নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
‘রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে’ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ‘নিষিদ্ধ সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ‘হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী’ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এ বিষয়ে প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিতও হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে ‘উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ’ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী সময়ে ‘৫ আগস্ট তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের’ সঙ্গে জড়িত বলে সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে।
এই প্রজ্ঞাপন জারির কিছুক্ষণ আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করার ডাক দেন। রাত পৌনে ৯টায় তাঁরা ভিসি চত্বরে অবস্থান নেন।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার আশ্বাস মিলেছে বলে ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠন দাবি করে। এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি দাবি করে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি জানিয়েছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোরদার হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এরপর আন্দোলন ব্যাপকতা পায়; সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই আন্দোলন। একপর্যায়ে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন প্রাণহানির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতায় থাকার সময়ও নানা অপকর্মে জড়িয়ে বারবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। গণমাধ্যমমকে তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের ওপর আঘাত করেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার। এই সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। তাহলে দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ছাত্রলীগের মতো সংগঠনকে কীভাবে নিষিদ্ধ করল?’
অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ এ মাটির সংগঠন এবং আগামী দিনেও থাকবে।’
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সংস্কৃতি একবার চালু হলে সামনের সময়গুলোতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে ছাত্রলীগ যে কর্মকাণ্ড করেছিল, তার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হলো তাদের নিষিদ্ধ করা। সেই প্রতিশোধমূলক রাজনীতি করতে গিয়ে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পরে তারা ফিরে আসতেও পারে, আইনি মোকাবিলা করতে পারলে।’
অধ্যাপক সাব্বির আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যাবে তা বলা যাবে না। ছাত্রলীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাসের চেয়েও পুরোনো।’
ছাত্রলীগের ইতিহাস: ১৯৪৮-২০২৪
বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার সময় ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকারসংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, গণ-অভ্যুত্থান, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীকালে সাংগঠনিকভাবে এর সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন, যাতে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড ছিল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন, যা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন বেগবান হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্রসমাজ সারা দেশে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তোলে, যা গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বাংলার ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন, যা ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করত। সারা দেশে পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা দেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। নূরে আলম সিদ্দিকী, তোফায়েল আহমেদসহ তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ছাত্রলীগে কলঙ্ক
ছাত্রলীগের ইতিহাস উজ্বল হলেও গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামল তো বটেই, নানা সময়ে বারবার কলঙ্কিত হয়েছে সংগঠনটি। গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এরপরেও বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অর্থের বিনিময়ে কমিটি গঠনের মতো অভিযোগ ওঠে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনদুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। আর এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। অনেক ক্যামেরার সামনেই ওই ঘটনা ঘটে এবং তাঁকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ওই হত্যার এক বছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ জনের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৬ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই বছর বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার চলছে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীর।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের মতো একাধিক ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
‘রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে’ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ‘নিষিদ্ধ সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ‘হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী’ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এ বিষয়ে প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিতও হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে ‘উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ’ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী সময়ে ‘৫ আগস্ট তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের’ সঙ্গে জড়িত বলে সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে।
এই প্রজ্ঞাপন জারির কিছুক্ষণ আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করার ডাক দেন। রাত পৌনে ৯টায় তাঁরা ভিসি চত্বরে অবস্থান নেন।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার আশ্বাস মিলেছে বলে ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠন দাবি করে। এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি দাবি করে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি জানিয়েছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোরদার হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এরপর আন্দোলন ব্যাপকতা পায়; সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই আন্দোলন। একপর্যায়ে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন প্রাণহানির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতায় থাকার সময়ও নানা অপকর্মে জড়িয়ে বারবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। গণমাধ্যমমকে তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের ওপর আঘাত করেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার। এই সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। তাহলে দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ছাত্রলীগের মতো সংগঠনকে কীভাবে নিষিদ্ধ করল?’
অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ এ মাটির সংগঠন এবং আগামী দিনেও থাকবে।’
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সংস্কৃতি একবার চালু হলে সামনের সময়গুলোতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে ছাত্রলীগ যে কর্মকাণ্ড করেছিল, তার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হলো তাদের নিষিদ্ধ করা। সেই প্রতিশোধমূলক রাজনীতি করতে গিয়ে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পরে তারা ফিরে আসতেও পারে, আইনি মোকাবিলা করতে পারলে।’
অধ্যাপক সাব্বির আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যাবে তা বলা যাবে না। ছাত্রলীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাসের চেয়েও পুরোনো।’
ছাত্রলীগের ইতিহাস: ১৯৪৮-২০২৪
বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার সময় ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকারসংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, গণ-অভ্যুত্থান, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীকালে সাংগঠনিকভাবে এর সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন, যাতে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড ছিল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন, যা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন বেগবান হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্রসমাজ সারা দেশে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তোলে, যা গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বাংলার ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন, যা ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করত। সারা দেশে পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা দেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। নূরে আলম সিদ্দিকী, তোফায়েল আহমেদসহ তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ছাত্রলীগে কলঙ্ক
ছাত্রলীগের ইতিহাস উজ্বল হলেও গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামল তো বটেই, নানা সময়ে বারবার কলঙ্কিত হয়েছে সংগঠনটি। গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এরপরেও বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অর্থের বিনিময়ে কমিটি গঠনের মতো অভিযোগ ওঠে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনদুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। আর এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। অনেক ক্যামেরার সামনেই ওই ঘটনা ঘটে এবং তাঁকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ওই হত্যার এক বছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ জনের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৬ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই বছর বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার চলছে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীর।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের মতো একাধিক ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৪ ঘণ্টা আগে