নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ৪৮ বিশিষ্ট নাগরিক মনে করেন—লোকবল নেই, এমন অজুহাতে ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজউক নিজের দায় এড়াতে পারে না।
আজ রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, একের পর এক আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পাননি। মানুষ বিচার পাননি। এমন অব্যবস্থা, বিচারহীনতা ও প্রতিকারবিহীন অবস্থা অব্যাহতভাবে চলতে পারে না।
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করে তাঁরা এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, আগুনে ২০১০ সালে নিমতলীতে ১২৪ জন, ২০১৯ সালে চকবাজারে ৭১ জন ও বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৭ জন মারা গেছেন। তাজরীন ফ্যাশনের ঘটনাও আছে। এ ঘটনাগুলো থেকে বেইলি রোডের আগুন বিচ্ছিন্ন ভাবার উপায় নেই।
সবগুলো ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যে চরম অবহেলাই মূলত দায়ী, এমনটাই মনে করেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেইলি রোডে আগুনের শিকার ভবনটি রাজউক কেবল বাণিজ্যিক ব্যবহারের শর্তে অনুমোদন দিয়েছিল। ফায়ার সার্ভিস ভবনটি অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনবার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু নোটিশ দিয়েই কি ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়, এমন প্রশ্ন তোলেন বিবৃতিদাতারা।
ফায়ার সার্ভিসের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও ক্ষমতা রয়েছে, এমনটা উল্লেখ করে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কেন তা করা হলো না।
বিবৃতিতে বলা হয়, নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হয়েছে কি না, রাজউকের তা তদারক করার কথা। লোকবল নেই, এই অজুহাতে রাজউক কোনো অবস্থাতেই দায় এড়াতে পারে না।
নাগরিকদের মতে, দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রতিষ্ঠানগুলোয় জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা মানুষকে জানানো এখন সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে বেইলি রোডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, রাজউক ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ব্যর্থতা শনাক্ত করা, দায়ীদের শাস্তি প্রদান ও ভুক্তভোগীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, হামিদা হোসেন ও মো. নূর খান, নিজেরা করির খুশী কবির, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সালমা আলী, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রানা দাশগুপ্ত, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পারভীন হাসান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ফারুখ ফয়সাল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, এএলআরডির শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও আসিফ নজরুল, আদিবাসী ফোরামের সঞ্জীব দ্রং, নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, ব্লাস্টের সারা হোসেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম ও সাংস্কৃতিক কর্মী অরূপ রাহী প্রমুখ এ বিবৃতি দিয়েছেন।
দেশের ৪৮ বিশিষ্ট নাগরিক মনে করেন—লোকবল নেই, এমন অজুহাতে ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজউক নিজের দায় এড়াতে পারে না।
আজ রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, একের পর এক আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পাননি। মানুষ বিচার পাননি। এমন অব্যবস্থা, বিচারহীনতা ও প্রতিকারবিহীন অবস্থা অব্যাহতভাবে চলতে পারে না।
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করে তাঁরা এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, আগুনে ২০১০ সালে নিমতলীতে ১২৪ জন, ২০১৯ সালে চকবাজারে ৭১ জন ও বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৭ জন মারা গেছেন। তাজরীন ফ্যাশনের ঘটনাও আছে। এ ঘটনাগুলো থেকে বেইলি রোডের আগুন বিচ্ছিন্ন ভাবার উপায় নেই।
সবগুলো ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যে চরম অবহেলাই মূলত দায়ী, এমনটাই মনে করেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেইলি রোডে আগুনের শিকার ভবনটি রাজউক কেবল বাণিজ্যিক ব্যবহারের শর্তে অনুমোদন দিয়েছিল। ফায়ার সার্ভিস ভবনটি অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনবার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু নোটিশ দিয়েই কি ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়, এমন প্রশ্ন তোলেন বিবৃতিদাতারা।
ফায়ার সার্ভিসের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও ক্ষমতা রয়েছে, এমনটা উল্লেখ করে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কেন তা করা হলো না।
বিবৃতিতে বলা হয়, নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হয়েছে কি না, রাজউকের তা তদারক করার কথা। লোকবল নেই, এই অজুহাতে রাজউক কোনো অবস্থাতেই দায় এড়াতে পারে না।
নাগরিকদের মতে, দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রতিষ্ঠানগুলোয় জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা মানুষকে জানানো এখন সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে বেইলি রোডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, রাজউক ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ব্যর্থতা শনাক্ত করা, দায়ীদের শাস্তি প্রদান ও ভুক্তভোগীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, হামিদা হোসেন ও মো. নূর খান, নিজেরা করির খুশী কবির, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সালমা আলী, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রানা দাশগুপ্ত, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পারভীন হাসান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ফারুখ ফয়সাল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, এএলআরডির শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও আসিফ নজরুল, আদিবাসী ফোরামের সঞ্জীব দ্রং, নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, ব্লাস্টের সারা হোসেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম ও সাংস্কৃতিক কর্মী অরূপ রাহী প্রমুখ এ বিবৃতি দিয়েছেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৫ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে