নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কারিগরি সমস্যার কারণে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। গতকাল রোববার বেলা ১টা ২০ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্ল্যান্ডফিল লিকেজ হওয়ায় এটি ট্রিপ করে যায়। এর জেরে গতকাল বেলা ১টা ২০ থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ আছে।
বন্ধ হওয়ার আগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট প্রথম ইউনিট গড়ে ৩০০-৩২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের আজকের বিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ-ভারতের অর্থায়নে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে ৩২০ মেগাওয়াট।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বন্ধের ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন গতকাল থেকে বন্ধ আছে। এখন কারিগরি সমস্যা সরানোর কাজ চলছে। আশা করি দু-তিন দিনের মধ্যে আবারও উৎপাদনে ফিরতে পারবে রামপাল।’
অন্যদিকে বিপিডিরি দুজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্ল্যান্ডফিলে যে লিকেজ দেখা দিয়েছে সেটা একটু গুরুতর। রামপাল কবে উৎপাদনে ফেরে সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। এক সপ্তাহ লাগতে পারে আবার কমও লাগতে পারে।’
রামপাল বন্ধের ব্যাপারে জানতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
রামপাল বন্ধের জেরে বেড়েছে লোডশেডিংও। বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টায় সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিল ৮০০ মেগাওয়াট। রাতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে এবং ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একই সঙ্গে বাড়বে লোডশেডিংও।
এর আগে গত ৩০ জুন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। ১০ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় পুনরায় উৎপাদনে ফেরে। ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি সারিয়ে ১০ জুলাই উৎপাদনে আসার ৪ দিনের মাথায় ১৩ জুলাই রাত ১০টা ২৯ মিনিটে কারিগরি সমস্যার কারণে আবারও রামপাল ট্রিপ করে যায়। এর জেরে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল প্রায় ৯ ঘণ্টা।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট আছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে।
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কয়লাসংকটে পড়ে। মূলত, ডলারের সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারার জেরে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। কয়লাসংকটের কারণে এরপর গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসার পর গত ১৭ মে এই কেন্দ্রে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়। কয়লাসংকট আপাতত দূর হলেও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কারিগরি সমস্যার কারণে এই নিয়ে কমপক্ষে চারবার বন্ধ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন কারিগরি সমস্যার কারণে।
এই কারিগরি সমস্যার মধ্যে আছে বয়লার টিউব ফেটে যাওয়া, কুলিং হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়া। আজ বন্ধ হয়েছে গ্ল্যান্ডফিল লিকেজের কারণে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-বিশেষজ্ঞ ম. তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। যেটা করা হয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে। সে জন্য আমরা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘন ঘন কারিগরি ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি।’
কারিগরি সমস্যার কারণে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। গতকাল রোববার বেলা ১টা ২০ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্ল্যান্ডফিল লিকেজ হওয়ায় এটি ট্রিপ করে যায়। এর জেরে গতকাল বেলা ১টা ২০ থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ আছে।
বন্ধ হওয়ার আগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট প্রথম ইউনিট গড়ে ৩০০-৩২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের আজকের বিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ-ভারতের অর্থায়নে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে ৩২০ মেগাওয়াট।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বন্ধের ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন গতকাল থেকে বন্ধ আছে। এখন কারিগরি সমস্যা সরানোর কাজ চলছে। আশা করি দু-তিন দিনের মধ্যে আবারও উৎপাদনে ফিরতে পারবে রামপাল।’
অন্যদিকে বিপিডিরি দুজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্ল্যান্ডফিলে যে লিকেজ দেখা দিয়েছে সেটা একটু গুরুতর। রামপাল কবে উৎপাদনে ফেরে সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। এক সপ্তাহ লাগতে পারে আবার কমও লাগতে পারে।’
রামপাল বন্ধের ব্যাপারে জানতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
রামপাল বন্ধের জেরে বেড়েছে লোডশেডিংও। বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টায় সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিল ৮০০ মেগাওয়াট। রাতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে এবং ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একই সঙ্গে বাড়বে লোডশেডিংও।
এর আগে গত ৩০ জুন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। ১০ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ১০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় পুনরায় উৎপাদনে ফেরে। ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্রুটি সারিয়ে ১০ জুলাই উৎপাদনে আসার ৪ দিনের মাথায় ১৩ জুলাই রাত ১০টা ২৯ মিনিটে কারিগরি সমস্যার কারণে আবারও রামপাল ট্রিপ করে যায়। এর জেরে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল প্রায় ৯ ঘণ্টা।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট আছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে।
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কয়লাসংকটে পড়ে। মূলত, ডলারের সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারার জেরে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। কয়লাসংকটের কারণে এরপর গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসার পর গত ১৭ মে এই কেন্দ্রে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়। কয়লাসংকট আপাতত দূর হলেও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কারিগরি সমস্যার কারণে এই নিয়ে কমপক্ষে চারবার বন্ধ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন কারিগরি সমস্যার কারণে।
এই কারিগরি সমস্যার মধ্যে আছে বয়লার টিউব ফেটে যাওয়া, কুলিং হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়া। আজ বন্ধ হয়েছে গ্ল্যান্ডফিল লিকেজের কারণে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-বিশেষজ্ঞ ম. তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। যেটা করা হয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে। সে জন্য আমরা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘন ঘন কারিগরি ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৫ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে