ে আসছিল।
এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্বে ছিলেন শাজাহান খান, ওসমান আলী ও খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধের নামে নিজেরাই ক্ষেত্র তৈরি করে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতার নামে পরিবহন হতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। সরকারি ফান্ড হতেও সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন তারা। আর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দু-একটি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করে তা মিডিয়াতে প্রচার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে কোনো মালিক-শ্রমিক মুখ খুলতে পারেনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটলে শাজাহান খান ও ওসমান আলীরা আত্মগোপনে যায়। বর্তমানে শাজাহান খান গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে আছেন। পরিবহন নেতা শাজাহান খান ও ওসমান জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন প্রতিহতেও নেতৃত্ব দেন বলে দাবি করেন তিনি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাভার ও গাজীপুরে চলমান শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো দেশের শিল্পকারখানা, পরিবহনসহ বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওসমান আলীর নেতৃত্বে আশুলিয়া, সাভার, ইপিজেড, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা ভাঙচুর চালিয়ে যাচ্ছে।
৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর গত মঙ্গলবার এক জরুরি সভা শেষে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির খান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশনের দায়িত্ব নেন।
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হরতাল-অবরোধে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা পরিবহনে বোমা মেরে বিরোধী নেতাদের নামে মামলা দিতেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নতুন নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, অধিকাংশ জেলা টার্মিনালগুলোতে শ্রমিকস্বার্থের পরিবর্তে বিরোধী দলের আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য শ্রমিকদের বাধ্য করেন ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শাজাহান খান ও সম্পাদক ওসমান আলী। তাদের নির্দেশনা অমান্যকারীদের হয়রানি করা হতো। বিরোধী দলের আন্দোলন হরতাল-অবরোধে পরিবহন শ্রমিকদের গাড়ি চালাতে বাধ্য করা হতো। আবার যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীরা চলমান গাড়িতে পেট্রলবোমা মেরে ড্রাইভার ও যাত্রীদের হতাহত করে বিরোধী দলের নেতাদের নামে মামলা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ৭০ লাখ শ্রমিকের প্রিয় সংগঠন। এ সংগঠন অরাজনৈতিকভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সংগঠনের নিয়ম ভঙ্গ করে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় সংগঠন পরিচালনা হয়ে আসছিল।
এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্বে ছিলেন শাজাহান খান, ওসমান আলী ও খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধের নামে নিজেরাই ক্ষেত্র তৈরি করে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতার নামে পরিবহন হতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। সরকারি ফান্ড হতেও সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন তারা। আর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দু-একটি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করে তা মিডিয়াতে প্রচার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে কোনো মালিক-শ্রমিক মুখ খুলতে পারেনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটলে শাজাহান খান ও ওসমান আলীরা আত্মগোপনে যায়। বর্তমানে শাজাহান খান গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে আছেন। পরিবহন নেতা শাজাহান খান ও ওসমান জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন প্রতিহতেও নেতৃত্ব দেন বলে দাবি করেন তিনি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাভার ও গাজীপুরে চলমান শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো দেশের শিল্পকারখানা, পরিবহনসহ বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওসমান আলীর নেতৃত্বে আশুলিয়া, সাভার, ইপিজেড, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা ভাঙচুর চালিয়ে যাচ্ছে।
৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর গত মঙ্গলবার এক জরুরি সভা শেষে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির খান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশনের দায়িত্ব নেন।
বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪২ মিনিট আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
৪৩ মিনিট আগেদেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৯ ঘণ্টা আগে