ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে সফলতায় শীর্ষে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। 

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে তৃতীয় আন্তমন্ত্রণালয় ও ঢাকা শহরের চারপাশে পরিকল্পিত বাজার স্থাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এশিয়ায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সফলতার শীর্ষে রয়েছে। এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভারতসহ অন্যান্য দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এসব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কম। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ১৩ হাজার, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৮৮৪, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ হাজার ৩৮৭, থাইল্যান্ডে ৫ হাজার ১৯৬, ফিলিপাইনে ৫১ হাজার ৬২২ এবং ভারতে ১০ হাজার ১৭২ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ৩০৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কর্মসূচি নিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে সব করা হয়েছে। যার সুফল হিসেবে আমরা আজ একটি ইতিবাচক জায়গায় পৌঁছেছি।’ 

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় মন্ত্রী ঢাকা বৃহৎ পাইকারি বাজারগুলো স্থানান্তরের বিষয়েও কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ধরনের পণ্য ঢাকায় আসছে। সারা দেশে শাকসবজি, মাছসহ অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় এনে যথাযথভাবে নগরবাসীর কাছে পৌঁছাতে ঢাকার চারপাশে পাইকারি বাজার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে অপরিকল্পিত বাজার হওয়ায় যানজটসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ জন্য কীভাবে সুবিধাজনক বা নির্দিষ্টস্থানে পাইকারি ও খুচরা বাজার বসানো যায় সে জন্য ঢাকার দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনা শুরু করা হয়েছে।’