নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের শক্তিতে চলেন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমি তাদের জন্য কাজ করি। জনগণের মাঝে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। ওই আস্থা ও বিশ্বাসই আমার একমাত্র সম্বল। এই সম্বল নিয়ে আমি চলি। এ জন্য কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ আমার দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না। সমালোচনা করে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে কী করণীয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করি। দেশের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবাই ভোগও করবেন, কথায় কথায় ব্যঙ্গ করবেন আর প্রশ্ন তুলবেন। প্রশ্ন তোলার আগে নিজেরা কী করেছেন? কোন দল করেন, সেই দলের বৃত্তান্ত থেকে শুরু করে অপকর্মগুলো একটু চিন্তা করে নেবেন।’
বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও এ ধরনের সমালোচনা হয়েছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গেও একটি জিনিস হয়েছে। যতগুলি কাজ তিনি করে গেছেন-তারপরও তাঁর সমালোচনা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা কথা, নানা লেখা। অনেক কিছু করে তাঁকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হয়েছে। যখন পারেনি, তখন হত্যা করা হয়েছে। আমাকে তো হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
জিয়াউর রহমানের সময় দেশে ঋণখেলাপি তৈরি হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যে কথায় কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনো পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।’
সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কাজগুলি আমরা করছি, যার সুফল জনগণ পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশে হয়, তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাঁদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।’
২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনো কিছুর বাদ নেই। সে জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত।’
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রশ্ন ওঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তি খাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তি খাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তি খাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তি খাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না। পৃথিবীর কোন দেশ আছে, যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান।’
তিনি বলেন, ‘এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার করেন। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছিল সামিট। খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম। ছাড় আমি দেই না, সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই।’
বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয়, এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া। বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।’
সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি, তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে চাই। হ্যাঁ লোড যে, প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়। সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
উন্নয়নের সমালোচনার জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের সমালোচনাকারীদের অর্বাচীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, এর কী প্রয়োজন ছিল? তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজকে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে, তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল-তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না, জানি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্কই নেই।’
তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো’শলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনো কিছু করতে গেলে...ওই যেনতেন করতে গেলে চার দিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন, দেখেন না? খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্ত মাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।’
বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি, ওই ২১ বছর আর ৮ বছর। এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে?’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়, সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের শক্তিতে চলেন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমি তাদের জন্য কাজ করি। জনগণের মাঝে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। ওই আস্থা ও বিশ্বাসই আমার একমাত্র সম্বল। এই সম্বল নিয়ে আমি চলি। এ জন্য কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ আমার দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না। সমালোচনা করে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে কী করণীয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করি। দেশের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবাই ভোগও করবেন, কথায় কথায় ব্যঙ্গ করবেন আর প্রশ্ন তুলবেন। প্রশ্ন তোলার আগে নিজেরা কী করেছেন? কোন দল করেন, সেই দলের বৃত্তান্ত থেকে শুরু করে অপকর্মগুলো একটু চিন্তা করে নেবেন।’
বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও এ ধরনের সমালোচনা হয়েছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গেও একটি জিনিস হয়েছে। যতগুলি কাজ তিনি করে গেছেন-তারপরও তাঁর সমালোচনা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা কথা, নানা লেখা। অনেক কিছু করে তাঁকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হয়েছে। যখন পারেনি, তখন হত্যা করা হয়েছে। আমাকে তো হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
জিয়াউর রহমানের সময় দেশে ঋণখেলাপি তৈরি হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যে কথায় কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনো পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।’
সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কাজগুলি আমরা করছি, যার সুফল জনগণ পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশে হয়, তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাঁদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।’
২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনো কিছুর বাদ নেই। সে জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত।’
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রশ্ন ওঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তি খাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তি খাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তি খাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তি খাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না। পৃথিবীর কোন দেশ আছে, যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান।’
তিনি বলেন, ‘এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার করেন। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছিল সামিট। খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম। ছাড় আমি দেই না, সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই।’
বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয়, এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া। বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।’
সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি, তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে চাই। হ্যাঁ লোড যে, প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়। সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
উন্নয়নের সমালোচনার জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের সমালোচনাকারীদের অর্বাচীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, এর কী প্রয়োজন ছিল? তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজকে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে, তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল-তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না, জানি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্কই নেই।’
তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো’শলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনো কিছু করতে গেলে...ওই যেনতেন করতে গেলে চার দিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন, দেখেন না? খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্ত মাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।’
বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি, ওই ২১ বছর আর ৮ বছর। এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে?’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়, সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’
বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
১৯ মিনিট আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
২০ মিনিট আগেদেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৯ ঘণ্টা আগে