নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হতে হবে এই প্রত্যাশা করে। তারা যখন আশা করে, তখন বুঝতে হবে তারা বেশ শক্তভাবেই আশা করে। আমি আর বাড়িয়ে বলতে চাইছি না।’
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সিইসি।
পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আগ্রহ ব্যক্ত করছে উল্লেখ করে সিইসির বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের সঙ্গেও বারবার তারা সাক্ষাৎ করছে এবং তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে তারা আশা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হতে হবে। তারা যখন আশা করে, তখন বুঝতে হবে তারা বেশ শক্তভাবেই আশা করে। আমি আর বাড়িয়ে বলতে চাইছি না। কাজেই তাদের আশাটা অন্যায় নয়। আমরা গ্লোবাল কমিউনিটির সদস্য। নির্বাচন প্রশ্নে আমাদের আন্তর্জাতিক অব্লিগেশন রয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচনটাকে বিশ্বাস করাতে পারব না। আমার সার্টিফিকেট দিয়ে বা আমাদের সরকারের কোনো মন্ত্রীর সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনটা ক্রেডিবল হবে না। ক্রেডিবল হবে যদি দৃশ্যমানতার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাটা ফুটিয়ে তুলতে পারি। এটা ফুটিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করবেন যাঁরা, তাঁদেরকে আমরা বলে থাকি গণমাধ্যমের কর্মী। গণমাধ্যমকর্মীরা শুধু গোপন কক্ষে প্রবেশ করবেন না। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রের সর্বত্র বিচরণ করবেন। নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে মোটামুটি, মানে ভালোভাবে। নিরঙ্কুশ শব্দটা আমি ব্যবহার করি না। এটা খুব কঠিন। কিন্তু মানুষ যদি সার্বিকভাবে...টেলিভিশনের চ্যানেলে সেদিন আমারও চোখ থাকবে।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন আমাদের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু খুব কুশামাচ্ছন্ন পথে আমরা এগোচ্ছি না। এই নির্বাচনটা নিয়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় ধরে বিতর্ক চলছেই। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা, নির্বাচন ঠিক হয়েছে কি হয়নি—এই সমস্ত বিতর্কের কারণে আমাদের দেশে নির্বাচন প্রশ্নে যেমন বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে, পাশাপাশি সহিংসতা হয়েছে। আগামী যে নির্বাচনটা, সেখানে আমাদের আরও একটু বেশি মনোযোগী হতে হবে আরেকটি কারণে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা বাগ্বিতণ্ডা আছে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। এবার ইউনিভার্সলি কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে। একটা অংশ বলছে, আমরা নির্বাচন বর্জন করব। ১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করা হয়েছিল, সহিংসতা হয়েছিল। সেই জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
সরকারের সহায়তা ছাড়া ইসি নির্বাচন করতে পারে না জানিয়ে সিইসি বলেন, ১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও কিছুটা বিতর্ক হয়েছে। নির্বাচনটা সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক ছিল। পরবর্তীতে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছে, যার ফলে আমাদের দেশে প্রচলিত নির্বাচন নিয়ে সার্বিক যে গ্রহণযোগ্যতা, সেটা অনেকটা ক্ষুণ্ন। এ জন্যই এবারের নির্বাচনটা যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। আমরা নির্বাচনটা আয়োজন করছি। নির্বাচন কমিশনকে বলা হয় ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডি এবং সরকার বাধ্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা প্রদান করতে। এটা সাংবিধানিকভাবেই সরকার বাধ্য। আবার সরকারের এই সহায়তা ছাড়া আমরা নির্বাচন করতে পারি না। প্রায় ১৬ লাখ লোক নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আন্তর্জাতিক যে প্রেক্ষাপট ডায়মেনশন এটাকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে, আমাদের সামাজিক স্বার্থে এটিকে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনে আপনাদের দৃষ্টিতে কোনো রকম যদি অনাচার ধরা পড়ে এবং সেখানে যদি আপনাদের এখতিয়ার থাকে প্রতিহত করার, তাহলে অবশ্যই আপনার বৈধ ক্ষমতা দিয়ে সেটির প্রতিবিধান অতি অবশ্যই করবেন। আমি বিশ্বাস করি, সবার মিলিত প্রয়াসে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হবে। জনগণের কাছে নির্বাচনটা বিশ্বাসযোগ্য হবে।
সিইসি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি যখন প্রথম ইউটিউব দেখতাম, তখন সবগুলোকে ওহীর মতো বিশ্বাস করতাম। সত্য সত্য সত্য। কিন্তু এখন দেখি যে ৯০ শতাংশই বানোয়াট।’
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হতে হবে এই প্রত্যাশা করে। তারা যখন আশা করে, তখন বুঝতে হবে তারা বেশ শক্তভাবেই আশা করে। আমি আর বাড়িয়ে বলতে চাইছি না।’
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সিইসি।
পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আগ্রহ ব্যক্ত করছে উল্লেখ করে সিইসির বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের সঙ্গেও বারবার তারা সাক্ষাৎ করছে এবং তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে তারা আশা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হতে হবে। তারা যখন আশা করে, তখন বুঝতে হবে তারা বেশ শক্তভাবেই আশা করে। আমি আর বাড়িয়ে বলতে চাইছি না। কাজেই তাদের আশাটা অন্যায় নয়। আমরা গ্লোবাল কমিউনিটির সদস্য। নির্বাচন প্রশ্নে আমাদের আন্তর্জাতিক অব্লিগেশন রয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচনটাকে বিশ্বাস করাতে পারব না। আমার সার্টিফিকেট দিয়ে বা আমাদের সরকারের কোনো মন্ত্রীর সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনটা ক্রেডিবল হবে না। ক্রেডিবল হবে যদি দৃশ্যমানতার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাটা ফুটিয়ে তুলতে পারি। এটা ফুটিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করবেন যাঁরা, তাঁদেরকে আমরা বলে থাকি গণমাধ্যমের কর্মী। গণমাধ্যমকর্মীরা শুধু গোপন কক্ষে প্রবেশ করবেন না। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রের সর্বত্র বিচরণ করবেন। নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে মোটামুটি, মানে ভালোভাবে। নিরঙ্কুশ শব্দটা আমি ব্যবহার করি না। এটা খুব কঠিন। কিন্তু মানুষ যদি সার্বিকভাবে...টেলিভিশনের চ্যানেলে সেদিন আমারও চোখ থাকবে।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন আমাদের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু খুব কুশামাচ্ছন্ন পথে আমরা এগোচ্ছি না। এই নির্বাচনটা নিয়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় ধরে বিতর্ক চলছেই। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা, নির্বাচন ঠিক হয়েছে কি হয়নি—এই সমস্ত বিতর্কের কারণে আমাদের দেশে নির্বাচন প্রশ্নে যেমন বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে, পাশাপাশি সহিংসতা হয়েছে। আগামী যে নির্বাচনটা, সেখানে আমাদের আরও একটু বেশি মনোযোগী হতে হবে আরেকটি কারণে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা বাগ্বিতণ্ডা আছে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। এবার ইউনিভার্সলি কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে। একটা অংশ বলছে, আমরা নির্বাচন বর্জন করব। ১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করা হয়েছিল, সহিংসতা হয়েছিল। সেই জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
সরকারের সহায়তা ছাড়া ইসি নির্বাচন করতে পারে না জানিয়ে সিইসি বলেন, ১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও কিছুটা বিতর্ক হয়েছে। নির্বাচনটা সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক ছিল। পরবর্তীতে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছে, যার ফলে আমাদের দেশে প্রচলিত নির্বাচন নিয়ে সার্বিক যে গ্রহণযোগ্যতা, সেটা অনেকটা ক্ষুণ্ন। এ জন্যই এবারের নির্বাচনটা যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। আমরা নির্বাচনটা আয়োজন করছি। নির্বাচন কমিশনকে বলা হয় ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডি এবং সরকার বাধ্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা প্রদান করতে। এটা সাংবিধানিকভাবেই সরকার বাধ্য। আবার সরকারের এই সহায়তা ছাড়া আমরা নির্বাচন করতে পারি না। প্রায় ১৬ লাখ লোক নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আন্তর্জাতিক যে প্রেক্ষাপট ডায়মেনশন এটাকে মাথায় রাখতে হবে। আমাদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে, আমাদের সামাজিক স্বার্থে এটিকে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনে আপনাদের দৃষ্টিতে কোনো রকম যদি অনাচার ধরা পড়ে এবং সেখানে যদি আপনাদের এখতিয়ার থাকে প্রতিহত করার, তাহলে অবশ্যই আপনার বৈধ ক্ষমতা দিয়ে সেটির প্রতিবিধান অতি অবশ্যই করবেন। আমি বিশ্বাস করি, সবার মিলিত প্রয়াসে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হবে। জনগণের কাছে নির্বাচনটা বিশ্বাসযোগ্য হবে।
সিইসি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি যখন প্রথম ইউটিউব দেখতাম, তখন সবগুলোকে ওহীর মতো বিশ্বাস করতাম। সত্য সত্য সত্য। কিন্তু এখন দেখি যে ৯০ শতাংশই বানোয়াট।’
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে