কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
জাপান বিগত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সহযোগি। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন-সহায়তাভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্কে পরিবর্তনের আভাস দিলেন দেশটির রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি।
আজ বুধবার রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের জানান জাপান ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তায় সহায়তার’ নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের ফলোআপ হিসেবে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এপ্রিলের ২৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত টোকিওতে শেখ হাসিনার সরকারি সফরে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিছু সরঞ্জাম নিয়ে কথাবার্তাও চলছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখার প্রশংসা করে আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, দুই দেশই অবাধ ও মুক্ত সমুদ্র নীতি নিয়ে কাজ করছে। জাপানের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি অনুযায়ী কাউকে কোনো পক্ষ নিতে বলা হবে না। বরং আন্তর্জাতিক রীতি-নীতির আওতায় অবাধ চলাচল ও এই অঞ্চল ও দেশগুলোর মধ্যে আন্তসংযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে (বিআরআই) বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির প্রতি সমর্থন সাংঘর্ষিক নয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাপানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাংলাদেশে আগামী ৫০ বছর উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে জাপান অঙ্গীকারবদ্ধ।’
স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তখন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে বলে বিষয়টি এত সহজ হবে না।’
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি সমীক্ষা চলমান আছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সমীক্ষার পর চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশে সক্রিয় জাপানি বিনিয়োগকারীদের উদ্ধৃত করে বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদনে ধীর গতি এবং বৈষম্যমূলক শুল্ক ও কর-নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আসিয়ানসহ এই অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কম বিনিয়োগ-বান্ধব।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্প উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ সমগ্র অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও শিল্প সুবিধার সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করে চলেছে।
বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেশটিতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জাপান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি।
জাপান বিগত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সহযোগি। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন-সহায়তাভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্কে পরিবর্তনের আভাস দিলেন দেশটির রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি।
আজ বুধবার রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের জানান জাপান ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তায় সহায়তার’ নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের ফলোআপ হিসেবে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এপ্রিলের ২৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত টোকিওতে শেখ হাসিনার সরকারি সফরে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিছু সরঞ্জাম নিয়ে কথাবার্তাও চলছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখার প্রশংসা করে আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, দুই দেশই অবাধ ও মুক্ত সমুদ্র নীতি নিয়ে কাজ করছে। জাপানের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি অনুযায়ী কাউকে কোনো পক্ষ নিতে বলা হবে না। বরং আন্তর্জাতিক রীতি-নীতির আওতায় অবাধ চলাচল ও এই অঞ্চল ও দেশগুলোর মধ্যে আন্তসংযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে (বিআরআই) বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির প্রতি সমর্থন সাংঘর্ষিক নয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাপানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাংলাদেশে আগামী ৫০ বছর উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে জাপান অঙ্গীকারবদ্ধ।’
স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তখন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে বলে বিষয়টি এত সহজ হবে না।’
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি সমীক্ষা চলমান আছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সমীক্ষার পর চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশে সক্রিয় জাপানি বিনিয়োগকারীদের উদ্ধৃত করে বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদনে ধীর গতি এবং বৈষম্যমূলক শুল্ক ও কর-নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আসিয়ানসহ এই অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কম বিনিয়োগ-বান্ধব।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্প উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ সমগ্র অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও শিল্প সুবিধার সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করে চলেছে।
বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেশটিতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জাপান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগে